বৃষ্টিস্নাত আলেকজান্দ্রিয়ার কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই আমার। কিছু সুন্দরের মুখোমুখি বসে শব্দহীন হয়ে যাই। পৃথিবীতে এখন কোন মৌসুম চলছে—এই জিজ্ঞাসা ছুড়ে দিয়ে অপেক্ষা করি। জানা উত্তরও কেমন চুপসে যায় ঢেউয়ের তোড়ে।
এই একটা শহর—যাবতীয় কোলাহল বুকে নিয়ে কী শান্ত, নিঝুম হয়ে থাকছে! এমন নিরুপদ্রব জীবনের লোভেই বুঝি নিয়মতান্ত্রিকতা আমাকে ছুঁলো না, ভাঙলো কতো ভাপ ওঠা সম্পর্কের ছাঁচ। কী এক দুর্বোধ্য অবহেলায় নিজেকে সঁপে দিলাম—সমুদ্রই কেবল আগলে নিলো মানুষের ভীড়ে।
অসম্ভব মাথা ব্যথা নিয়ে একাকি বসে আছি সমুদ্রের পাড়ে। শীতার্ত বাতাস দুলিয়ে দিচ্ছে শরীর, নোনাবিষাদের জল। কান্না ভুলে গেলে আমি সমুদ্রের দ্বারস্থ হই। গম্ভীর, নতমুখে হাবিজাবি এঁকে দিয়ে নিঃসঙ্গতাকে অনুভব করি।
ব্রিজের রেলিঙে একাকি আমাকে দেখে ভয় পাও কেন? অবশ্য আমার নিজেরই বুক ধক করে ওঠে অসীম শূন্যতাকে যখন কানের কাছে হিসহিস করতে শুনি। ভীরু যাত্রী বলে হা হা করে ওঠি নিশ্চুপে।