বিস্মৃতির সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছে সে—
আমার কৃষ্ণচূড়ার বিকাল, যাকে অনুভব করা যায় চিরায়ত অভ্যাসের মতো আপন কোনো গন্ধের ভেতর। যাপনের অপরিহার্য অংশ হয়ে তবু—তার না থাকার সময়গুলো বিষাদের মতো নীল তসবির দানায় জড়িয়ে যাচ্ছে ক্রমেই। বোধয় এটা একটা ঘোর, কেটে যাবে খুব দ্রুত। অথচ মিথ্যা ধারণারও আজকাল আয়ু ফুরোয় লাল শাড়ির ভাঁজ খোলা সময়ের আগেই। কেবল করুণ সত্যটাই প্রকট হয়ে ফুটে থাকে—
না হওয়া সম্পর্কের জমিনে।
ধূ ধূ শূন্যতায় পুড়ে গেলে চোখ—হয়তো আমার স্বপ্নেরা নত হবে, চুপ হয়ে যাবে। কিন্তু আজন্ম সংযমী স্বপ্নেরা বেপরোয়া হয়েছিলো কেন? কে শিখিয়েছিলো জীবনের নতুনতর পরিভাষা? সম্ভাব্য বিচ্ছেদ অথবা পরিণয়-হীনতার ঝড়কে সামলে নিয়েই তো চিঠি লেখা হয়েছিলো আমাদের ব্যক্তিগত ডাকবাক্সে। তবু কেন দুঃখ দুঃখ হয়ে থাকে পরিবেশ, নিঃশ্বাসের সীমানা?
যে থাকে, না থাকার মতো তীব্র হয়ে—সে কোন মিছে আলিঙ্গনে বিস্মৃত হবে! কার মুঠোয় ঘামতে দিবে একান্ত আঙুলের রেখাগুলো? সুন্দরের যাবতীয় স্মৃতিই তো তাকে ঘিরে কোরাস করে অহর্নিশ। সামাজিক সভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে খুঁজতে জানে আত্মার প্রয়োজন—সে কেন তথাগত শৃঙ্খলের শিকার হবে? একসাথে সন্ধ্যা গায়ে মাখার মতো দিনে, সে ফিরে আসুক না—নিজস্ব ডাকনামের মানুষ হয়ে!