আনিকার জীবনটা খুবই অদ্ভুদ । সে সারাক্ষণ একটা মুক্তির পথ খুঁজে । কিন্তু সে জানে না তার কষ্টের শেষ কোথায় । আনিকা ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্ট মনে নিয়ে বড় হয়েছে । তার মায়ের যত সম্পত্তি ছিল সেই গুলো বিক্রি করে আনিকা কে ইন্টার পাস করাইছে । আনিকার জীবনে বাবা শব্দটা যেনো থেকে ও নেই । আনিকার বাবা কন্যা সন্তান পছন্দ করেন না । তাই আনিকার কোনো চাওয়া পাওয়া তে তার কিছু আসে যায় না। আনিকার জন্য তার মাকে অনেক কষ্ট ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে । কিছু করার নেই কারণ তাদের যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই । আনিকা এখন টিউশন করে নিজের পড়াশোনার খরচ ও পরিবারের খরচ চালায় কারণ তার বাবা চাল, বাজার ইত্যাদি খরচ কিছুই ঠিক মত দেয় না । আনিকার বাবা ইনকাম করে এবং বাইরেই খাবার খায় । বাসার কারো সাথে ঠিক মত কথা বলে না । যাই হোক বাসায় থাকতে দিয়েছে এটাই অনেক । আজকাল আনিকা হাপিয়ে ওঠেছে পড়াশোনার খরচ আবার সংসারের খরচ চালানো তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না । আনিকা বাবা যখনই বাসায় আসে তখনই তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আর নানা রকম কথা শোনায় । বলতে গেলে তাদের বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে । আনিকা জানে না কোথায় যাবে কি করবে । কিন্তু আনিকা নিজের জীবনের ওপর বিরক্ত ও ক্লান্ত । আনিকা শুধু ভাবে যে সে কবে এই জীবন থেকে মুক্তি পাবে ।
আনিকা জানে না তার জীবনের গল্পের শেষ কোথায় , সে শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে নীরবে কান্না করে । বাবা থেকে ও সে বাবার আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত । কি অপরাধ ছিল আনিকার । কেনো তার জীবনটা এমন ।
আনিকার স্বপ্ন , ছোট ছোট আবদার , চাওয়া পাওয়া আর মনের মধ্যে জমানো সব আবেগ মনের মধ্যেই রাখে কখনও প্রকাশ করেনি । আনিকা শুধু তার জীবনের গল্পের শেষ কোথায় এটা দেখার অপেক্ষাতে আছে ।
আনিকা কি কখনও তার এই কঠিন জীবন থেকে মুক্তি পাবে ?