: এক মুক্তিযোদ্ধার গল্প
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাস। দেশের প্রতিটি কোণ থেকে মানুষ রাইফেল হাতে যুদ্ধে নেমেছে। তাদেরই একজন ছিলেন — রফিকুল ইসলাম, বয়স মাত্র ১৯।
বাড়ি কিশোরগঞ্জ। মাকে বলে এসেছিলেন — — “মা, দেশে স্বাধীনতা আনবো। তুমি দোয়া করো।”
মা চোখ ভেজা রেখে শুধু বলেছিলেন — — “বাবা, শুধু একবার ফিরে আসিস…”
কিন্তু যুদ্ধ সহজ ছিল না। জীবন আর মৃত্যু সেখানে প্রতিদিনের খেলা। এক রাতে, মুক্তিযোদ্ধা রফিক এক পাহাড়ি আঘাতে গুরুতর আহত হন।
সঙ্গীরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে, কিন্তু বুঝতে পারে — সময় শেষের দিকে। রফিক তখন ব্যাগ থেকে কাগজ বের করে একটি চিঠি লেখেন… তার মায়ের উদ্দেশ্যে:
“মা, হয়তো আর দেখা হবে না। কিন্তু আমি ভেবেই শান্তি পাই — তোর ছেলে একটা স্বাধীন দেশ রেখে যাচ্ছে। আমার রক্ত যেন এই মাটির গায়ে আঁকা থাকে। মা, আমার জন্য কাঁদিস না। বিজয় আসবে, আমি দেখবো না — কিন্তু তুই দেখবি। তোর চোখেই আমার দেখা হবে।”
সেই চিঠি আজও রফিকুল ইসলামের গ্রামের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রাখা আছে।
তার মা? আজ বয়স ৮৫+, তিনি এখনো সেই চিঠি পড়ে বলেন — “ছেলে আমার আসেনি, কিন্তু একটা লাল-সবুজ পতাকা এনেছে।”
শিক্ষা: আমাদের স্বাধীনতা শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধিকার নয়, এটা হাজারো রক্ত আর চোখের জলের বিনিময়ে কেনা এক অমূল্য ভালোবাসা।