বিরতির সময়টা খুব দ্রুতই ফুরিয়ে যায়—মাড়ভাঙা সময়েরও আগে। প্রতিটা প্রাতিষ্ঠানিক বিরতি আমাদের এই উপলব্ধিই দেয়। অক্ষর চেনার দিনগুলো থেকে নিয়ে শিক্ষকের আসন পর্যন্ত—পুরো জার্নিটা আমরা কাটিয়ে দেই পরিবারের অতৃপ্ত স্পর্শ নিয়ে। আমাদের মায়েদের আত্মা অপূর্ণ থেকে যায় স্নেহে, যত্নের পরম্পরায়। আমরাও ফিরে আসি ক্যাম্পাসে—একটা হাহাকারভরা মন নিয়ে। কিতাবের ভাঁজে মায়ের গন্ধ খুঁজে পাই আরও কতগুলো দিন, রাতগুলো ভার হয়ে থাকে চেনা বিছানার শোকে। এভাবেই আমরা অন্তহীন যাতনাকে আয়ত্ব করে ফেলি বছর বছর। ডায়েরির পৃষ্ঠাগুলো কালো দাগে ভরে যায়, মূলত ঐটাই আমাদের সামগ্রিক যাপনের স্থিরচিত্র।
কার্তিক মাস শুরু হয়েছে, বাতাসে শীতের আবহ টের পাওয়া যায়। এই সময়ের সন্ধ্যাগুলোর প্রতি আমার অন্যরকম মায়া কাজ করে। গতকাল যখন ঢাকা ফিরছিলাম—এমন একটা সন্ধ্যা ট্রেনের ঝিক ঝিক ছন্দের ভেতর দিয়ে মাথায় ঢুকে গেলো—কুয়াশাচ্ছন্ন ধানক্ষেত, শ্যাওলায় মজা পুকুর আর রেলওয়ের মরচে পড়া স্লিপার সমেত। হু হু বাতাস বয়ে গেলো বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত। নাগরিক কোলাহলে মুখর এই শহরের চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যখন পৌঁছলাম চেনা স্পর্শে—বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার কৃষ্ণচূড়ার বিকাল। দম আটকে থাকা যে সময়টা এতোদিন পার হলো—একটু বুঝি হালকা হয়ে এলো। এভাবেই রাতের ঘড়ি ক্লান্ত হয়ে গেলে, পৃথিবীতে আরও একটি দীর্ঘ পথের সূচনা হয়।
কার্তিক মাস শুরু হয়েছে, বাতাসে শীতের আবহ টের পাওয়া যায়। এই সময়ের সন্ধ্যাগুলোর প্রতি আমার অন্যরকম মায়া কাজ করে। গতকাল যখন ঢাকা ফিরছিলাম—এমন একটা সন্ধ্যা ট্রেনের ঝিক ঝিক ছন্দের ভেতর দিয়ে মাথায় ঢুকে গেলো—কুয়াশাচ্ছন্ন ধানক্ষেত, শ্যাওলায় মজা পুকুর আর রেলওয়ের মরচে পড়া স্লিপার সমেত। হু হু বাতাস বয়ে গেলো বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত। নাগরিক কোলাহলে মুখর এই শহরের চড়াই উৎরাই পেরিয়ে যখন পৌঁছলাম চেনা স্পর্শে—বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো আমার কৃষ্ণচূড়ার বিকাল। দম আটকে থাকা যে সময়টা এতোদিন পার হলো—একটু বুঝি হালকা হয়ে এলো। এভাবেই রাতের ঘড়ি ক্লান্ত হয়ে গেলে, পৃথিবীতে আরও একটি দীর্ঘ পথের সূচনা হয়।