প্রকাশিত হতে যাচ্ছে আমার তৃতীয় গল্পগ্রন্থ ‘মধ্যদুপুরে কাকেদের জলকেলি কিংবা বিষণ্ন যুবকের জবানবন্দি’। প্রকাশ করবে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স।
ফ্ল্যাপ থেকে:
বিষণ্ন যুবকের জবানবন্দি হয়ে ওঠা এ গল্পগ্রন্থের অধিকাংশ পৃষ্ঠাতেই ছড়িয়ে আছে বিষণ্নতা। এ বিষণ্নতা কখনো উৎসারিত হয় টানাপড়েনের সংসারের জোয়ালটানা জীবন থেকে, কখনো গৌরবময় যুদ্ধজয়ের পর ফিরে এসে প্রিয় মানুষগুলোকে না পাওয়ার হাহাকার থেকে, কখনো অল্পদিনের ব্যবধানে পরিবারের সবচেয়ে বড় দুই অবলম্বন হারিয়ে, কখনো বৃদ্ধ বয়সে কর্মক্ষম জীবনের স্মৃতিচারণসভা থেকে, আবার কখনো একাকী যুবকের পারিবারিক জীবনের আবহ-শূন্যতা থেকে। এই বিষণ্নতাযাপনের ফাঁকে হঠাৎ ছুঁয়ে যাবে প্রেম প্রেম অনুভূতি, আলোড়িত করে যাবে কাটাহাতের রহস্য, রোমাঞ্চ জাগাবে ড্রাইভার-হেলপারের শেষ পাতার শিরোনাম হওয়ার পরিণতি, আর যুদ্ধে যাওয়া খোকার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকা বাবা-মায়ের আকুতি হয়তো কাঁপিয়ে দিবে বুকের ভেতরটাকে। এসবের ফাঁকে আবার হয়তো ক্ষোভ জাগিয়ে তুলবে সমাজের বিবেকের অন্ধত্বের প্রকাশে। সবমিলিয়ে তেরোটি গল্পের এ ভ্রমণে আপনাকে একেকবার উঠে পড়তে হবে একেক ট্রেনে। এক স্টেশনে নেমে যেতে হবে আরেক অচেনা স্টেশনের দিকে। মধ্যদুপুরে বিষণ্ন যুবকের জবানবন্দির স্বাক্ষী হয়ে আপনি একপাশে যখন দেখবেন কাকেদের জলকেলি, অন্যপাশে তখন চোখের সামনে ভেসে উঠবে গলায় ফাঁস লাগানোর আয়োজন করে ঝুলে থাকা রশিটা!
