Posts

পোস্ট

মিষ্টি রোদে চিপা গরম

June 19, 2025

সাজিদ রহমান

82
View

এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস। রংপুরের পীরগঞ্জে আনন্দনগরে পিকনিকের আয়োজন করেছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি। রংপুরে চাকরি করার সুবাদে দাওয়াত পাই।

বাংলায় একটা জনপ্রিয় প্রবাদ আছে। রথ দেখাও হল, কলা বেচাও হল। এটা ঠিক প্রবাদ নয়, টেকসই ব্যবস্থা। ১০০ কিলোমিটার গিয়ে একটা কাজ করে আসলে যে সময় ও অর্থ ব্যয় হবে, সেখানে ২ টা কাজ করতে পারলে সময় ও অর্থ ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে। জাতিসংঘ হিজ্রাইল, মেরিকার মাস্তানি ঠেকাতে না পারলেও এসব বুদ্ধি বেঁচে নিজের অক্ষমতা ঢাকে। এসব বুদ্ধিরে কখনও এমডিজি, কখনও এসডিজির মত এলিট নাম দিয়ে লজ্জার উপর চাদর জড়িয়ে দেয়। জাতিসংঘ উচ্ছনে গেছে বহু আগে। আরও পচে যাক।

মনস্থির করেছিলাম, পিকনিকে যাবো। তার আগে দুইটা কাজের সাইটে ভিজিট দেই। ঐ যে, রথ দেখে কলা বেচার কথা বলছিলাম, সেই শর্ত পূরণ করি। প্রায় ১০ বছর আগে আনন্দনগরে ঢুকেছিলাম একবার। এখন বেশ উন্নয়ন করেছে।ভিতরে প্রবেশ করি। অনেক গ্রুপের পিকনিক চলছে। আমি কাংখিত পয়েন্টে পৌঁছে যাই।বেশ বড় আয়োজন। কয়েক জেলার ডিপ্লোমা সমিতির সদস্যরা এসেছেন, বেশির ভাগই পরিবার সমেত। ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসেছেন। সবার সাথে হাই, হ্যালো হল। আগে ভেবেছিলাম, মুখ রক্ষার দাওয়াত পেয়েছি। না, তা আসলে নয়। আদর আপ্যায়নে মুগ্ধ হতে হল।

শত্রুতা থাকলে অনেকে হ্যান্ডশেক করার সময় জোরে চাপ দেয়। সবাই দেখল কি সুন্দর হ্যান্ডশেক করলো। আদতে চান্সে চাপ দিয়ে মজা নেয়াই তার উদ্দেশ্য। ব্যথা দিতে পারলে সে খুশি। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকের রোদেরও একই অবস্থা। একটু ছায়ায় যাবেন মনে হবে, রোদে দাঁড়ালে খুব আরাম লাগবে। সেই আশায় রোদে দাঁড়ালাম। ২/৩ মিনিটে গরমে গা ঘেমে যাবার যোগাড়। ফেব্রুয়ারির শেষে সুর্য মিষ্টি রোদের নামে চিপা গরম দিয়ে মজা নেয়।

রংপুর পীরগঞ্জের আনন্দনগরে একদিন। ফেব্রুয়ারি ২০২৫ 

রোদে বেশ গরম। গরম থেকে বাঁচতে ছায়ায় গিয়ে বসলাম। কংক্রিটের গাছ, বসার জায়গাও পাতার নকশায় বানানো। তখন কে যেন ছবিটা তুলেছিল। পরে আরও কয়েকটা ছবি তুলি। সবাই মিলে। মোবাইল ঘাটতে গিয়ে চোখে পড়লো। ফেসবুককে দিয়ে রাখলাম। দেখি সে কতটা স্মৃতিকাতর হওয়ার ভাণ করতে পারে!! 
 

Comments

    Please login to post comment. Login