ট্রেনে করে ঢাকায় যাচ্ছি। অনেকদিন পরে ট্রেনভ্রমণ। অন্যরকম এক উত্তেজনার আবেশে বুঁদ হয়ে আছি। মাঝখানে এতগুলো দিন ট্রেনে না ওঠার জন্য নিজেকে গালি দিচ্ছিলাম। মিছে গালি। নিজেকে সত্যি সত্যি গালি দিতে নেই। আর ট্রেনের জানালা দিয়ে দু'চোখ ভরে দেখছিলাম সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। দু'জনই খেলায় জেতার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে; কেউই হারতে রাজি নয়। এদিকে আমার হাতে অর্ধেক পড়া 'হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম' বই। ঠিক সে সময়ই কানে এলো এক তরুণীর গলা। মেয়েটা তরুণী না হলে এই যে শুনুন এ কথা আর বলত না। খুব সম্মানের সাথে বলত, "ওই মিয়া আমার সিট থেকে ওঠেন।"
আমি সেদিকে না তাকিয়েই জবাব দিলাম, "আপনার সিট আপনি বসুন না! মানা করেছে কে?"
কণ্ঠ শুনেই বুঝতে পেরেছিলাম মেয়েটা রূপবতী৷ কিন্তু ওই যে আমার হাতে এখন হিমুর বই আর হিমুরা যে কারও মায়ায় পড়েনা। কারও না। তবে সুকণ্ঠের অধিকারী মেয়েরা যে সবসময়ই সুন্দরী হবে তেমনটাও না। কিন্তু হিমু থেকে ধার নেয়া আমার সিক্সথ সেন্স বলছে মেয়েটা সুন্দরী৷ চোখ ধাঁধানো সুন্দরী।