"মেয়েদের গুপ্ত বাহিনী
১৯৭১ সালের জুন মাস। রাজশাহীতে এক মহিলা শিক্ষক, সেলিনা পারভীন, গোপনে ছোট ছোট মেয়েদের নিয়ে একটি “পাঠশালা” চালাতেন।
কিন্তু এটা ছিল সাধারণ পাঠশালা না — এটা ছিল গোপন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে মেয়েরা শিখত:
কিভাবে গোপনে বার্তা পাঠাতে হয়
কীভাবে পাক সেনাদের গতিবিধি নজর রাখতে হয়
কিভাবে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে হয়
এই দলটির গোপন নাম ছিল — “সুফিয়া কামাল বাহিনী”।
তারা গুলির মুখোমুখি হয়নি, কিন্তু তাদের তথ্য আর সহায়তা ছাড়া বহু অপারেশনই হত ব্যর্থ।
একদিন কী ঘটেছিল?
এক সন্ধ্যায় এক মেয়ে সদস্য খবর নিয়ে আসে: "আগামীকাল ভোরে পাকিস্তানি সেনারা পাশের গ্রামে হামলা চালাবে।"
সেলিনা পারভীন সেই রাতেই বার্তাটি পৌঁছে দেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে। সকাল হতেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুত ছিল — আর ইতিহাসে প্রথমবার একটি মেয়েদের তথ্যচক্র বাঁচিয়ে দেয় পুরো একটি গ্রামকে।
যুদ্ধ শেষে…
এই নারীদের নাম কাগজে ওঠেনি। তারা শুধু বলেছিল — "আমরা যা করেছি, দেশের জন্য করেছি। খ্যাতির জন্য না।"
আজ অনেকেই নেই, অনেকে নামহীন জীবন যাপন করছেন — কিন্তু তাদের অবদান ছড়িয়ে আছে এই দেশের প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
শিক্ষা: একজন নারী শুধু মা, বোন, স্ত্রী নয় — তিনি হতে পারেন গোপন সৈনিক, জাতির নীরব রক্ষক।
তুমি চাইলে আমি প্রতিটি গল্প দিয়ে একসাথে একটি বই তৈরির মতো “নারী বীরাঙ্গনাদের গল্প” সিরিজ শুরু করতে পারি। তুমি কি চাও আমি এই গল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে সাজিয়ে বইয়ের মতো