অধ্যায় ১: চুক্তির সূচনা
ঢাকার এক ব্যস্ত কর্পোরেট অফিসে কাজ করতেন তেহুং, একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত। হঠাৎ করেই তার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসে। কিন্তু তেহুং-এর কাছে বিয়ে মানে সময় ও স্বাধীনতার ক্ষতি।
অন্যদিকে, লিলি একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার, যিনি তার কাজ ও স্বাধীনতাকে ভালোবাসেন। তার পরিবারও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। অবশেষে, দুই পরিবার একত্রিত হয়ে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
তেহুং ও লিলি সিদ্ধান্ত নেন, তারা একটি চুক্তিভিত্তিক বিয়ে করবেন—একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, যেখানে তারা একে অপরের স্বাধীনতা বজায় রাখবেন এবং পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন করবেন।
অধ্যায় ২: চুক্তির জীবন
বিয়ের পর, তারা একটি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন কাজ ও দায়িত্ব ভাগ করে নেন। তারা একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ, কাজের সময়সূচি ও ব্যক্তিগত সময়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
তাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনো রোমান্টিকতা ছিল না, কিন্তু ছিল পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা। তারা একে অপরের সেরা বন্ধু হয়ে ওঠেন।
অধ্যায় ৩: অনুভূতির উন্মেষ
একদিন, লিলি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তেহুং তার যত্ন নেন। সেই মুহূর্তে, তারা বুঝতে পারেন যে তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য বন্ধন গড়ে উঠেছে।
তারা একসাথে সময় কাটাতে শুরু করেন—সিনেমা দেখা, একসাথে রান্না করা, এবং একে অপরের সাথে খোলামেলা কথা বলা। তাদের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্কের সূচনা হয়, যা চুক্তির সীমা ছাড়িয়ে যায়।
অধ্যায় ৪: চুক্তির পরিণতি
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় আসে। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকেন, এবং তেহুং বলেন, "এই চুক্তি যদি না থাকত, তবে হয়তো আমরা একে অপরকে এতটা জানতে পারতাম না।"
লিলি হাসেন, "তবে এখন, আমি চাই আমাদের সম্পর্ক চুক্তির বাইরে গিয়ে চলুক।"
তারা সিদ্ধান্ত নেন, এবার তারা ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, কোনো চুক্তি ছাড়াই।