রাহাত ক্লাস ফোরে পড়ে। সে শহরের এক স্কুলে নিয়মিত ক্লাস করে এবং পড়াশোনায় খুব ভালো। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় গুণ হলো— সে নিজের দেশকে খুব ভালোবাসে।
একদিন স্কুলে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়— "স্বাধীনতা দিবস উদযাপন"। সবাই দেশাত্মবোধক গান গায়, পতাকা উত্তোলন করে, কবিতা আবৃত্তি করে। রাহাত মঞ্চে উঠে বলে,
"আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এই দেশ আমার মা। আমি বড় হয়ে দেশের জন্য কিছু করতে চাই।"
তার কথাগুলো শুনে সবাই খুব খুশি হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাহাত যখন বাড়ি ফিরছিল, তখন রাস্তায় সে দেখে কিছু ছেলে চিপসের প্যাকেট ফেলে পরিবেশ নোংরা করছে। সে তাদের থামিয়ে বলল,
"তোমরা যদি সত্যিই এই দেশকে ভালোবাসো, তাহলে তাকে পরিষ্কার রাখো। দেশের প্রতি ভালোবাসা শুধু মুখে নয়, কাজে দেখাতে হয়।"
ছেলেরা প্রথমে লজ্জা পেল, তারপর রাহাতের সঙ্গে ময়লা কুড়িয়ে ডাস্টবিনে ফেলল।
পরের দিন স্কুলে সবাই রাহাতকে বাহবা দিল। শিক্ষক বললেন,
"রাহাত প্রমাণ করেছে, দেশের প্রতি ভালোবাসা মানে দায়িত্ব নেওয়া।"
📝 গল্পের শিক্ষা:
দেশকে ভালোবাসা মানে শুধু পতাকা নাড়ানো নয়, বরং দেশকে সম্মান করা, পরিচ্ছন্ন রাখা, সৎ থাকা ও দায়িত্ব পালন করাও ভালোবাসার অংশ।