[ গল্পটা যেহেতু সত্যি ঘটানা অবলম্বনে লেখা তাই কাহিনি বিল্ডাপ হতে সময় লাগতেছে, ধৈর্য সহকারে পরুন আশা করি ভালো লাগবে, পরের পর্ব গুলো থেকে প্রেমালাপন শুরু হবে,]
প্রতি বছরের মত ইদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম, ঢাকা সদরঘাট এলাম তারপর আমাদের ভোলা যাওয়ার জন্য গ্রিনলাইন লন্স এ উঠলাম, একটা কেভিন নিয়ে সারারাত লম্ভা ঘুম দিয়ে ভোর বেলায় লন্স পৌছে গেল গন্তব্যে আমার, লন্স থেকে নেমে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কিছুক্ষন পর রিক্সা বাড়ির সামনে পৌছে গেলে, আমি রিক্সা থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ই বাড়ির উপরের লোকেরদের সাথে দেখা সবায় হায় হ্যালো করছে, কেমন আছি জিজ্ঞেস করছে, তারা কেমন আছে আমি জিজ্ঞেস করছি, কেউ বলতেছে চিকোন হয়ে গেছি, তো কেউ বলতেছে এখন ই ঠিক আছে, অবশেষে সবার সাথে কথা বলার পর আমাদের নিজ বাড়ির সামনে যখন আসছি ছোট বোন দৌরে আসছে চিল্লিতে চিল্লাতে আম্মু ভাইয়া আসছে, আম্মি তোমার ছেলে আসছে দেখো, সে দৌরে এসে আমার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে
বলেঃ কেমন আছো ভাইয়া?
আমি বললামঃ ভালো ই তুই?
বোনঃ ভালো, তয় তুমি এমন শুকাইয়া শুটকি হইছো কেন? এক্সের চিন্তায় কি খাওয়া দাওয়া ছাইরা দিছো?
আমিঃ তোর মাথায় সমস্যা আছে চুপ কর, চুন্নি
সামনে আম্মি চলে আসলো দৌরে এসে বলে কেমন আছো বাবা? আইতে কষ্ট হয়নাই তোমার?
আমিঃ তোমার সাথে না এক্টূ আগে ও কথা বলছি যে আমি গারিতে আসতেছি এতটূকু সময় এ কি হবে আমার কও তো? তোমরা ও না পারো বটে, চলো ঘরে চলো।
ঘরে ঢুকতে না ঢুকতে ই ছোট বোন বলে,
বোনঃ ভাইয়া তোমার পছন্দের নুডুলস রান্না করছি আমি নিয়ে আসছি হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হও,
আমিঃ জিনা সিস, আমি এখন নুডুলস খাইনা, এখন আমি নিয়মিত জিম করি, সো তোমার সখের জিনিস তুমি খাও, (মুখটা অন্য দিকে দিয়ে বললাম ভাব নেয়ার ভংগিতে) বোন হা করে তাকিয়ে আছে চোখ দুটো বড় বড় করে মনে হচ্ছে এখন ই বের হয়ে মাটীতে পরে যাবে, সে বেশি অভাগ হইছে আমি নুডুলস খাইনা শুনে আর তার থেকে ও বেশি অভাক আমি জিম করি শুনে তাতক্ষনিক সে বলে
বোনঃ ওমা গো মা হুনছো নাহি তোমার পোলায় কি কয় ? হে নাকি নুডূলস খায়না, যেই লোক নুডুলস রান্না কইরা না দিলে দুইদিন ধইরা ভাতখাইতো না, যেই লোক নুডুলস এর জন্য আমাকে থাপ্পার মেরে গাল কেটে দিছে সে নাকি এখন নুডুলস খায়না, আহা ( মুখ বাকিয়ে তোতলামো করে বলতেছে) আবার কি করে কইলো জিম? ওমাগো মা আমারে কেউ ধরো, মাথায় আসমান ভাইংগা পরতেছে রেহান ভাইয়ার কথা শুনে লে, জিম কলে জিম, হাহা হা হা ( করে হাসতেছে আর হাসতেছে)
আমি মাথায় একটা থাপ্পর দিয়ে বললাম বেশি ঢং করিস না যা ভাগ,
আম্মি বলবো তোর পছন্দের রুটি আর গরুর গোস্ত রান্না করছি এগুলা খেতে আয়, বোন চিল্লাইয়া বলতে লাগলো অকি আম্মি তোমার পোলায় তো জিম করে চর্বি জাতিয় জিনিস খেতে পারবে না, আমাকে দাও আমি খাচ্ছি,
আমি বললামঃ হুস হুস যা, মাঝে মধ্যে একটু খাইলে কিচ্ছু হবেনা আর তাছারা এতদিন পর আম্মির হাতের রান্না না খেলে কেমনে চলবে?
বোন বললঃ হুস হুস করে মুরকা তারাচ্ছো নাকি? আজব
আমিঃ নিয়ে আয় তারাতারি বেশি না বকে,
রুটি খাচ্ছি এমতাবস্থায় আম্মি ডেকে বলতেছে রেহান জামা কাপড় গুছিয়ে নিও ইদের পরের দিন ই আমরা আমার খালাতো বোনের বাসায় যাবো, ওর মেয়ের বিয়ে, তাই আমাদের যেতে বলল,
আমিঃ কি বল এসব ঢাকা থেকে বাড়ি আসছি দুইদিন থাকবো বাসায় তানা অন্যদের বাসায় যেতে বলছো এটা সম্ভব না তুমি যাও,
আম্মিঃ আমি যেতে বলছি আমার সাথে যাবি, আর কোন কথা হবেনা,
আমিঃ আম্মি দেখো বোঝার চেষ্টা কর বিয়ে কয়েক দিন পর এর এত আগে গেলে কেমনে হয়? আর তাছারা এক ফ্যামিলি থেকে এত লোক গেলে মানুষ কি বলবে ভেবে দেখেছো, মানুষের কথা না হয় বাদ দিলাম তবে তোমার বোন কি ভাববে যে, বিয়ের আগে সবায় এসে হাজির আবার এত লোক, এতে অনাদের ও খারাপ ফিল হবে,
আম্মিঃ আমাকে আরো দুইদিন আগে থেকে ফোন দিয়ে যালাচ্ছে কেন এখনো যাচ্ছিনা, তাদের কি আপন ভাবিনা, আরো কত কথা শুনায় কান্না করে করে, আমি বলছি রেহান আসেনি এখনো আসলে ইদের পরে বিয়ের একদিন আগে ই যাবো, সে রাগ হয়ে গেছে বলে রেহান ঢাকা থেকে সোজা আমাদের বাড়িতে চলে আসবে তুমি চলে আসো, এরকম বলে আমি ওর জন্য ফোন বন্ধ করে রাখছি কাল, আর এত মানুষ দেখে তারা কি বলবে সেটার বাপারে বলতে গেলে বাবা তারা অনেক বড় লোক, কে গেছে কত জন গেছে তাদের কাছে এগুলো ম্যাটার করেনা, অনাদের বাড়ি ফাকা ফাকা লাগে তাই আমাদের যাইতে বলতেছে আগে ই
আমিঃ ও আচ্ছা , তাহলে আম্মি পাশের বাসার মামাদের কুত্তা লালু টারে ধার করে নিয়ে যাই?
( আম্মি রাগ হয়ে ভ্রু কুচকিয়ে বলে কেন আমাদের বিড়াল থাকতে তুই পাষের বাসার কুত্তাডারে নিতে যাবি কেন ধার করে শুনি?)
আমিঃ তুমি না বললা ওনারা অনেক বড় লোক কে গেলে না গেল তা ম্যাটার করবেনা? তাই
আম্মিঃ তো আমাদের বিরাল ও তো আছে সেটা নিয়ে যেত পারোনা? পাশের বাসার কুত্তা ধার করতে যাবে কেন? গেলে আমাদের বিরাল ই যাবে
আমিঃ তাহলে তুমি ই যাচ্ছোনা কেন তোমার খালাতো বোনের বাড়ি? আমাদের কেন ধার করে নিয়ে যাচ্ছো?
আম্মি চুপ কর ব্যাগ গুছাই রাখবি ইদের পরের দিন ই আমরা যাবো,
আমিঃ আচ্ছা
কি করবো আর তো কোন উপায় নাই যেতে ই হবে
ইদের দিন আসল ইদ কেটে গেল পরের দিন ভোর হলো আম্মির চিল্লাচিল্লিতে ঘুম ভাজ্ঞল
এত বেলা হয়ে গেছে এখনো ঘুম থেকে উঠস না যাবি কখন? দুপুর বাঝাবি নাকি, দুপুরে কেউর বাড়ি কেউ যায়? উঠ
আম্মির চিল্লা চিল্লিতে উঠে দেখি কেবল ৭ টা বাঝে সকাল , কেমনডা লাগে? কোন রকম মাথা ঠান্ডা করে ফ্রেস হয়ে আম্মির সাথে রওনা দিলাম যাবার পথে খালার বাসা হয়ে যেতে হবে, সুতারং আমরা খালার বাসাতে নামলাম খালামনি ছারতে চাইলো না দুপুরে তার সেখানে খেয়ে বিকেলের দিকে রওনা দিলাম বিয়ে বাড়িতে, আমি বাজারের রাস্তায় নেমে আম্মিদের কে বললাম তোমরা যাও আমি বাজার থেকে ঘুরে তার পর বাড়িতে আসবো, আম্মি ও না বলেনি, তাই রিক্সাওয়ালেরে বললাম মামা একদম বাড়ির উঠানে নিয়ে নামাই দিবা, অতঃপর আমি বাজারের রাস্তায় ঘুরতে ফিরতে লাগলাম কিছুখন পর একটা অটোরিক্সা দিয়ে কিছু মেয়ে যাচ্ছিলো, আমি আমার ফোন টিপছিলাম, অটোরিক্সাটা পাশ দিয়ে যাবার সময় মেয়ে গুলো এত ঝোরে চিৎকার করে ভাইয়া ডাকদিছে আমি রিতিমত ভয় পেয়ে গেছি আর একটু হলে আমার হাত থেকে আমার ফোন টা রাস্তায় পরে ভেংজ্ঞে যেত, আমি দৌড়ে গাড়ি টা কে ধরতে চেষ্টা করলাম, অটোরিক্সার লোকটা আমার দৌরানো দেখে অটোরিক্সা টা দার করালো, আমি হাপাতে হাপাতে যেয়ে বললাম,
আমিঃ কি সমস্যা আপনাদের এত ঝোরে চিৎকার টা কেন দিলেন?
মেয়ে গুলোর ভিতর থেকে একটা বলে উঠলো, ভাইয়া চিৎকার কোথায় দিলাম আমরা তো শুধু ভাইয়া ডাকছিলাম,
আমি রাগ হয়ে বললাম
আমিঃ আমি তোমাদের কোন জনমের ভাইয়া লাগি শুনি? একটূ হইলে আমার রুহু ডা বের হইয়া যাইতো এভাবে রাস্তাঘাটে কেউ টীচ করে?
মেয়েদের থেকে একজনঃ ভাইয়া টীচ করি নাই তো শুধু ভাইয়া ডাকছি, আর ভাইয়া ডাকবো না তো কি ডাকবো দুলাভাই ডাকবো? ( মুখ বাকিয়ে )
আমিঃ ছি ছি দুলাভাই কেন ডাকবা? ( তোতলিয়ে বললাম), আমার নাম আছে নাম ধরে ডাকবা-
একজন বললঃ কি নাম শুনি
আমিঃ রেহান বইলো, কারন আমার নিজের বোন আছে, সো আমার বোনের অভাব নাই তাই
মেয়েগুলোর থেকে পিছন থেকে কে যেন বলল তাহলে কি বউয়ের অভাব আছে? এটা শুনেই সব মেয়ে রা হেসে দিলো আর অটোরিক্সার ড্রাইভার তার অটোরিক্সা নিয়ে চলে গেলে, মেয়েটাকে দেখা ও হলোনা, তারপর ঘুরে ফিরে সন্ধার দিকে কিছু ফল, ( আম, আপেল, আঙ্গুর, ড্রাগন, লিচু ) বিস্কুট আরো অন্যান্য হাবি জাবি নিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম, যেতে যেতে রাত হয়ে গেল অটোরিক্সাটি বাড়ির উঠানে দারিয়ে হর্ন বাজাচ্ছে আমি মেসেজ করে বোন কে বাহিরে ডাকলাম আর ভিতর থেকে আমার বোন দৌরে আসল সে আমাকে ভিতরে দেখে হাসতে শুরু করলো বলল ভাইয়া তোকামাকে তো দেখা ই যাচ্ছেনা এত কিছুনিয়ে বইসা আছো। হটাৎ মেয়েদের হাসির শব্দ শুনতে পেলাম বোনের পিছনে তাকিয়ে দেখলাম তার পিছে পিছে আরো মেয়ে রা আসছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম এগুলো সেই অটোরিক্সার মেয়েগুলো যেগুলো বিকেলে আমাকে টিচ করেছে, তারা সবায় একসাথে ঝোরে বলে উঠছে দুলাভাই আপনি ও আসছেন? তাদের মুখে দুলাভাই ডাকটি শুনে আমি হতবম্ভ হয়ে গেছি আসে পাশে মানুষ এতো লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেছে আমি কিছু না বলে সরমে তাদের দিকে না তাকিয়ে সোজা রুমে ডুকে গিয়ে বসে আছি এক কোনে এ রুম ভর্তি মানুষ, বাহির থেকে এসে এ যেন আরেক বিপদে পরছি, এযেন আকাশ থেকে পরে খেজুর গাছে আটকে গেছি, সবায় ভালো মন্ধ জিজ্ঞেস করছে আমি শুধু জি ভালো আপনি কেমন আছেন বলে যাচ্ছি, এত বড় বাড়ির ভিতরে আমি যেন একটা ই ছেলে, কিছুখন পর সব মেয়ে গুলো আমাকে বলে ভাইয়া আপনার সাহায্য লাগবে একটূ আসুন না, আমি ও লজ্জা সহ ভয়ে ভয়ে তাদের কাছে যেতে না যেতে ই ভিতর থেকে একটা মেয়ে আমার হাত ধরে সোজা বাহিরে নিয়ে আসল কোন মেয়ে টান দিছে সেটা দেখা যায়নি শুদু টের পেয়েছি যে টান টা ভিতর থেকে ই দিছে, এমন মনে হলো যেন বাকি মেয়েরা সেই মেয়ে টা কে প্রটেক করতেছে যেন আমি না দেখি, আমাকে বাহিরে নিয়ে এসেই একজন বলে ভাইয়া মুরুব্বির ভিতরে বইসা কেন আছেন আপনার বোরিং লাগেনা? আমি রাগ হয়ে বললাম এই তোমরা সেই অটোরিক্সার মেয়ে না? তোমাদের কে ভাইয়া বলতে বারন করছিনা? মেয়েদের থেকে একজন বলেঃ ভাইয়া লজিক্যালি ভাবেন না একটূ এখানে আমরা অনেক ই আপনার ছোট নাম ধরে ডাকলে সবায় বেয়াদবি মনে করবেনা?
আমিঃ হ্যা তা ঠিক। দেখো বেশি ভাইয়া ভাইয়া করবানা- তাহলে তোমাদের বাবার সম্পত্যির ভাগ দিতে হবে
কথা টা শুনে মেয়ে গুলো হেসে দিলো বলল ঠিক আছে ভাইয়া,
এরপর ই ভিতর থেকে ডাক দিলো খাবার খেতে ডাকে সবায়কে আমি ও গেলাম যেয়ে চ্যায়ারে বসে পরলাম সাথে সাথে ই সব মেয়ে গুলো আমার পাশে এসে বসা শুরু করল, এক এক করে ৭-৮ জন মেয়ে আমার পাশের চ্যায়ারে বসে পরলো, আমি এমনিতেই অনেক লজ্জা পাই মেয়েদের মতো, তার উপর সব মেয়েদের ভিতরে আমি বিষয় টা কেমন কেমন লাগছে, বাহির থেকে কেউ দেখলে ভাববে আমি ই ইচ্ছে করে মেয়েদের ভিতরে বসছি, কিছু একটা ভাবতেই মনে পরলো এখানে আমার একটা ফ্রেন্ড এর বাড়ী ও সেও তো ইদে গ্রামে আসছে আমরা একসাথে ই ঢাকা থাকি, তো দেরি না করে কল দিয়ে ঠিকানা দিলাম বললাম চলে আয়, সেও আমার মত বলল এত মানুষ গেল লোকে খারাপ ভাববে না? আমিও আম্মির ডি
ডায়ালগ টা ঝেরে দিলাম আরে এরা অনেক বড় লোক কে আসল কে গেল এগুলো ম্যাটার করেনা, আমি খাবার ট্যাবিল থেকে উঠে গেলাম বললাম আমার একটা গেস্ট আসতেছে আমি তার সাথে খাব, আমি উঠে আসতে না আসতে কে যেন বলে আমার পেট ব্যাথা করতেছে আমিও পরে খাবো, আমি পিছন না তাকিয়ে রাস্তায় চলে গেছি ফ্রেন্ড কে রিসিভড করতে সে রাতে ই বাইক নিয়ে চলে আসলো আমি এগিয়ে বাসায় নিয়ে আস্তেই দেখি উঠানে সব মেয়ে দারিয়ে দেখে মনে হলে কেউ ই খায়নি খাবার, আমার ফ্রেন্ডকে দেখে তারা সবায় দৌরে গিয়ে সালাম বলে কেমন আছেন ভাইয়া, হঠাৎ আমার একটা কথা মনে পরে ই মাথায় হাত চলে আসলে ব্যাপার টা হইলো গিয়ে, আমি যেই ফ্রেন্ড টা কে আমাকে কোম্পানি দিতে আনছি সে আসতো একটা মেয়ে বাজ, যেখানে মেয়ে সেখানেই সে, তাকে আনছি আমার সাথে রাখার জন্য যেন আমি একা ফিল না করি আর লজ্জা না লাগে, এখন দেখছি সে তো তাদের সাথে থেকে আমকে লজ্জা পেতে সাহায্য করবো। কাম সারছে, আমি দূর থেকে তাকিয়ে তাদের কর্ম কান্ড দেখছি, মেয়ে গুলো হাত বারিইয়ে দিয়ে বলে ভাইয়া, আমি মিতু, আমি নিতু, আমি জুই, আমি নিশা, আমি আরবি, ইত্যাদি, আমার হারামি ফ্রেন্ড সবার সাথে হাত মিলাচ্ছে আর দাত বের করে হাসছে, আর বলছে আমি নুর ( অথচ হারামির নাম নুরুদ্দিন ) কথায় আছেনা হার এক ফ্রেন্ড কামিনা হোতাহে, আমার বেলায় এটা কামিনা, যাইহোক কি করার নিজের পায়ের কুড়াল টা নিজে ই মেরেছি, যে খাবার খেতে বসেছি, মেয়ে গুলো ও যেয়ে বসছে, আমরা ১৫-২০ খেতে বসেছি সো মেয়ে হলো ১২ জন বাকিরা ছেলে মুরুব্বি, আমি যেখানে বসেছি সেখানে ৫জন মেয়ে আসছে আর বাকিরা ফ্রেন্ড এর কাছে যেয়ে বসছে, আমি আমার পাশের মেয়ে গুলোর জন্য দূরে তাকাচ্ছিনা লজ্জা লজ্জা লাগছে, টেবিলে ভাত এলো, প্লেট এলো সবজি এলো, ডাল এলো, মাছ এলো, মুরুব্বিরা তো তাদের খাবার তারা খাচ্ছে, আমি শুধু ভাত প্লেট এ নিয়ে বসে আছি, কারো কাছে কিছু চাইতে ও পারছিনা আর খাইতে ও পারছিনা, একটা মেয়ে আমার প্লেট এ সবজি দিলো, মাছ দিলো, ডাল দিলো, সবায় কিন্তু এক এক করে খায় , সবজি খাওয়া শেষ হলে মাছ, মাছ খাওয়া শেষ হলে ডাল, তবে আমি সব একসাথে নিয়েই খাই এটা আমার অভ্যাস মেয়েটা ও সব আমার পাতে এভাবে ই দিলো, অভাক করার বিষয় মেয়েটা কেমনে জানলো ? আমি তার ফেস দেখার জন্য যে তাকাবো তার দিকে সেটাও লজ্জায় পারছিনা, নিচের দিকে তাকিয়ে খাওয়া শুরু করলাম, সে কোন কথা না বলে ইশারায় লেবু দিতে চাইলে আমি নিয়ে নিলাম, তার হাত দেখলাম এই প্রথম, ফর্সা মানে সাদা একদম ধুদের মত সাদা, হাতের আজ্ঞুলে একটা তিল আছে হয়তো, নখের শ্যাপ লম্বা আজ্ঞুল গুলো চিকনের ভিতর মাঝারি, একনজরেই দেখে ভাল লেগে গেছে, মনে হয় আগেও কোথাও দেখেছি, ফেস দেখার জন্য সাহস করে তাকাবো যে তার দিকে সেই সাহসটুকো আমার হচ্ছেনা মনে হচ্ছে আমার মাথায় কেউ কোন ভাড়ি কিছু রেখে দিছে তাই মাথা নারাতে পারছিনা, সে অল্প খেয়ে ই চলে গেছে, আমার ও খাওয়া শেষ হাত ধুইতে যেয়ে দেখি সে সাবান টিসু রেখে চলে গেছে, আমি ও হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে চলে গেছি,
পরের দিন সকালে ঘুম ভাংলো মেয়েদের খিল খিল কতে হাসির শব্দে, তার মানে কিছু একটা হচ্ছে এখানে, লাফ দিয়ে উঠে তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি তারা আমাকে নিয়ে ই হাসছে, ব্যাপার টা মোটে ও সুভিধার না দেখে ফোন বের করে আয়নায় তাকাতে ই দেখি, এ কি আমাকে বিড়াল সাজাইছে, মার্কার দিয়ে, মোছ দিছে, আমি একটু রাগ হয়ে ই বললাম, তোমরা কি শুরু করছো? বলবা আমারে, একটু ঘুমাউতে ও দিচ্ছো না ব্যাপার টা ভালো হচ্ছে না, আমি যখন শুরু করবো তখন লুকানোর যায়গা খুজে পাবেনা, আগে বলো এটা কে করছে?
জিজ্ঞেস করতেই দেখি মাস্ক পরা একটা মেয়ে পিছনে চলে যাচ্ছে সবার, আর সবায় চুপ করে খিল খিলিয়ে হেসে চলে গেছে, পরের মুহুর্তে আমি আমার ফ্রেন্ড নুরুর দিকে তাকিয়ে দেখি তার হাল বেহাল ঠোটে লিপ্সটিক চোখে কাজল, দিয়ে মেয়ে সাজিয়ে রাখছে, আমি ও কিছু বলিনি রাতের কথা ভুলে যাইনি? পল্টি নিয়েছিলো মনে আছে, একটু পর সে নিজে ই ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘর, থেকে শুরু করে সামনের ঘর অব্দি হাটছে বাসার সব মহিলারা মুরুব্বীরা ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে, বিষয় টা সে বুঝতে না পেরে সেও তার মনে ঘুরে বেরাচ্ছে এই মাথা থেকে সেই মাথা, সে মাথা থেকে এই মাথা, অবশেষে মাঝের রুমের আয়নায় সামনে গিয়ে চুল ঠিক করতে গিয়ে দেখে তার এই অবস্থা, সে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে রাগে, আমি ও নরমাল বিহেভ করতেছি, এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে এমন করে তাকানোর মানে কি? সে বলে তুই বলবিনা যে আমার হাল যে বেহাল করে রাখছে শাকচুন্নি গুলা, আমি বললাম ঠিক ই তো আছে কালকে তো সেই শাকচুন্নিদের সাথেই ঝমিয়ে আড্ডা দিছোস ভাই, তখন মনে পরেনাই?
নুরুঃ তখন ভাই মাস্কের আরালের ফেস টা দেখিনাই,
আমিঃ এখন তো দেখছোস এইবার সেরিয়াস হ, চল বাহির থেকে ঘুরে আসি, নুরু মন খারাপ করে আমার সাথে বের হলো, আমরা বাড়ির দর্জায় যেতে না যেতে ই পিছন থেকে ৮-১০ জন মেয়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো ভাইয়া good morning, আমি হটাৎ তাদের চিৎকার শুনে ভয়ে সামনে দৌড় দিছি, আর নুরু ভয়্র লাফিয়ে পুকুরে পরে গেছে, হঠাৎ কোন বিকট শব্দ শুনলে যে কেহ ই ভয় পাবে, আর ওরা এত গুলো মেয়ে যেই শব্দ করেছে তা বলার বাহিরে, রীতিমতো আমার দেহ থেকে প্রান বের হওয়ার পালা, বুকটা দুকবুক দুকবুক করছে মনে হচ্ছে কে যেন বুকের ভেতর মেশিন বসাই দিছে, তারা আমাদের হাল বেহাল দেখে খিল খিল করর হাসছে দাত বের করে, এইবার এ কিছু বললাম না শুধু এতটুকুই বললাম, তোমরা কি মানুষ হইবানা? তারা সবায় বলতেছে একসাথে ভাইয়া আমরা মানুষ ই তো?(নাটকিয় ভাবে) হেসে, আমি বলতে লাগলাম তোমার যদি মানুষ ই হও তাহলে কুত্তার মত চিল্লাচ্ছো কেন? শুনি? আর একটু হইলে দেহ থেকে পরান ডা বের হইয়া যাইতো, ( কান্না + অভিমানী ভাবে বললাম) তারা বলে সরি ভাইয়া, আময়াদের কে নিয়ে জান। এতখনে নুরু পুকুর থেকে উঠে গেছে উঠে সেই চিল্লা চিল্লা ব্যাপার টা খারাপ হয়ে যাচ্ছে যখন আমি শুরু করবো তখন মেয়ে ছেলে দেখবোনা ব্লা ব্লা ব্লা। নুরু কথায় কেউ কান না দিয়ে বলে আমাদের নিয়ে যাবেন না? ভাইয়া ( ঢংগের সুরে)
আমি: তোমাদের কত বার বলবো কথায় কথায় ভাইয়া ডাকবানা, বাবার সম্পত্তির ভাগ দিতে হবে তখন রেহাই পাইবানা,
পিছন থেকে একজন বলে : উঠলো আমাকে বিয়ে করে নিলে ই তো হয় বাবা কেন সাথে মায়ের সম্পত্তির ও ভাগ পেয়ে যাবে😌
আমি অভাগ হয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে বললাম কে গো আপনি, প্লিজ সামনে আসেন না একটু দেখি আপনার মুখ খানি,
মেয়েটা বলে: এত সস্তা না- আমাকে দেখতে হলে বহু কাঠগড় পেরোতে হবে, নিজেরে ভেজ্ঞে চুরে আবার নতুন করে গরতে হবে!
আমি হাত তালি দিতে দিতে বলি ওয়াহ ম্যাম ওয়াহ কেয়া কবিতা বলাহে
মেয়েটা: কবিতা না স্যার its conditions 😌,
আমি হেসেই বলে দিলাম থাক ম্যাম আপনাকে দেখতে চাইনা🙂 সামনে তো আরো অনেক ই আছে তাদের ই দেখবো,
মেয়েটা হেসেই বলে দিলো: বাহ স্যার মানুষ মানুষ রে দেখার জন্য এই দেশ থেকে ঐ দেশে যায়, জমিন থেকে আসমানে যায় আর আপনি এত টুকো করতে পারবেন না আমাকে দেখার জন্য? ( মেয়েটা আড়াল থেকে বলছে)
আমি: না ম্যাম পারবোনা কারন আপনি অনেক দামি মানুষ আমি আপনারে effort করতে পারবোনা🙂
বলেই হাটা শুরু করলাম নদির পারের দিকে, মেয়েগুলো বলল ভাইয়া আমরা ও যাবো আমাদের কে নিয়ে জান না প্লিজ😌 নুরু বলে উঠলো হ্যা চলো চলো তয় রিক্সা ভারা কিন্তু আপনারা দিবেন😎 মেয়ে গুলো বলল দেখা যাবে, বলতে না বলতে ই অটোরিকশা চলে এলো মানুষ ১২ জন এক অটোরিকশাতে ধরবেনা এত মানুষ তাই দুইটা রিকশা ঠিক করা হলো, সুতারং রিকশাতে উঠার জন্য সামনে ড্রাইভার এর সাথে বসার জন্য যেই পা বারালাম, ততখনাত একটা মেয়ে হাতে ধরে টান দিয়ে দার করালো আর বাকি দুই তিন জন মেয়ে আমার দু হাতে ধরে রিকশার পেছনে বসালো, আরামে বসার জন্য হাত দুইটা যেই সামনে এনেছি তখন ই ওরা হাত দুইটা পিছনে নিয়ে গেল এমন চাবে আমাকে বসালো য্রভাবে দুইহাত বেধে থানায় আসামিদের মারা হয় সেভাবে অটোরিকশাতে বসে আছি এখন, একের পর এক এক করর একবার এ পাশে আরেকবার ঐ পাশে করে দু জন দুজন চার জন বসলো, সাধারণত এ রিকশাতে তিন জনের বেশি বসা সম্ভব না সেই যায়গায় এরা পাচ জন বসাইছে আবার সামনের সিট এ চার দু তিন বসছে, এরা এমন করে বসছে আমি শুধু নিঃশ্বাস নিতে পারছি, না নরা চরা করতে পারছি না কাউকে দেখতে পারছি, হুট করে একটা মেয়ে সিট থেকে এসে আমার কোলে বসে পরছে, বলতেছে এখানে এত মানুষ বসা যায়নাকি? আমি কোলেই বসি, আমি ইতিমধ্যেই shocked একি ই তো দুই পাশে মেয়ে নরম নরম গরন গরম শরিরের স্পর্শ গায়ে লাগছে, তার উপরে কোলের উপর একজন এসে বসে পরছে😑 আর যাইহোক ভাই আমি ও তো ছেলে, আজে বাঝে ফিলিংস আমার ও তো আছে, রীতিমতো নিজেকে কন্ট্রলের বাহিরে আবিষ্কার করতেছি, থোতামো খেয়ে বোলতেছি, এ এ কি করছেন আপনারা 🥺 আমি একটা ছেলে এ কথা কি মাথায় নাই নাকি😑 মেয়ে গুলো আমার কথা শুনে ও না শুনার ভান করে নিজেদের মতো রাস্তার পাশের সৌন্দর্য নিয়ে ব্যাস্ত, তবে যে মেয়ে টা আমার কোলে বসে আছে, সে মাস্ক পরা সেই মেয়েটা যে মেয়েটা গত রাতে আমার প্লেট এ ভাত ডাল সভজি ইত্যাদি দিয়ে দিছিলো, তাকে আমি অবশ্য দেখিনি যে সে ই আমার কোলে বসে আছে, আর এদিক দিয়ে আমার আজে বাজে ফিলিংস ভিষণ ভাবে নারা দিতে শুরু করছে, আমি লজ্জায় না কিছু বলতে পারছি, আর না মেয়দের সাথে যুদ্ধ করে পারছি, ফিলিংস তারানোর জন্য আমি নিজের মনে মনে, বাচ্চাদের পটি, গরুর পটি আরো যত খারাপ জিনিস আছে যে গুলো ভাবলে বমি আসে, সে গুলো চিন্তা করতেছি যাতে ঐ ফিলিংস না আসে, অবশেষে নিজেকে কিছুটা সামলাতে পেরেছি, এটাও বুঝতে পেরেছি যে মেয়ে টা আমার কোলে বসেছে সে কিছুটা টের পেয়েছে, কিছুখনের ভিতরেই নদির পারে চলে এসেছি, মেয়েটা আগে ই নেমে গেছে আমি দেখার আগেই, কে বসেছে আমি সেটা ও দেখতে পারিনি, একে একে সব মেয়ে নেমে গেছে অবশেষে আমি নেমে ভাড়া দিচ্ছি, মেয়ে গুলো বলছে ভাইয়া আপনি কেন দিচ্ছেন আমরা দেই, আমি বললাম জিনা আমি ই দিচ্ছি আপনারা সামনে যান, ইতি মধ্যে বন্ধু নুরু মেয়েদের হাত ধরে চলে গেল নদির পারে আমি যেয়ে দেখি বন্ধু নুরু এক ধাক্কা দিয়ে সব মেয়েদের পানিতে ফেলে দিছে, কিছু মেয়ে তো নুরু কে টেনে হিচরে পানিতে নিয়ে গেছে, বাহ আমার বন্ধু নুরু মেয়েদের সাথে সেই মঝা নিচ্ছি, শালা হারামি একটা😎 মুখ বাকিয়ে ভাবছি, একটু পরেই একটা মেয়ে এসে বলছে ভাইয়া আপনার শার্ট টা দিন না একজন পানি থেকে উঠছেনা বলল আপনার শার্ট টা চেয়ে নিতে, আমি বললাম কে সে? সে নাম বলত্র চেয়েও না বলে বলল ঐ যে মাস্ক পরা মেয়েটা, আমি এতটা ও বোকা না যে কেন চাচ্ছে বুঝতে পারবোনা, চাওয়ার কারন তার শরির ভিজে গেছে তার গতরের সব আষ্ঠপিষ্ঠ দেখা যাবে তাই চাচ্ছে, আমি ও বললাম আচ্ছা বলে শার্ট খুলে তাকে দিচ্ছি, সে বলে ভাইয়া আপনি নিয়ে যান, আমার শার্টের নিচে টিশার্ট পরার অভ্যাস আছে তাই আমার গায়ে টিশার্ট, নদির কিনারে যেয়ে যখন ই আমি মাস্ক পরা মেয়েটা কে শার্ট দিতে যাবো তখন ই কে যেন সোজা স-ঝোরে এক ধাক্কা পানিতে, আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে মেয়েটার গায়ের উপরে যেয়ে পরি, আর মেয়েটা ডুবে যেয়ে পানি খেয়ে বসেছে মাথা পানির ভেতর থেকে বাহিরে দিয়ে কাশি দিচ্ছে, আমি কি করবো বুঝতে না পেরে মেয়েটার কোমরে হাত দিলাম কোমরটা সফট ধরতে কেমন যেন ভালোই লাগছিলো, আমার বুকের ভিতরের হার্টবিট টা ঝরে ঝরে বিট করতেছে, আমি তাকে ঝাগিয়ে কিনারায় ধাক্কা দিলাম যেন সে কিনারায় পৌছে যায়, উপরে থেকে আমার শার্ট টা তাকে দেয়া হলো সে সেটা পরে উপরে উঠলো তবে এখনো সে মাস্ক বা তার ফেস আমাকে দেখায়নি, সব মেয়েরা তারা হুরা করা গারিতে বসে পরলো, আমাকে তাদের সাথে যেতে বলল, এই অবস্থায় তাদের সাথে যাওয়া ঠিক হবে ভেবে আমি না বলে দিয়েছি, তারা চলে গেল, আমি আর নুরু হেটে হেটে ই বাসায় রওনা দিলাম, বাসায় যেয়ে দেখি সবা মেয়েরা আমাদের অভাক করে দিছে😳
Next Part Coming soon