"" (প্রাচীন মিশর সভ্যতা.....
১: নদীর ধারে এক ঈশ্বর রাজা৷৷
অনেক, অনেক বছর আগে— যখন পৃথিবীর অনেক জায়গা ছিল জঙ্গলে ভরা, যখন মানুষ আগুনকেও ভয় পেত, তখন এক নদীর ধারে জন্ম নিয়েছিল এক আশ্চর্য শহর।
নদীটার নাম ছিল নীলনদ (Nile River) — আজও পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা নদী।
এই নদীর ধারে বাস করত এক রাজা। সে নিজেকে মানুষ ভাবত না — সে বলত, “আমি ঈশ্বর! আমার কথাই আইন। আমি মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকবো!”
তার নাম ছিল ফারাও (Pharaoh)।
এই ফারাওরা মিশর শাসন করত। তারা বিশাল বড় পাথরের ঘর বানাত — যার নাম ছিল পিরামিড। তারা বিশ্বাস করত, মানুষ মরলেও আত্মা মরে না। তাই মৃত্যুর পর রাজাদের সঙ্গে খাবার, কাপড়, এমনকি দাসকেও কবর দিত!
তাদের বিশ্বাস ছিল — মরার পর “আত্মা” এক দীর্ঘ সফরে যাবে আর সেখানে সব হিসাব নেওয়া হবে।
এই জন্যই হয়তো, তারা প্রথম লিখতে শিখে — চিহ্ন দিয়ে, ছবি দিয়ে পাথরে লিখত তারা ইতিহাস।
তাদের একটা বিখ্যাত রাণী ছিলেন — ক্লিওপেট্রা। সে ছিল সুন্দরী, বুদ্ধিমতী আর খুব সাহসী।
ফারাওরা যখন শাসন করতো, তখন মিশরে ছিল —সেচ ব্যবস্থা চিকিৎসা. জ্যোতির্বিজ্ঞান. ক্যালেন্ডার. প্যাপিরাস নামের কাগজ
তাদের পিরামিড আজও দাঁড়িয়ে আছে। যেন বলছে — “আমরা চলে গেছি, কিন্তু আমরা ছিলাম…”
আমরা কী শিখলাম?
মানুষ যদি চায়, তবে মরেও থেকে যেতে পারে এক সময় যারা ঈশ্বর ভাবত নিজেকে, তারা আজ শুধু গল্প যারা লিখে রাখে ইতিহাস — তারা কখনো হারায় না