চাবির বাক্স আর হারানো সিন্দুক
১২ বছরের এক কৌতূহলী ছেলে, নাম তার ইমরান, তার নানা মারা যাওয়ার পর পুরোনো কাঠের একটা বাক্স পায়। বাক্সের উপর ছিল তালা, আর ভিতরে একটা ছোট্ট নো
"চাবি যেখানে অন্ধকারের মাঝেও আলো জ্বলে।"
ইমরান মাথা খাটায়। সে বুঝে — এই চাবি সাধারণ কোনো চাবি নয়, এটা একটা রহস্যের সূত্র!
সে খুঁজতে শুরু করে তার নানার পুরোনো বইগুলো, নোটবুক, ছবি। একদিন একটি পুরোনো বাতির ভিতর কাগজে মোড়ানো একটি সোনার চাবি পায়!
চাবি নিয়ে সে সেই বাক্স খুলে দেখে — ভিতরে একটা পুরোনো মানচিত্র! সেখানে লেখা: "মেঘালার গোপন ঝর্ণার নিচে ঘুমিয়ে আছে শত বছরের সিন্দুক।"
ইমরান তার বন্ধুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সেই জায়গার খোঁজে। বহু পাহাড় পেরিয়ে, ঝিরি বেয়ে, অবশেষে পৌঁছে যায় সেই ঝর্ণার কাছে।
ঝর্ণার পেছনে এক গোপন গুহা। ভিতরে ঢুকে দেখে — পাথরের ভিতর আটকানো এক লোহার সিন্দুক। সেই সোনার চাবি ঢুকিয়ে ঘোরাতেই… টাক্! সিন্দুক খুলে গেল।
ভিতরে ছিল সোনার মুদ্রা, হীরা, আর একটি চিঠি:
“এই সম্পদ তার জন্য, যে কেবল খুঁজে পেতে নয়, বোঝে তার মুল্য কোথায়।”
ইমরান বুঝে — সম্পদ মানেই শুধু সোনা নয়, বুদ্ধি, বন্ধুত্ব আর সাহসই আসল ধন।
শিক্ষা: কৌতূহল আর সাহস থাকলে, জীবনের যেকোনো রহস্য তুমি নিজেই খুঁজে পেতে পারো