একটা সুরের মতো আবহ, একটা পরিচিত ঘ্রাণের মতো আবেশ, একটা প্রিয়তম স্পর্শের মতো আকুলতা নিয়ে জোছনাগলা বাতাস বয়ে গিয়েছিলো সেই রাতে। খোলা আকাশের নিচে এভাবে শুয়ে থাকা—স্বপ্নের মতো ছিলো ঢাকার সীমাবদ্ধ জীবনে। এখানে, এই পাহাড়ের দেশে কোনও সীমাবদ্ধতা নেই, নেই অতিরিক্ত জবাবদিহিতা। অথচ কেমন এক হাহাকার লেপ্টে থাকে বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে, অচিন একটা ব্যথায় মুষড়ে পড়ে মন। একটা মানুষের না থাকা—এতোটা প্রকট হয়ে ফুটে থাকতে হয় প্রতিদিনের ক্যালেন্ডারে? এতোটাও নিঝুম হতে পারে বিষাদের কোনও সুর!
একসাথে পথচলার যাবতীয় স্মৃতি ধূসর হয়ে তারিখ-লেখা চৌকো ঘরগুলো ভরে উঠেছে করুণ নিঃসঙ্গতায়। মলিন হয়ে গেছে আমার দিকশূন্যপুর, যেখানে দাঁড়িয়ে পলকেই পেরিয়ে যেতাম আড়াইশো কিলোর দূরত্ব। নিঃশ্বাসের ভেতর দিয়ে সবটুকু শুষে নেয়ার যে আকুলতা মেখে থাকতো প্রতিবারের আলিঙ্গনে—হিংসা করতো বুঝি শহরের সমস্ত কোলাহল!
অবাক বিস্ময়ে দেখতো, সামাজিক গোঁড়া-দৃষ্টিকে তুচ্ছ করে দু'টি মন কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দৃঢ়পায়!
দু'টি নাম—তাদের অদ্যাক্ষরের মতো যতোটা পাশাপাশি, ততোটাই কি নিকটবর্তী না—একসাথে জোছনা দেখার আকাশ?!
একসাথে পথচলার যাবতীয় স্মৃতি ধূসর হয়ে তারিখ-লেখা চৌকো ঘরগুলো ভরে উঠেছে করুণ নিঃসঙ্গতায়। মলিন হয়ে গেছে আমার দিকশূন্যপুর, যেখানে দাঁড়িয়ে পলকেই পেরিয়ে যেতাম আড়াইশো কিলোর দূরত্ব। নিঃশ্বাসের ভেতর দিয়ে সবটুকু শুষে নেয়ার যে আকুলতা মেখে থাকতো প্রতিবারের আলিঙ্গনে—হিংসা করতো বুঝি শহরের সমস্ত কোলাহল!
অবাক বিস্ময়ে দেখতো, সামাজিক গোঁড়া-দৃষ্টিকে তুচ্ছ করে দু'টি মন কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে দৃঢ়পায়!
দু'টি নাম—তাদের অদ্যাক্ষরের মতো যতোটা পাশাপাশি, ততোটাই কি নিকটবর্তী না—একসাথে জোছনা দেখার আকাশ?!