এই শহরে বিনোদনের অভাব। মানুষের মুখে মুখে একথা। কিন্তু আমি বলি কী, এ এক ডাহা মিথ্যে কথা। বাচ্চায় না কানলে মায়েও দুধ দেয় না। আর বিনোদন কি উপচায়ে গায়ের উপর ঢলে পড়বে? বিনোদন আপনার অপেক্ষায় আছে। খালি উপভোগ করার মত চোখ থাকা লাগবে! আমার মতে, এই শহরের মানুষই বড় বিনোদনের কাঁচামাল। এই ধরেন, আপনি কারও কাছে বিনোদনের মাল, অন্য কেউ আপনার কাছে। আপন আপন হোম মিনিস্টারের কাছে তো সবাই বিনোদনের মহাসাগর।
রবি ঠাকুরের পরামর্শে ঘর হইতে দুইপা ফেলেন। বন্ধ চোখ মেলে ধরেন। বিনোদিত হোন, মজা নেন। তাও বিনে পয়সায়।
জানা ছিলো না, সাভারে মিরপুরে মণিকাঞ্চন যোগ আছে। সাভারে কিছু ঘটলে মিরপুরকেও দাওয়াত দেয়। সাভারের মাইনসের গোপন বা প্রকাশ্য রোগের চিকিৎসার জন্য মধুমিতা কবিরাজের আগমন হয়েছে। সেখবর মিরপুরের মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে। পরে বলবে যে বললু না, তা হবে না মামুরবেটা। তাই পোস্টার সাটায়ে দিছে।
সমাজে অল্প কিছু মানুষের মামুর জোর থাকে। ওরা ভাগ্যবান। কারন সবার জানা, মামুর জোর খুটির জোরের চেয়েও অনেক বেশি। মামুর জোর থাকলে সব কিছুতে মুশকিলে আসান। জলবৎ তরলং। পানির গতিপথও সোজা থাকে। মামুরজোর থাকলে যখন তখন গেয়ে ওঠে,
"ও আমি বাঘ শিকার যাইমু/ বন্দুক লইয়া রেডি হইলাম আমি আর মামু"।

এদেশের মানুষ জন্মের পর থেকে মামুর জোর নেই বলে আফসোস করতে থাকে। মামুরজোর দিয়ে পিয়ন চাপরাশি আর্দালির কাজ করে। আর সেই অফিসের সিনিয়র টেকনিকাল পদে মামুরজোরহীন ইন্ডিয়ান, শ্রীলংকান, পাকিস্তানিরা কাজ করে।
সেই দুঃখে অনেকে মামুরজোরে আইটিও খুলে ফেলে। সেই আইটির নামও দেয় 'মামুর জোর আইটি'। জোর যেহেতু আছে মধুমিতার উপর সাটায়ে দেয় গনগনে রোদে কাজ শেষে মামুরজোর আইটির সামনে পড়ে যাই।
চোখের সামনে এসব পড়লে কি বিনোদনের অভাব হয়!!