শিমুলতলার পুরনো বাড়ি
শিমুলতলা গ্রামের এক কোণে ছিল একটা পুরনো, ফেলে রাখা বাড়ি। কেউ সেখানে যেত না। গ্রামের লোকেরা বলত — "ওখানে রাতে আলো জ্বলে, অথচ কেউ থাকে না!"
একদিন শহর থেকে এক সাহসী ছেলে, রাফি, গ্রামে ঘুরতে আসে। ভূতের গল্প শুনে সে হাসে, — “ভূত-টুত কিছু না! আমি ওই বাড়িতেই রাতে থাকব!”
গ্রামের সবাই তাকে বোঝাতে চেষ্টা করে, কিন্তু রাফি শোনে না। রাতে একটা লণ্ঠন নিয়ে ঢুকে পড়ে সেই পুরনো ঘরে।
সব ঠিকঠাক। একটু ধুলাবালি আর স্যাঁতসেঁতে গন্ধ। ঘড়ি রাত ১২টা বাজায়… হঠাৎ এক বিকট শব্দ — “ঠাক্ ঠাক্…”
রাফি উঠে দাঁড়ায়। বাতি কমে আসে। ঘরের দরজা খুলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়!
তারপর এক ফিসফিসে কণ্ঠস্বর:
“তুই কি আমার ঘরে ঢুকেছিস?”
রাফি ভয় পেয়ে বলে — — “কে? কে ওখানে?”
এক ঠাণ্ডা বাতাস তার গা বেয়ে যায়… আয়নায় ভেসে ওঠে এক নারী মুখ — কান্নাভেজা চোখে, আরেকটা কথা বলছে:
“আমার অপেক্ষা এতদিন কেন করলি…”
রাফি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
সকাল হলে গ্রামের লোকেরা তাকে বাড়ির উঠানে অজ্ঞান অবস্থায় পায়। জিজ্ঞেস করলে রাফি শুধু একটাই কথা বলে — “আমি ওর চোখের দিকে আর কখনো তাকাতে পারব না...”
এরপর কেউ আর ওই বাড়ির নামও মুখে আনে না।
শিক্ষা (হালকা মজা): ভূতের সাথে সাহস দেখাতে যাওয়ার আগে দুইবার ভাবো… কারণ তারা তোমার অপেক্ষাতেই থাকে!