আমি ধারাবাহিক লিখে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারি না আসলে। এটা আমার ইচ্ছাকৃত অপারগতা বলা যায়। হয়ত চাইলেই পারা যেত কিন্তু আমি খুব একটা চাই না। দ্বিতীয়ত চাইলেও যে সময়ের কারণে খুব একটা পারতাম সেটাও বোধকরি সত্য না।
তাহলে আমার পাঠক তৈরি হল কীভাবে? পরিবার পরিজন বা বন্ধুবান্ধবের ক্লোজ যে সার্কেল সেই পরিমণ্ডলে বই বিক্রি হলে এই জীবনে কেউ লেখক হতে পারবে না। অতীতেও পারেনি।
আমার লেখক হবার ইচ্ছে প্রকট না- তবে আমি লিখি আনন্দ নিয়ে- লেখকের মত করেই লেখার চেষ্টা করি। আর প্রতিটি লেখক চায় তার লেখার পরিধি ছড়িয়ে যাক পাঠকের বিশাল একটা বলয়ে। আমিও চাই।
আত্মীয় পরিজন কোনদিনই আপনার সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে পরিচয়টাকে আত্মস্থ করতে পারবে না। কারণটা ভিন্ন। একজন মানুষ যখন সৃষ্টিশীল রূপে কাজ করে সে তার চেনা বলয়ে হয়ে যায় অচেনা। এই অচেনা রূপ সবাই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না।
আপনি যে ছোটবেলায় ভাত খেতে গিয়ে পানি বেশি খেতেন বা স্কুল থেকে কেঁদে ফিরতেন স্যারের বকা খেয়ে কিংবা টিনএজেই একটা প্রেম করে মস্ত ভুল করে ফেলেছিলেন কিংবা কাজের ক্ষেত্রে কোথায় আপনার দুর্বলতা - এই ব্যাপারগুলো যত সহজে আপনার আত্মীয় বা সহকর্মীরা গ্রহণ করবে আপনি দুর্দান্ত লেখক বা দারুণ চিত্রশিল্পী বা অসাধারণ কবিতা লেখেন এই ব্যাপারগুলোর সাথে তাদের পরিচয় হওয়া কঠিন ঠেকে। কারণ তার দেখা বড় লেখক বা চিত্রকর বা ভাস্কর সবাই দূরের কেউ তার জানার অনেক অনেক দূরে তাদের বাস।
এই জানার বলয় থেকে তারা বেরুতেও চায় না- ভাঙতেও চায় না সেই বলয়।
বলছিলাম ধারাবাহিক এর কথা। যে প্রসঙ্গে আসলে এই কথা তুললাম - আসলে আমি বলতে চেয়েছি ধারাবাহিক লিখলে আমার পাঠক হয়ত পতঙ্গের মত টানে আসবে কিন্তু যদি আমি পতঙ্গের মত পাঠক না চাই? যদি চাই আমার পাঠক হোক নিরেট শৌখিন মানুষ? তবে? তারা ত বিধ্বংসী আলোর খোঁজ রাখে- তাদের মনের গহীনে যে সুকুমার বাস করে তার মত আত্মার খোঁজ করে আমার লেখা - আমার সৃষ্টি...
আমি তাদের জন্যেই লিখতে চাই... এবং লিখে যাবো হয়ত...
<3
তাহলে আমার পাঠক তৈরি হল কীভাবে? পরিবার পরিজন বা বন্ধুবান্ধবের ক্লোজ যে সার্কেল সেই পরিমণ্ডলে বই বিক্রি হলে এই জীবনে কেউ লেখক হতে পারবে না। অতীতেও পারেনি।
আমার লেখক হবার ইচ্ছে প্রকট না- তবে আমি লিখি আনন্দ নিয়ে- লেখকের মত করেই লেখার চেষ্টা করি। আর প্রতিটি লেখক চায় তার লেখার পরিধি ছড়িয়ে যাক পাঠকের বিশাল একটা বলয়ে। আমিও চাই।
আত্মীয় পরিজন কোনদিনই আপনার সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে পরিচয়টাকে আত্মস্থ করতে পারবে না। কারণটা ভিন্ন। একজন মানুষ যখন সৃষ্টিশীল রূপে কাজ করে সে তার চেনা বলয়ে হয়ে যায় অচেনা। এই অচেনা রূপ সবাই স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারে না।
আপনি যে ছোটবেলায় ভাত খেতে গিয়ে পানি বেশি খেতেন বা স্কুল থেকে কেঁদে ফিরতেন স্যারের বকা খেয়ে কিংবা টিনএজেই একটা প্রেম করে মস্ত ভুল করে ফেলেছিলেন কিংবা কাজের ক্ষেত্রে কোথায় আপনার দুর্বলতা - এই ব্যাপারগুলো যত সহজে আপনার আত্মীয় বা সহকর্মীরা গ্রহণ করবে আপনি দুর্দান্ত লেখক বা দারুণ চিত্রশিল্পী বা অসাধারণ কবিতা লেখেন এই ব্যাপারগুলোর সাথে তাদের পরিচয় হওয়া কঠিন ঠেকে। কারণ তার দেখা বড় লেখক বা চিত্রকর বা ভাস্কর সবাই দূরের কেউ তার জানার অনেক অনেক দূরে তাদের বাস।
এই জানার বলয় থেকে তারা বেরুতেও চায় না- ভাঙতেও চায় না সেই বলয়।
বলছিলাম ধারাবাহিক এর কথা। যে প্রসঙ্গে আসলে এই কথা তুললাম - আসলে আমি বলতে চেয়েছি ধারাবাহিক লিখলে আমার পাঠক হয়ত পতঙ্গের মত টানে আসবে কিন্তু যদি আমি পতঙ্গের মত পাঠক না চাই? যদি চাই আমার পাঠক হোক নিরেট শৌখিন মানুষ? তবে? তারা ত বিধ্বংসী আলোর খোঁজ রাখে- তাদের মনের গহীনে যে সুকুমার বাস করে তার মত আত্মার খোঁজ করে আমার লেখা - আমার সৃষ্টি...
আমি তাদের জন্যেই লিখতে চাই... এবং লিখে যাবো হয়ত...
<3