এমন ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যাগুলায় মেঘ হয়া যাওয়া মানুষের গল্প শোনাইতে ইচ্ছা করে। যাদের জানা ছিলো না গল্পের কলকব্জা ও লোকায়ত ধ্যানের আবহ। তাদের আশলে কথা রাখারই কোনো দায় ছিলো না, ছিলো না নিস্তরঙ্গ রাতের অন্ধকার ফুঁইড়া হদয়ের ভাঁজে কিছু একান্ত হৃদয়গত গল্প রাখার প্রয়োজনীয়তা। পাশাপাশি হাঁইটাও দূরত্বের নীল রেখা ভাইঙা কাছাকাছি হইতে পারলো না—এমন শোকের মাতম ঝুইলা থাকলো এক কোটি নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে। মনে হয় একটা ভাণের ভিতর দিয়া তারা পরস্পররে হারায় ফেললো। নিজেদের ভালো রাখার অজুহাতে, বিস্মৃতির প্রাণান্ত চেষ্টায় কাইটা গেলো অহেতুক বাদলা দিন—অভ্যস্ত হয়া ওঠলো ভাঙনের নতুনতর পরিভাষায়।
২.
ক্যালেন্ডারের তারিখগুলা বদলায় না ক্যান? এমন কোনো আনোখা তারিখ আসতে পারে না—যার গায়ে স্মৃতির বিহ্বল কোনো গন্ধ থাকবে না? আজকাল লিখতে বসলেই অসম্ভব রিক্ততা নিয়া একই তারিখ ঘুইরা-ফিরা আসে। যা ফালায় আসছি, যা পাই নাই—রণিত হইতে থাকে পৃষ্ঠা জুইড়া। কেন এমন হয়, কেন তেমন হয় না—এক অদ্ভুত জিজ্ঞাসা এইটা। ব্যাপারটা যত এড়ায় যাইতে চাই, তত লাগে জড়ায় ধরতেসে আমার ভিতর বাহির। ক্লান্ত হয়া যাই। এই যে ঈদ ঈদ আবহাওয়া সবখানে, অথচ মনে হয় বছরের সবচে ক্লান্তকর, দীর্ঘ এবং একঘেয়ে দিন হইলো আমার ঈদের দিন। যার কোনো রঙ পরিবর্তন নাই।
৩.
নিজেরে ভালো রাখার নাম কইরা কেবলই ছলনা কইরা গেলাম—নিজের সাথে। অচিন হাওয়ায় ভাসলাম, ডুবলাম জলহীন মনে। যে যেইভাবে কথা দিলো—পূরণ করার দায়িত্ব কেবল নিজের কাঁধেই চাপাইলাম। অবিবেচকের মতোন। দিন শেষে যখন সবার আখের সমৃদ্ধ, প্রাপ্তির কলহাস্যে ভরপুর—আমিই শুধু একাকী, রিক্ত। মহা জীবনের কাছে চাওয়ার কিছু নাই, ঢের দিসে আমারে। যাত্রীদের ছাইড়া যাওয়া বন্দরে যেইভাবে পইড়া থাকে নানাবিধ উচ্ছিষ্ট, বোধ করি জীবনের চাওয়াগুলার পরিণতি তেমনই। কে আমি? একটা পরিত্যক্ত প্লাটফর্ম, শুকনা হৃৎফুল—অজস্র বেদনার পরাগায়ন।
৪.
কান্না—বড়ো বেশি সংক্রামক। একদম অজানা কারণে, চির অচেনা মানুশের বুকফাটা আহাজারিও মনের ভিতর ছাপ ফেইলা যায়—নিরবে, নদীর পাড় ভাঙার মতোন। যেই শব্দের কোনো আওয়াজ নাই। হয়তো অই মানুশটার ব্যথাটারে তার মতো কইরা অনুভব করা যায় না, কিন্তু অদ্ভুত রকমের একটা চিনচিনা ব্যথা ঠিকই নিস্তেজ কইরা দেয় শক্তি, বোধ আর কথারে। দূরের জন্য এই অন্তহীন যাতনার শেষ নাই, যেই দূর অভিন্ন সীমানায় পাশাপাশি বাইড়া ওঠে, ভীষণ। সন্তাপি হৃদয়ের এমনই লাগামছাড়া শোক! এমনই অসহিষ্ণু—ক্রমাগত একা হয়া যাওয়া।
২.
ক্যালেন্ডারের তারিখগুলা বদলায় না ক্যান? এমন কোনো আনোখা তারিখ আসতে পারে না—যার গায়ে স্মৃতির বিহ্বল কোনো গন্ধ থাকবে না? আজকাল লিখতে বসলেই অসম্ভব রিক্ততা নিয়া একই তারিখ ঘুইরা-ফিরা আসে। যা ফালায় আসছি, যা পাই নাই—রণিত হইতে থাকে পৃষ্ঠা জুইড়া। কেন এমন হয়, কেন তেমন হয় না—এক অদ্ভুত জিজ্ঞাসা এইটা। ব্যাপারটা যত এড়ায় যাইতে চাই, তত লাগে জড়ায় ধরতেসে আমার ভিতর বাহির। ক্লান্ত হয়া যাই। এই যে ঈদ ঈদ আবহাওয়া সবখানে, অথচ মনে হয় বছরের সবচে ক্লান্তকর, দীর্ঘ এবং একঘেয়ে দিন হইলো আমার ঈদের দিন। যার কোনো রঙ পরিবর্তন নাই।
৩.
নিজেরে ভালো রাখার নাম কইরা কেবলই ছলনা কইরা গেলাম—নিজের সাথে। অচিন হাওয়ায় ভাসলাম, ডুবলাম জলহীন মনে। যে যেইভাবে কথা দিলো—পূরণ করার দায়িত্ব কেবল নিজের কাঁধেই চাপাইলাম। অবিবেচকের মতোন। দিন শেষে যখন সবার আখের সমৃদ্ধ, প্রাপ্তির কলহাস্যে ভরপুর—আমিই শুধু একাকী, রিক্ত। মহা জীবনের কাছে চাওয়ার কিছু নাই, ঢের দিসে আমারে। যাত্রীদের ছাইড়া যাওয়া বন্দরে যেইভাবে পইড়া থাকে নানাবিধ উচ্ছিষ্ট, বোধ করি জীবনের চাওয়াগুলার পরিণতি তেমনই। কে আমি? একটা পরিত্যক্ত প্লাটফর্ম, শুকনা হৃৎফুল—অজস্র বেদনার পরাগায়ন।
৪.
কান্না—বড়ো বেশি সংক্রামক। একদম অজানা কারণে, চির অচেনা মানুশের বুকফাটা আহাজারিও মনের ভিতর ছাপ ফেইলা যায়—নিরবে, নদীর পাড় ভাঙার মতোন। যেই শব্দের কোনো আওয়াজ নাই। হয়তো অই মানুশটার ব্যথাটারে তার মতো কইরা অনুভব করা যায় না, কিন্তু অদ্ভুত রকমের একটা চিনচিনা ব্যথা ঠিকই নিস্তেজ কইরা দেয় শক্তি, বোধ আর কথারে। দূরের জন্য এই অন্তহীন যাতনার শেষ নাই, যেই দূর অভিন্ন সীমানায় পাশাপাশি বাইড়া ওঠে, ভীষণ। সন্তাপি হৃদয়ের এমনই লাগামছাড়া শোক! এমনই অসহিষ্ণু—ক্রমাগত একা হয়া যাওয়া।