*
যদি ফুলগুলো সবসময় সেখানে থাকতো, তোমার নজরের অপেক্ষায়? এমনই ছিলো মিশরীয় চারুশিল্পী মাঈ রেফকির চিত্রপ্রদর্শনীর আমন্ত্রণপত্র। মাঈ রেফকি তার দুটি শিল্পকর্ম নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন জামালেক আর্ট গ্যালারির গ্রীষ্মকালীন প্রদর্শনীতে। সেখানেই ঢুঁ দেয়া হলো গত সন্ধ্যায়।
এলাকাটা আমাদের গুলশানের মতো পশ। বিলিয়নারদের বসবাস এইখানে। তাই রাস্তাঘাট, বুকস্টোর কি কফিশপ—সবকিছুই এস্থেটিক। নীলনদের হিম হাওয়ামাখা সন্ধ্যায় দু'টি
গ্যালারি ঘুরলাম। রঙ, রেখা ও অভিজাত পটসমৃদ্ধ একেকটা চিত্রকর্ম নজর কাড়লো।
মিশরীয় নন্দনের ইতিহাস তো প্রাচীন সভ্যতার গভীরে প্রোথিত। ফারাওদের সময়কার চিত্রগুলো নিয়ে ভাবলেই মাথা নষ্ট হয়ে যায়। আধুনিক শিল্পেও তাদের ঐতিহ্য যে কী পরিমাণ সমৃদ্ধ—এটা বোঝা যায় প্রায় প্রত্যেকটা ভার্সিটিতে চারুকলা অনুষদের উপস্থিতি দেখে। চিত্রকলা, ভাষ্কর্য এবং স্থাপত্যশৈলিতে প্রাচীন ও আধুনিক ধারা মিলেমিশে নান্দনিকতার এক অনবদ্য রূপ তৈরি করেছে এরা।
পুরো কায়রোতে যে কয়টা আর্টগ্যালারি আছে—সংখ্যা বলা মুশকিল। কিন্তু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধ শিল্পকলার জন্য কায়রো সুপরিচিত। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীদের কাজ এতো বিপুলভাবে প্রদর্শিত হতে আর কোথাও দেখি নাই আমি।
এই তো, প্রত্যেকটা আর্টই কবিতা লাগে আমার কাছে। কবিতা পড়ার মতো করে আর্টকে অনুভব করি আমি। বিমূর্ত ভাষাকে বুঝতে চাওয়ার এই রিহলা কোথায় নিয়ে দাঁড় করায়, কে জানে!