ছেলেটার নাম ছিল ফারুক। শহরে চাকরি করত। ব্যস্ত জীবন, হাজারটা দৌড়ঝাঁপ। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধা মা একা থাকতেন।
মা প্রায়ই ফোন করতেন, — “বাবা, কবে আসবি? অনেক দিন তো দেখা হল না।”
ফারুক বলত, — “আসব মা, এই প্রজেক্টটা শেষ হোক আগে।”
মাস চলে যায়, বছর কেটে যায় — ফারুক ব্যস্ততার অজুহাতে আর ফিরে যায় না।
একদিন ফারুকের ফোনে এক প্রতিবেশীর কল আসে, — “ভাই, খালা আর নেই। কাল রাতেই ঘুমের মধ্যে চলে গেলেন।”
শুনেই ফারুক স্তব্ধ। ছুটে যায় গ্রামে। মায়ের ঘরে ঢুকে দেখে মাটির ছোট্ট আলনাতে একটা পুরনো খাম। খামের ওপরে লেখা: “আমার ফারুকের জন্য”
হাত কাঁপতে কাঁপতে খামটা খোলে। চিঠিতে লেখা ছিল:
“বাবা, জানি তুই খুব ব্যস্ত। তোকে বিরক্ত করতে চাই না। শুধু একটা কথা মনে রাখিস — মায়ের দোয়া অনেক শক্তিশালী, আর মায়ের অপেক্ষা অনেক কষ্টের।”
চোখ থেকে টপটপ করে অশ্রু ঝরে ফারুকের। সেই মুহূর্তে তার সারা জীবনের সাফল্য, শহরের আলো সব ফিকে হয়ে গেল।
শিক্ষা: জীবনে যারা সবসময় পাশে থাকে, তাদের ভুলে যেও না। সময় থাকতে ভালোবাসা দেখাও — কারণ সময় আর ফিরে আসে না।