দূরের এক গ্রামে এক বাচ্চা শিশুর জন্ম হয়। তার শরীরে ফ্যাকাসে চামড়া ছিল। চোখগুলো তার বড় বড় ছিল। এই বাচ্চাটাকে লালন পালন করতে করতে তার মা বুঝতে পারল এ বাচ্চার মধ্যে কোন অনুভূতি নেই শুধু ছিল জম্বিদের মতো অতৃপ্ত ক্ষুধা। তাই তার মা তাকে এক ছোট্ট ঘরে আটকে রাখতো। যাতে তার গ্রামবাসীরা জানতে না পারে। আর প্রতিরাতে গ্রামের পশু প্রাণী চুরি করে তাকে খাওয়াতো। মা তকে এভাবে লুকিয়ে পালতো। কখনো কারোর মুরগি চুরি করত কখনো বা ছাগল। হঠাৎ একদিন এক মহামারী আসলো। যার ফলে সমস্ত পশুপখি মারা গেল। সাথে কিছু মানুষও মারা গেল। আর যে মানুষগুলো বেঁচে ছিল তারা গ্রাম ছেড়ে পালাতে লাগলো। কিন্তু মা, তার সন্তানকে ফেলে কিভাবে যায় । বাহিরে বের হয়ে তিনি কোন খাবারই খুঁজে পেলেন না। অতঃপর ক্ষুধায় কান্না করা ছেলেটিকে নিজের একটি পা কেটে খাওয়ালো। পরে এক হাত কেটে দিল। এভাবে বাকি হাত পা ও কেটে খাওয়ালো। এরপর শুধু বাকি ছিল তার দেহটাই। শেষবারের মতো নিজের দেহ দিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরল। এরপর নিজের দেহকে খেতে দিল। ছেলেটা তার দুহাত দিয়ে মাকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে নিল। আর জীবনের প্রথমবার কিছু বলল, “মা তুমি খুব সুন্দর”।
Comments
-
Syed Ziaul Sabbir
4 months ago
আমি কি এই গল্পটা দিয়ে একটা ভিডিও বানাতে পারি? আপনার নাম ক্রেডিটে থাকবে।