ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই প্রথম পশ্চিমা মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন। মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসন এর নেয়া সাক্ষাৎকারটি অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কারণ পুরো ঘটনাটি রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেও দেখা জরুরী, যা অনেক সময়ই সম্ভব হয় না পশ্চিমা মিডিয়ার আগ্রাসী এবং একমুখী প্রচারণার জন্য।
সাক্ষাৎকারটি বেশ দীর্ঘ হওয়ায় ধাপে ধাপে প্রকাশ করছি। কলেবর যাতে বেশি দীর্ঘায়িত না হয় সেজন্য কিছুটা পরিমার্জনাও করা হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছু বাদ দেয়া হয় নি। আশা করি সবাই ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং মতামত জানাবেন।

৫ম পর্ব
(অনুবাদকের নোটঃ নর্ড স্ট্রিম ১ ও ২ হলো বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে প্রাকৃতিক গ্যাস পরিবহনের জন্য নির্মিত দুটি পাইপলাইন। ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে ২০১১-১২ সালে রাশিয়ার গ্যাজপ্রমের নেতৃত্বে জার্মান, ফরাসি ও ডাচ কোম্পানি বানায় নর্ড স্ট্রিম ১। ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাইপলাইন বাইপাস করতে নর্ড স্ট্রিম ২ তৈরি করা হয় ২০২১ সালে । ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন বিস্ফোরণে এর তিনটি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি ইচ্ছাকৃত স্যাবোটেজ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্যাবোটেজের পর বর্তমানে লাইনগুলো অকার্যকর রয়েছে এবং জার্মানিও রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমিয়েছে।)
টাকার কার্লসন:
নর্ড স্ট্রিম বিস্ফোরনের জন্য কে দায়ী?
ভ্লাদিমির পুতিন:
নিশ্চয়ই আপনি!
টাকার কার্লসন:
দুঃখিত,আমি সেদিন ব্যস্ত ছিলাম। ওটা অন্য কারো কাজ। তবে সন্দেহ করার জন্য ধন্যবাদ।
ভ্লাদিমির পুতিন:
আপনি ব্যক্তিগতভাবে হয়তো এর থেকে দায়মুক্ত, কিন্তু সিআইএর কাছে দায় এড়ানোর মত কোনো অজুহাত নেই।
টাকার কার্লসন:
আপনার কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে যে ন্যাটো বা সিআইএ এর জন্য দায়ী?
ভ্লাদিমির পুতিন:
বিস্তারিত আলোচনায় না যেয়ে শুধু এটুকুই বলবো যে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে দেখতে হয়, “এ থেকে কে লাভবান হয়েছে।” কিন্তু এখানে শুধু কার লাভ হয়েছে তা দেখলেই চলবে না, এটাও দেখতে হবে যে কার পক্ষে এটা করা সম্ভব। অনেকেই থাকতে পারে যাদের এতে আগ্রহ ছিল, কিন্তু সবার সেই সক্ষমতা নেই—সমুদ্রের নিচে গিয়ে এরকম বিস্ফোরণ ঘটানো সহজ কথা নয়। দুটি দিক—কে আগ্রহী এবং কে সক্ষম—এই দুয়ের যোগসূত্র খুঁজতে হবে আপনাকে।
টাকার কার্লসন:
শিল্প ক্ষেত্রে ঘটানো সন্ত্রাসী আক্রমণের মাঝে অন্যতম এই ঘটনায় সম্ভবত ইতিহাসের সবচেয়ে বড় CO₂ নির্গমন ও ঘটেছে। আমি বুঝতে পারছি না, যদি ধরে নেই যে আপনার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা আপনাকে তথ্য দিয়েছে এটা ন্যাটো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সিআইএ কিংবা পশ্চিমারা করেছে তাহলে আপনি এর প্রমাণ প্রকাশ করে দিয়ে প্রচার মাধ্যমে বিশাল এক জয় ছিনিয়ে নিচ্ছেন না কেন?
ভ্লাদিমির পুতিন:
মিথ্যা প্রচারণার যুদ্ধে আমেরিকাকে হারানো খুব কঠিন, কারণ তারা পুরো বিশ্বের মিডিয়া এবং বহু ইউরোপীয় মিডিয়াকে কব্জা করে রেখেছে। ইউরোপের বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর সবচেয়ে বড় উপকারভোগী হলো আমেরিকান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আপনার কি তা জানা নেই?
আমরা চাইলে এই প্রচারণা যুদ্ধে অংশ নিতে পারি, কিন্তু তার জন্য আমাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। আমরা যদি আমাদের তথ্যসূত্র প্রকাশ করে দেই, তাতেও কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আসবে না। কী ঘটেছে তা পুরো পৃথিবীই জানে, এমনকি আমেরিকান বিশ্লেষকরাও সরাসরি কথা বলেছেন নিয়মিত এসব নিয়ে। আমি আপনাকে সত্যি কথাই বলছি।

টাকার কার্লসন:
ঠিক আছে, তাহলে এমন একটা প্রশ্ন করি যার উত্তর আপনি দিতে পারবেন হয়তো। এটা তো সর্বজনবিদিত যে একসময় আপনি জার্মানিতে (গুপ্তচরবৃত্তির) কাজ করেছেন। জার্মানরা নিশ্চয়ই জানে তাদের ন্যাটো মিত্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাদের অর্থনীতিও এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— যা সম্ভবত আর কখনই আগের অবস্থায় ফিরবে না। তাহলে তারা চুপ করে আছে কেন? বিষয়টা আমার জন্য খুব বিভ্রান্তিকর। তারা কেন কিছু বলছে না?
ভ্লাদিমির পুতিন:
আমার জন্যও এটা বিভ্রান্তিকর। কিন্তু আজকের জার্মান নেতৃত্ব জাতীয় স্বার্থের চেয়ে পশ্চিমাদের স্বার্থ দ্বা্রাই বেশি পরিচালিত হয়। না হলে তাদের এই কার্যকলাপ বা নিষ্ক্রিয়তার কোনো যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা নেই।
নর্ড স্ট্রিম ১ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং নর্ড স্ট্রিম ২ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু তার একটি পাইপলাইন এখনো অক্ষত আছে এবং সেই পাইপ দিয়েও ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু জার্মানি সেটা চালু করছে না। আমরা তো প্রস্তুত, কিন্তু উনারা নিচ্ছেন না কেন?
আরেকটা পথ আছে পোল্যান্ড হয়ে, যেটা "ইয়ামাল-ইউরোপ" রুট নামে পরিচিত, সেটাও বিপুল পরিমাণে গ্যাস সরবরাহে সক্ষম। কিন্তু পোল্যান্ড সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ পোল্যান্ড তো জার্মানির টাকায় চলে—ইউরোপীয় ফান্ড থেকে টাকা পায়, যার মূল দাতা জার্মানি। বলতে গেলে জার্মানি পোল্যান্ডকে খাওয়ায়। আর তারাই গ্যাস রুট বন্ধ করে রেখেছে। কেন? আমি বুঝতে পারি না।
ইউক্রেন—যাদের জার্মানি অস্ত্র দেয়, টাকা দেয়। জার্মানি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক সহায়তাকারী। ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে গ্যাস যাওয়ার দুটি রুট আছে। তারা একটি বন্ধ করে দিয়েছে। আরেকটি খুলে দিন, গ্যাস যেতে দিন। সেটাও তারা খুলছে না। জার্মানরা কি বলতে পারে না, “দেখো, আমরা তো তোমাদের টাকা ও অস্ত্র দিচ্ছি, একটু ভাল্বটা খোলো, আমাদের জন্য গ্যাস আসুক”?
এরপর ইউরোপের দেশগুলো এখন চড়া দামে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG) কিনছে, যা ইউরোপের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা এবং সামগ্রিক অর্থনীতি একেবারে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। জার্মানরা যদি তোমাদের টাকা দেয়, তাহলে তাদের অর্থনীতি ঠিক রাখতে দাও—কারণ এই অর্থনীতি থেকেই তো সেই অর্থ আসে। কিন্তু তারা তা করছে না। কেন? ওদের জিজ্ঞেস করো। ওদের মাথায় কী চলছে, আমি বুঝতে পারি না। ওরা খুবই অযোগ্য মানুষ।
টাকার কার্লসন:
হয়তো বিশ্ব এখন দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে—এক অংশে সস্তা জ্বালানি আছে, আরেক অংশে নেই। আমি জানতে চাই, আমরা যে এখন একটি বহুমুখী (মাল্টিপোলার) বিশ্বে বসবাস করছি—আপনি কি আমাকে বলতে পারেন যে কোন কোন জোট কোন দিকে আছে?
ভ্লাদিমির পুতিন:
আপনি বললেন যে বিশ্ব এখন দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের মস্তিষ্কও দুইটি গোলার্ধে বিভক্ত—একটা এক ধরনের কাজের জন্য, অন্যটি সৃজনশীলতার জন্য। তবুও মাথা কিন্তু একটিই।
বিশ্ব হওয়া উচিত একটি ঐক্যবদ্ধ সত্তা। নিরাপত্তা হওয়া উচিত সবার জন্য, শুধু সেই “গোল্ডেন বিলিয়নের” জন্য নয়। (অনুবাদকের নোটঃ গোল্ডেন বিলিয়ন তত্ত্বের উৎপত্তি রাশিয়ায়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী পশ্চিমা বিশ্ব স্রেফ এক বিলিয়ন মানুষকে ধনী বানিয়ে শুধুমাত্র তাদের ভালো রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আর বাকিদের চিরজীবনের জন্য অভাব অনটনের মাঝে রেখে তাদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে যাবে। রাশিয়াতে এই তত্ত্ব বহুল প্রচলিত) এটাই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে বিশ্ব হতে পারে স্থিতিশীল, টেকসই, ও পূর্বাভাসযোগ্য। যতদিন না বিশ্ব এই পথে আসছে, ততদিন এই বিভক্তি এক ধরনের রোগ, এক গুরুতর অসুস্থতা। তবে আমি মনে করি, আপনি যে পেশায় নিয়োজিত আছেন - সৎ সাংবাদিকতা - এর সাথে চিকিৎসকের কাজের মিল আছে। এর মাধ্যমেই এই অসুস্থতাকে নিরাময় করা যেতে পারে।
টাকার কার্লসন:
চলুন একটা উদাহরণ নিই—আমেরিকান ডলার। এটা অনেকভাবে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, হয়তো সেটা আপনার পক্ষে নয়, কিন্তু আমাদের পক্ষে তো বটেই। এটা কি সংরক্ষিত মুদ্রা (reserve currency) হিসেবে তার অবস্থান হারাতে বসেছে, যা সারা বিশ্বেই গ্রহণযোগ্য? আপনার মতে আমেরিকার দেয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাগুলো ডলারের অবস্থানকে বিশ্বে কীভাবে প্রভাবিত করেছে?
ভ্লাদিমির পুতিন:
পররাষ্ট্রনীতির দর কষাকষিতে ডলারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় কৌশলগত ভুলগুলোর একটি। ডলার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তির ভিত্তি। আমি মনে করি সবাই খুব ভালো করেই বোঝে, যত ডলারই ছাপানো হোক না কেন, তা সারা বিশ্বে খুব দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।
সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি কিন্তু খুবই কম—প্রায় ৩ বা ৩.৪ শতাংশ, যা আমার মতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তবুও তারা ডলার ছাপা বন্ধ করছে না। এই মুহূর্তে তার ঋণ ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার, এটা আমাদের কী বলে? এটা হচ্ছে অতিরিক্ত মুদ্রা ছাপানোর প্রতিফলন। তবুও, ডলার যুক্তরাষ্ট্রের একটি অন্যতম প্রধান অস্ত্র, যার মাধ্যমে তারা বিশ্বজুড়ে তাদের ক্ষমতা বজায় রাখছে।
কিন্তু যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় ডলারকে রাজনৈতিক যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার, তখন তারা নিজেরাই যুক্তরাষ্ট্রের সেই ক্ষমতার উপর আঘাত হানে।
আমি কড়া ভাষায় কিছু বলতে চাই না কিন্তু না বলে পারছি না, এটা ছিল চরম নির্বোধের মত কাজ এবং গুরুতর ভুল। আপনি দেখুন, আজ বিশ্বে কী ঘটছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাও এখন তাদের ডলার রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে। সবার মাঝেই আত্মরক্ষার চিন্তা এসে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র যখন কোনো নির্দিষ্ট দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে—লেনদেনের ওপর বিধিনিষেধ, সম্পদ জব্দ করে ইত্যাদি—তখন তা গোটা বিশ্বের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটা কিন্তু এক ধরণের বার্তাও দেয়, বেশ শক্তিশালী বার্তা।
আমাদের এখানে কী ঘটলো? ২০২২ সাল পর্যন্ত, রাশিয়ার প্রায় ৮০ শতাংশ বৈদেশিক বাণিজ্য ডলার এবং ইউরোতে সম্পন্ন হতো। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রায় ৫০ শতাংশ লেনদেন হতো মার্কিন ডলারে। এখন সেটা নেমে এসেছে মাত্র ১৩ শতাংশে। আমরা কিন্তু ডলারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করিনি। আমাদের এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত—তারা আমাদের ডলারে লেনদেন সীমিত করেছে।
আমার মতে, এটি পুরোপুরি বোকামি, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের করদাতাদের স্বার্থের দিক থেকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিকে দুর্বল করছে।
যাই হোক, আগে আমাদের ইউয়ানে লেনদেন ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। এখন ৩৪ শতাংশ রুবলে এবং প্রায় ৩৪ শতাংশ ইউয়ানে লেনদেন হচ্ছে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন এটি করলো? আমার অনুমান হলো—অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস। তারা হয়তো ভেবেছিল এতে সবকিছু ভেঙে পড়বে, কিন্তু কিছুই ধসে পড়েনি।
বরং, অন্য দেশগুলো, তেলের উৎপাদনকারীরা পর্যন্ত, এখন ইউয়ানে তেলের মূল্য নিচ্ছে বা নেওয়ার কথা ভাবছে। আপনি কি বুঝতে পারছেন, কী ঘটছে? কেউ কি যুক্তরাষ্ট্রে বুঝতে পারছে? কী করলেন আপনারা? নিজেরাই নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন।
শুধু আমি না, সব বিশেষজ্ঞরাই এটা বলছেন। আপনি যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো বুদ্ধিমান, চিন্তাশীল ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করুন—ডলার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কী অর্থ বহন করে। আপনারা নিজের হাতেই সেটাকে হত্যা করছেন।
টাকার কার্লসন:
আমি মনে করি আপনার মূল্যায়ন যথাযথ । প্রশ্ন হলো—এখন কী হবে? হতে পারে, এক ঔপনিবেশিক শক্তির জায়গায় আরেকটি চলে আসবে—যেটা হয়তো কম সহানুভূতিশীল, কম ক্ষমাশীল। যেমন ধরুন BRICS। এই জোট কি চীনের অর্থনীতির দ্বারা এমনভাবে প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর? আপনি কি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন?
চলবে