সন্ধ্যায় বের হয়েছিলাম। একটু পর বাসা থেকে ফোন। ডিম, পরোটা ও চাউল লাগবে।
পরোটা ও ডিম কিনলাম দোকান থেকে। এই দোকানের নাম নিত্য বাজার। পকেট হাতায় দেখি, মাল বেশি নাই। পরোটা ও ডিমের পরিমাণ কমালাম।
কি হইছে, ভাই?
দোকানদার আমাকে জিজ্ঞেস করেন।
চাউল কিনতে হবে। টাকা কম আছে।
আমি উত্তর দিলাম।
আরে ভাই, আমার কাছে চাউল আছে, নেন।
আমিও নিজেও আগে খেয়াল করিনি। নিত্য বাজারে অনেক চাউল।
এমনিতে অনীক ভাইয়ের দেখানো শাহিন রাইস থেকে চাউল কিনি। ঢাকা বড় জায়গা। প্রতিবার কেনার সময় বলা লাগে।
ভাই, ভালো চাউল দিয়েন। অনীক ভাই পরিচয় করায়ে দিছিল। অনীক ভাই সোহেল ভাইয়ের বন্ধু। সোহেল ভাইয়ের মেডিসিনের দোকান।
শাহিন রাইস বলে, হ ভাই, চিনছি।
হালায় চিনছে কি না, সন্দেহ আছে।
বাসায় চাউল শেষ হলে কিনি। বাসায় কোন অবজেকশন নাই। এভাবে চলছে।
তবে কুদ্দুস ভাই আমারে মনে রাখছে। কুদ্দুস ভাইয়ের দোকানে আরেকদিন গিয়ে প্রমাণ পাইছি। কি কইছিলাম, সেও মনে রাখছে। কুদ্দুস ভাইয়ের সাথেও পরিচয় করায়ে দিছে অনীক ভাই।
নিত্য বাজারে চাউল দেখি। মিনিকেট খাই। বেশ কয়েক রকম মিনিকেট আছে।
চাউলের চেহারা, আর দাঁতের ফাকে কয়েকটা চাউল ফেলে টেস্ট করলাম। সাথে মাথায় থাকলো, দাম।
এরপর বললাম, দেন ঐ টা।
দোকানদার ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলো, কোনটা?
মাঝের একটা বস্তা দেখিয়ে দিলো।
এরপর দোকানদার আরেক ছেলেকে বলল, ভিতর থেকে ২৫ কেজি মোজাম্মেল দে।
সেই ছেলে ২৫ কেজি মোজাম্মেল ঘাড়ে করে নিয়ে আসলো। রিকশায় উঠায়ে দিলো।
ডিম ও পরোটার সাথে ২৫ কেজি মোজাম্মেল নিয়ে বাসায় চলে এলাম।