ঢাকার পুরান একটা বাড়ি, যেখানে বহু বছর ধরে কেউ থাকে না। বাড়িটা দেখতে রাজকীয়, কিন্তু দেয়াল জুড়ে শ্যাওলা আর জাল পাতা। সেই বাড়িতে একদিন রাত ১২টার দিকে ঢুকলো রুহি, এক তরুণী সাংবাদিক। তার উদ্দেশ্য—পুরনো এই বাড়ির ভূতের গুজবের সত্যতা বের করা।
ঘরে ঢুকেই রুহির চোখ আটকে গেল ড্রইংরুমের একটা বিরাট আয়নায়। সে দেখল আয়নায় তার প্রতিবিম্ব একটু অস্বাভাবিক—হাসি একটু বেশি টানা, চোখগুলো যেন কেমন গা ছমছমে।
রুহি একবার পেছনে ফিরে তাকাল—কেউ নেই।
আবার আয়নায় তাকাল—এইবার সে দেখল, তার আয়নার প্রতিবিম্বটা তাকে হাত নাড়ছে। কিন্তু রুহি নিজে কিছু করছে না।
সে ভয় পেয়ে পেছিয়ে গেল। আয়নার মানুষটা তখন হেঁটে বেরিয়ে এলো আয়না থেকে।
তার গলা কাঁপতে কাঁপতে বের হলো একটা বাক্য:
"তুই এখন আমার জায়গায় আয়, আমি তোদের জগতে যাবো… অনেক বছর অপেক্ষা করেছি…"
রুহি কিছু বলতে পারল না। পরদিন সকালে, স্থানীয়রা বাড়ির আয়নায় একটা নতুন মুখ দেখল। রুহির চেহারা, কিন্তু চোখ দুটো শূন্য, ঠোঁটে একটা জবড়জঙ্গ হাসি।