রাত প্রায় দুটো। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটা পুরনো পোড়োবাড়ি। কেউ কখনো যায় না সেখানে। বলে, ওখানে এক “ছায়ামানুষ” বাস করে—মানুষের মতই দেখতে, কিন্তু চোখ নেই, মুখ নেই, শুধু একটা কালো ছায়া।
তন্ময়, শহর থেকে আসা এক তরুণ, ভূতের গল্প শুনে মজা পায়। সে ঠিক করল—এই বাড়িতে রাত কাটিয়ে প্রমাণ করবে, ভূত-টুত কিছু নেই।
একটা লণ্ঠন আর ক্যামেরা নিয়ে ঢুকল পোড়োবাড়ির ভেতরে। প্রথম এক ঘণ্টা কিছুই হল না। তন্ময় ক্যামেরায় বলল, “দেখো সবাই, কিছুই নেই এখানে।”
ঠিক তখনই পেছনে একটা ঠাণ্ডা শ্বাস। সে ঘুরে দেখল—কেউ নেই। আবার সামনে তাকাল—কিন্তু ক্যামেরার স্ক্রিনে ভেসে উঠল একটা ছায়া, ধীরে ধীরে তার দিকেই এগোচ্ছে।
তন্ময় পেছনে তাকাতে সাহস পেল না। ছায়াটা ক্রমশ বড় হতে লাগল। হঠাৎ ক্যামেরা বন্ধ হয়ে গেল।
পরদিন সকালে লোকজন দেখল, তন্ময় পড়ে আছে বাড়ির পাশে, চোখ দুটো ফাঁকা—ঠিক যেমনটা ছায়ামানুষের চোখ ছিল না।
তার ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল শেষ দৃশ্য—একটা ছায়া, তার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।