মাগরিবের ওয়াক্তটা এতো বিচ্ছিরি করুণ! পৃথিবীর সমস্ত বিষাদ এই সময়ে নাজিল হয়—ভাবি। বাতাসে আগরবাতির গন্ধ ভাইসা আসে মরা দালানগুলার ভিতর থেইকা। ভয় লাগে হঠাৎ। মৃত্যু কতোটা নিঃশব্দে ভেঙে যাইতেছে আমারে দিন দিন—কারে বলব সেই কথা?
এতো বিশ্রী ভাবে একা লাগতে থাকে এই সন্ধ্যায়—খালি ডুকরায়ে উঠি। ফেলায়ে আসা জীবনটারে মনে পড়তে থাকে। পৃথিবীর কিছুই আক্রান্ত করে না, আকৃষ্টও না। আমার এই নাজুক অবস্থা থেইকা মুক্তি কেন নাই?
সারাটা দুপুর ফোঁপায়ে কানলাম নীল নদের পাড়ে দাঁড়ায়ে। এতো দমবন্ধ আর লাগে নাই, কি বা লাগলেও কান্দি নাই। আজ কী হইলো—মায়ের কাছে থাইকা মায়েরেই মনে পড়তে থাকলো। হাউমাউ কইরা কানলাম। জগতে কিছু দুঃখের কি কোনোই এলাজ নাই!
আমি তো নিজেরই আপন হইতে পারি নাই, অন্যে কেন আপন হবে আর! মাগরিবের ওয়াক্ত হইতেই বিচ্ছেদ জাঁইকা ধরে আমারে। নিজের ছায়ারে অচেনা লাগে। আমার মৃত্যুর কি খুব বেশি দেরি নাই আর?