রায়ান আর আরণ্যার দেখা প্রথম হয় কলেজের লাইব্রেরিতে। রায়ান যখন রবীন্দ্রনাথের "শেষের কবিতা" খুঁজছে, ঠিক তখনই পিছন থেকে একটা মিষ্টি কণ্ঠ বলে ওঠে,
"এই বইটা আমিও নিচ্ছিলাম!"
দুজনের চোখে চোখ। প্রথমবারের মতো, রায়ান একটু হেসে বলে,
"তাহলে বইটা পড়ার পর আমায় ফিরিয়ে দিও। আমি অপেক্ষা করব।"
সেখান থেকেই শুরু হয় তাদের বন্ধুত্ব। দিনে দিনে, গল্প, গান, হেঁটে বেড়ানো, ঝর্ণার পাশে বসে চুপ করে থাকা—সবকিছু মিলিয়ে একটা অদ্ভুত শান্ত ভালোবাসা জন্ম নেয় তাদের মধ্যে। তারা কেউ কাউকে কখনো "ভালোবাসি" বলেনি। কিন্তু চোখের চাহনি, নিঃশব্দ অপেক্ষা—সব কিছুতেই ভালোবাসার ছাপ ছিল।
একদিন বিকেলে, আরণ্যার হাতে একটা ছোট খাম।
রায়ান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,
"চিঠি? এখনো চিঠি লেখো তুমি?"
আরণ্যা হেসে বলে,
"ভালোবাসা তো এখনো পুরনোভাবে সবচেয়ে বেশি সত্য হয়।"
রায়ান চিঠিটা পড়ে। শেষে লেখা ছিল—
> "তোমার চোখে আমি আমার পৃথিবী দেখি। যদি কখনো হারিয়ে যাই, এই চিঠির শেষ লাইনটা পড়ে নিও... 'আমি শুধু তোমার'।"
চোখে জল নিয়ে রায়ান বলে,
"তুমি হারিয়ে গেলে আমি তো আর থাকব না... আমি তো শুধু তোমারই ছিলাম, আর হবো।"
---
শেষ লাইন:
তারা এখনো রাঙামাটির সেই ছোট্ট লাইব্রেরির পাশে, হাত ধরে বসে থাকে। বই পড়ে, গান শোনে আর একে অপরের চোখে প্রেম খোঁজে।