Subtotal
0 ৳
Shipping and taxes calculated at checkout.
or Continue Shopping →
আমি মুক্তি চাই—ফুলেল অভ্যর্থনার এই কারাগার থেকে। ফিরতে চাই মা, মাটি আর প্রেমিকার রাইসুন্দরে।
কোথাও একটুখানি শান্তির সুবাতাস নেই। অস্থিরতার লু হাওয়া বইছে চারদিকে। বাতাসে ভাসছে কাতর শোকের মাতম...
শুধুই ঘড়ির কাঁটা বেয়ে সময়ের আয়ু কমা দেখি—কাতর সুন্দর।
যে থাকে, না থাকার মতো তীব্র হয়ে—সে কোন মিছে আলিঙ্গনে বিস্মৃত হবে! কার মুঠোয় ঘামতে দিবে একান্ত আঙুলের রেখাগুলো?
দু'টি নাম—তাদের অদ্যাক্ষরের মতো যতোটা পাশাপাশি, ততোটাই কি নিকটবর্তী না—একসাথে জোছনা দেখার আকাশ?!
সন্তাপি হৃদয়ের এমনই লাগামছাড়া শোক! এমনই অসহিষ্ণু—ক্রমাগত একা হয়া যাওয়া।
যেমন চুম্বনের অধীরতা বুঝিয়ে দেয়—মনের কন্দরে বয়ে চলা ঝড়ের বিস্তৃতি কতদূর গভীর।
প্রায় সকালেই যখন দেখতাম অজস্র হিজল ফুল দিঘির কালো জলে ভাসছে, ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছে আরও—কি বিষম দুঃখ হতো তখন!
আমাদের মায়েদের আত্মা অপূর্ণ থেকে যায় স্নেহে, যত্নের পরম্পরায়।
কিন্তু এখানের আকাশ বিবর্ণ, মুচড়ে যাওয়া কাপড়ের ভাঁজ যেন।
যাযাবরী হাওয়া একবার যাকে পেয়েছে—ঘর কখনো তার গন্তব্য হয়ে থাকেনি। দিনে দিনে পৃথিবীর আশ্চর্য সুন্দরের রহস্যই তার ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
কিন্তু প্রেমিকার মুখ ঠিকঠাক কে কবে এঁকেছে!
আমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, ওড়ার ক্ষমতাও আমার আছে, তবু খোঁড়া হয়ে আছি কেন—যদি জানতেন মৌলভি রুমি!
অথচ তুমি ঋ—বুঝিয়ে দিয়ে যাও—জগতে নির্ঝঞ্ঝাট কিছুই হয় না। আধিপত্য কেবল দুঃখ নামের—দূরত্বেই যার প্রবল দৌরাত্ম্য।
ওখানে শীত নামে, অজস্রে? খোলা জানলায় দেখছি তুমি ঘুমিয়ে আছো—শীতের ফোঁটা ঠোঁটে নিয়ে।
মৃত্যু কতোটা নিঃশব্দে ভেঙে যাইতেছে আমারে দিন দিন—কারে বলব সেই কথা?
কী সুন্দর বিকাল নামলো তোমার চোখে— ভেজা পদ্মের মতো, ভাসছে প্রেমের সাফিনা নীল নদে।
কান্না ভুলে গেলে আমি সমুদ্রের দ্বারস্থ হই। গম্ভীর, নতমুখে হাবিজাবি এঁকে দিয়ে নিঃসঙ্গতাকে অনুভব করি।
এতোটা অত্যাচারী স্বপ্ন—ঘুম ভাঙিয়ে দেয় মারমেইডের মতো—ভাসা ভাসা ঘুমের সমুদ্র ঠেলে জেগে ওঠো—গজদন্তিনী
আজ জেগে থাকবো সারাটা শীতকাল বিস্তারিত এই জেগে থাকা।