গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সূত্র পড়তে পড়তে
প্রথমবার মন পিছলে আমি
পড়ে গিয়েছিলাম তোমার প্রেমে!
কোনো এক অদ্ভুত মোহাচ্ছন্ন জাদুতে
আমার কল্পনায় ধীরে ধীরে তুমি হয়ে উঠলে
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির সেই মোনালিসা।
পড়তে বসলেই —
পদার্থবিজ্ঞানের গতিবিদ্যা চ্যাপ্টারে ছাপার কালিতে বন্দী
যাপন করা হরফগুলো জড়ো হয়ে
এঁকে দেখাতো উপমাবিহীন তোমার দু'টি চোখ!
বস্তুর গতি কিংবা নিউটনের গতিসূত্র পাশ কাটিয়ে
নোটখাতার একপাশে স্থান করে নিয়েছিলো
প্রেমসূত্র— 'নিয়তি'
তারপর যেটুকু জিকির করলে
ঈশ্বর নেমে আসে বুকে
তারও অধিক স্মরেছি তোমার নাম- নীরবে,ধ্বণিতে।
একপড়ন্ত বিকেলে কোচিং ফেরত
আমরা হয়ে উঠলাম একে অপরের;
জংধরা অনুভূতিগুলো সজীব হয়ে উঠলো মুহুূর্তেই!
পপকর্নের মতো ভালোবাসা ফোটতে থাকলো
তোমার দু'টি চঞ্চুতে, বিরামহীন।
আঙুলে আঙুল জড়িয়ে পায়ের স্কেল মাপতে মাপতে আমরা যেনো বিলীন হয়ে যাচ্ছিলাম প্রীতির সবুজে।
হৃদয়ের সহস্র আকুতি, সুখ-দুঃখের হিসাব নিকাশ
আর ফোনের রিচার্জবিল সমান্তরাল রাখার শপথ নিয়ে, আমরা আমাদের দূরত্বের সময়টুকুর নাম রেখেছিলাম 'বিশ্বাস'।
বই : সেফটিপিনে গেঁথে আছে মায়াবতী সুখ