আনিকা চুপচাপ স্বভাবের একটা মেয়ে । তার কোনো বন্ধু নেই । তার যত মনের কথা আছে সে তার কল্পনায় কেবল মাত্র নিজের সাথেই শেয়ার করে । সে শুধু ভাবতো তার জীবনে যদি এমন কেউ আসতো যার সাথে তার মনের কথা ও ভাবনা গুলো শেয়ার করতে পারতো ।
তারপর ও তার দিন গুলো তার মতো করে ভালোই কাটছিল ।
হঠাৎ তার ফোন এ একদিন একটা মেসেজ আসে , মেসেজ টা ছিল তার বড় চাচার ছেলে সোহান এর । সোহান ছোট বেলা থেকেই শহরে থাকে । আনিকার সাথে সে রকম কোনো পরিচয় নেই ।
সোহানের ফোন নাম্বার অচেনা হলে ও সোহান তার পরিচয় মেসেজে দিয়ে ছিল । সোহান এর সাথে প্রায় চার বছর আগে একবার দেখা হয়ে ছিল কিন্তু কখনও কথা বলা হয় নি ।
সোহান তার মেসেজে বলেছিলো তার সাথে নাকি সোহান এর খুব দরকারি কথা আছে ।
আনিকা ও আগ্রহ নিয়ে জানতে চায় । সোহান বলে যে আনিকা কে সে খুব ভালোবাসে কিন্তু কখনো নাকি বলার সাহস হয়নি । তাই মেসেজ দিয়ে বলে।
তারপর থেকে সোহানের সাথে আনিকার রোজ কথা হতো । সোহানের মন ভোলানো কথায় আনিকা ও সোহান কে ভালবেসে ফেলে । এবং আনিকার যতো আবেগীয় কথা জমা ছিল সব সোহান এর সাথেই শেয়ার করতো ।
কারণ সোহান ই ছিল তার না বলা কথা গুলো শেয়ার করার মতো একজন । হঠাৎ সোহান এর সাথে আনিকার এক দিন দেখা হয় , তারা অনেক ক্ষণ কথা বলে । সে দিন এর পর থেকে সোহান অন্য রকম হয়ে যায় । সে আনিকার সব কথা তেই রেগে যায় । আর আনিকার সাথে কথা বলতে চায় না ।
আনিকা আগে অনেক সুন্দর ছিল । কিন্তু এখন আনিকা কে আগের মতো আর সুন্দর লাগে না ।
এটা আনিকা বুঝতে পারে যে সে সুন্দর নয় বলে সোহান তাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ।
আনিকা বুঝতে পারে যে, সোহান তাকে চায় না । তাই আনিকা ও তাকে বিরক্ত করা ছেড়ে দিয়েছে । কারণ আনিকা চায় না তার জন্য কারো কোনো সমস্যা হোক ।
আনিকা সোহান কে ভালোবাসতো । তার ইচ্ছা ছিল সে সোহান কে বলবে । কিন্তু আর কখনই বলা হয় নি । তার শূন্য মনে কেউ আবেগ জরিয়ে চোলে গেছে , তার না বলা আবেগ টা শূন্য হয়েই রয়ে গেলো ।
আনিকা আবার সেই আগের মতই চুপ চাপ হয়ে গেছে ।
আনিকা শুধু একটা কথাই ভাবে সে কেনো এসে ছিলো তার জীবনে।