Posts

উপন্যাস

বিয়ে বাড়িতে প্রেম ( Based On A True Story)

August 4, 2025

Jajabor Premik

50
View

[ গল্পটা যেহেতু সত্যি ঘটানা অবলম্বনে লেখা তাই কাহিনি বিল্ডাপ হতে সময় লাগতেছে, ধৈর্য সহকারে পরুন আশা করি ভালো লাগবে, পরের পর্ব গুলো থেকে  প্রেমালাপন শুরু হবে,] 

প্রতি বছরের মত ইদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলাম, ঢাকা সদরঘাট এলাম তারপর আমাদের ভোলা যাওয়ার জন্য গ্রিনলাইন লন্স এ  উঠলাম, একটা কেভিন নিয়ে সারারাত লম্ভা ঘুম দিয়ে ভোর বেলায় লন্স পৌছে গেল গন্তব্যে আমার, লন্স থেকে নেমে একটা রিক্সা নিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম কিছুক্ষন পর রিক্সা বাড়ির সামনে পৌছে গেলে, আমি রিক্সা থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে ই বাড়ির উপরের লোকেরদের সাথে দেখা সবায় হায় হ্যালো করছে, কেমন আছি জিজ্ঞেস করছে, তারা কেমন আছে আমি জিজ্ঞেস করছি, কেউ বলতেছে চিকোন হয়ে গেছি, তো কেউ বলতেছে এখন ই ঠিক আছে, অবশেষে সবার সাথে কথা বলার পর আমাদের নিজ বাড়ির সামনে যখন আসছি ছোট বোন দৌরে আসছে চিল্লিতে চিল্লাতে আম্মু ভাইয়া আসছে, আম্মি তোমার ছেলে আসছে দেখো, সে দৌরে এসে আমার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে 
বলেঃ কেমন আছো ভাইয়া?

আমি  বললামঃ ভালো ই তুই?

বোনঃ ভালো, তয় তুমি এমন শুকাইয়া শুটকি হইছো কেন?  এক্সের চিন্তায় কি খাওয়া দাওয়া ছাইরা দিছো?

আমিঃ তোর মাথায় সমস্যা আছে চুপ কর, চুন্নি 

সামনে আম্মি চলে আসলো দৌরে এসে বলে কেমন আছো বাবা? আইতে কষ্ট হয়নাই তোমার?

আমিঃ তোমার সাথে না এক্টূ আগে ও কথা বলছি যে আমি গারিতে আসতেছি এতটূকু সময় এ কি হবে আমার কও তো? তোমরা ও না পারো বটে, চলো ঘরে চলো।

ঘরে ঢুকতে না ঢুকতে ই ছোট বোন বলে,

বোনঃ ভাইয়া তোমার পছন্দের নুডুলস রান্না করছি আমি নিয়ে আসছি হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হও, 

আমিঃ জিনা সিস, আমি এখন নুডুলস খাইনা, এখন আমি নিয়মিত জিম করি, সো তোমার সখের জিনিস তুমি খাও, (মুখটা অন্য দিকে দিয়ে বললাম ভাব নেয়ার ভংগিতে) বোন হা করে তাকিয়ে আছে চোখ দুটো বড় বড় করে মনে হচ্ছে এখন ই বের হয়ে মাটীতে পরে যাবে, সে বেশি অভাগ হইছে আমি নুডুলস খাইনা শুনে আর তার থেকে ও বেশি অভাক আমি জিম করি শুনে তাতক্ষনিক সে বলে 

বোনঃ  ওমা গো মা হুনছো নাহি তোমার পোলায় কি কয় ? হে নাকি নুডূলস খায়না, যেই লোক নুডুলস রান্না কইরা না দিলে দুইদিন ধইরা ভাতখাইতো না, যেই লোক নুডুলস এর জন্য আমাকে থাপ্পার মেরে গাল  কেটে দিছে সে নাকি এখন নুডুলস খায়না, আহা ( মুখ বাকিয়ে তোতলামো করে বলতেছে)  আবার কি করে কইলো জিম? ওমাগো মা আমারে কেউ ধরো, মাথায় আসমান ভাইংগা পরতেছে রেহান ভাইয়ার কথা শুনে লে,  জিম কলে জিম, হাহা হা হা ( করে হাসতেছে আর হাসতেছে)

আমি মাথায় একটা থাপ্পর দিয়ে বললাম বেশি ঢং করিস না যা ভাগ, 

আম্মি বলবো তোর পছন্দের রুটি আর গরুর গোস্ত রান্না করছি এগুলা খেতে আয়, বোন চিল্লাইয়া বলতে লাগলো অকি আম্মি তোমার পোলায় তো জিম করে চর্বি জাতিয় জিনিস খেতে পারবে না, আমাকে দাও আমি খাচ্ছি, 
আমি বললামঃ  হুস হুস যা, মাঝে মধ্যে একটু খাইলে কিচ্ছু হবেনা আর তাছারা এতদিন পর আম্মির হাতের রান্না  না খেলে কেমনে চলবে?

বোন বললঃ  হুস হুস করে মুরকা তারাচ্ছো নাকি? আজব 

আমিঃ  নিয়ে আয় তারাতারি বেশি না বকে, 

রুটি খাচ্ছি এমতাবস্থায় আম্মি ডেকে বলতেছে রেহান জামা কাপড় গুছিয়ে নিও ইদের পরের দিন ই আমরা আমার খালাতো বোনের বাসায় যাবো, ওর মেয়ের বিয়ে, তাই আমাদের যেতে বলল,

আমিঃ কি বল এসব ঢাকা থেকে বাড়ি আসছি দুইদিন থাকবো বাসায় তানা অন্যদের বাসায় যেতে বলছো এটা সম্ভব না তুমি যাও, 

আম্মিঃ আমি যেতে বলছি আমার সাথে যাবি, আর কোন কথা হবেনা,

আমিঃ আম্মি দেখো বোঝার চেষ্টা কর বিয়ে কয়েক দিন পর এর এত আগে গেলে কেমনে হয়? আর তাছারা এক ফ্যামিলি থেকে এত লোক গেলে মানুষ কি বলবে ভেবে দেখেছো, মানুষের কথা না হয় বাদ দিলাম তবে তোমার বোন কি ভাববে যে, বিয়ের আগে সবায় এসে হাজির আবার এত লোক, এতে অনাদের ও খারাপ ফিল হবে,

আম্মিঃ আমাকে আরো দুইদিন আগে থেকে ফোন দিয়ে যালাচ্ছে কেন এখনো যাচ্ছিনা, তাদের কি আপন ভাবিনা, আরো কত কথা শুনায় কান্না করে করে, আমি বলছি রেহান আসেনি এখনো আসলে ইদের পরে বিয়ের একদিন আগে ই যাবো, সে রাগ হয়ে গেছে বলে রেহান ঢাকা থেকে সোজা আমাদের বাড়িতে চলে আসবে তুমি চলে আসো, এরকম বলে আমি ওর জন্য ফোন বন্ধ করে রাখছি কাল, আর এত মানুষ দেখে তারা কি বলবে সেটার বাপারে বলতে গেলে বাবা তারা অনেক বড় লোক, কে গেছে কত জন গেছে তাদের কাছে এগুলো ম্যাটার করেনা, অনাদের বাড়ি ফাকা ফাকা লাগে তাই আমাদের যাইতে বলতেছে আগে ই 

আমিঃ ও আচ্ছা , তাহলে আম্মি পাশের বাসার মামাদের কুত্তা লালু টারে ধার করে নিয়ে যাই? 

( আম্মি রাগ হয়ে ভ্রু কুচকিয়ে বলে কেন আমাদের বিড়াল থাকতে তুই পাষের বাসার কুত্তাডারে নিতে যাবি কেন ধার করে শুনি?) 
আমিঃ  তুমি না বললা ওনারা অনেক বড় লোক কে গেলে না গেল তা ম্যাটার করবেনা? তাই

আম্মিঃ তো আমাদের বিরাল ও তো আছে সেটা নিয়ে যেত পারোনা? পাশের বাসার কুত্তা ধার করতে যাবে কেন? গেলে আমাদের বিরাল ই যাবে 

আমিঃ তাহলে তুমি ই যাচ্ছোনা কেন তোমার খালাতো বোনের বাড়ি? আমাদের কেন ধার করে নিয়ে যাচ্ছো?

আম্মি চুপ কর ব্যাগ গুছাই রাখবি ইদের পরের দিন ই আমরা যাবো,

আমিঃ আচ্ছা

কি করবো আর তো কোন উপায় নাই যেতে ই হবে 

ইদের দিন আসল ইদ কেটে গেল পরের দিন ভোর হলো আম্মির চিল্লাচিল্লিতে ঘুম ভাজ্ঞল 

এত বেলা হয়ে গেছে এখনো ঘুম থেকে উঠস না যাবি কখন? দুপুর বাঝাবি নাকি, দুপুরে কেউর বাড়ি কেউ যায়? উঠ 

আম্মির চিল্লা চিল্লিতে উঠে দেখি কেবল ৭ টা বাঝে সকাল , কেমনডা লাগে?  কোন রকম মাথা ঠান্ডা করে ফ্রেস হয়ে আম্মির সাথে রওনা দিলাম যাবার পথে খালার বাসা হয়ে যেতে হবে, সুতারং আমরা খালার বাসাতে নামলাম খালামনি ছারতে চাইলো না দুপুরে তার সেখানে খেয়ে বিকেলের দিকে রওনা দিলাম বিয়ে বাড়িতে, আমি বাজারের রাস্তায় নেমে আম্মিদের কে বললাম তোমরা যাও আমি বাজার থেকে ঘুরে তার পর বাড়িতে আসবো, আম্মি ও না বলেনি, তাই রিক্সাওয়ালেরে বললাম মামা একদম বাড়ির উঠানে নিয়ে নামাই দিবা, অতঃপর আমি বাজারের রাস্তায় ঘুরতে ফিরতে লাগলাম কিছুখন পর একটা অটোরিক্সা দিয়ে কিছু মেয়ে যাচ্ছিলো, আমি আমার ফোন টিপছিলাম, অটোরিক্সাটা পাশ দিয়ে যাবার সময় মেয়ে গুলো এত ঝোরে চিৎকার করে ভাইয়া ডাকদিছে আমি রিতিমত ভয় পেয়ে গেছি আর একটু হলে আমার হাত থেকে আমার ফোন টা রাস্তায় পরে ভেংজ্ঞে যেত, আমি দৌড়ে গাড়ি টা কে ধরতে চেষ্টা করলাম, অটোরিক্সার লোকটা আমার দৌরানো দেখে অটোরিক্সা টা দার করালো, আমি হাপাতে হাপাতে যেয়ে বললাম, 
আমিঃ কি সমস্যা আপনাদের এত ঝোরে চিৎকার টা কেন দিলেন?

মেয়ে গুলোর ভিতর থেকে একটা বলে উঠলো, ভাইয়া চিৎকার কোথায় দিলাম আমরা তো শুধু ভাইয়া ডাকছিলাম, 

আমি রাগ হয়ে বললাম 
আমিঃ আমি তোমাদের কোন জনমের ভাইয়া লাগি শুনি? একটূ হইলে আমার রুহু ডা বের হইয়া যাইতো এভাবে রাস্তাঘাটে কেউ টীচ করে?

মেয়েদের থেকে একজনঃ ভাইয়া টীচ করি নাই তো শুধু ভাইয়া ডাকছি, আর ভাইয়া ডাকবো না তো কি ডাকবো দুলাভাই ডাকবো? ( মুখ বাকিয়ে ) 

আমিঃ ছি  ছি দুলাভাই কেন ডাকবা? ( তোতলিয়ে বললাম), আমার নাম আছে নাম ধরে ডাকবা- 

একজন বললঃ কি নাম শুনি

আমিঃ  রেহান বইলো, কারন আমার নিজের বোন আছে, সো আমার বোনের অভাব নাই তাই

মেয়েগুলোর থেকে পিছন থেকে কে যেন বলল তাহলে কি বউয়ের অভাব আছে? এটা শুনেই সব মেয়ে রা হেসে দিলো আর অটোরিক্সার ড্রাইভার তার অটোরিক্সা নিয়ে চলে গেলে, মেয়েটাকে দেখা ও হলোনা, তারপর ঘুরে ফিরে সন্ধার দিকে কিছু ফল, ( আম, আপেল, আঙ্গুর, ড্রাগন, লিচু ) বিস্কুট আরো অন্যান্য হাবি জাবি নিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম, যেতে যেতে রাত হয়ে গেল অটোরিক্সাটি বাড়ির উঠানে দারিয়ে হর্ন বাজাচ্ছে আমি মেসেজ করে বোন কে বাহিরে ডাকলাম আর ভিতর থেকে আমার বোন দৌরে আসল সে আমাকে ভিতরে দেখে হাসতে শুরু করলো বলল ভাইয়া তোকামাকে তো দেখা ই যাচ্ছেনা এত কিছুনিয়ে বইসা আছো। হটাৎ মেয়েদের হাসির শব্দ শুনতে পেলাম বোনের পিছনে তাকিয়ে দেখলাম তার পিছে পিছে আরো মেয়ে রা আসছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম এগুলো সেই অটোরিক্সার মেয়েগুলো যেগুলো বিকেলে আমাকে টিচ করেছে, তারা সবায় একসাথে ঝোরে বলে উঠছে দুলাভাই আপনি ও আসছেন? তাদের মুখে দুলাভাই ডাকটি শুনে আমি হতবম্ভ হয়ে গেছি আসে পাশে মানুষ এতো লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেছে আমি কিছু না বলে সরমে তাদের দিকে না তাকিয়ে সোজা রুমে ডুকে গিয়ে বসে আছি এক কোনে এ রুম ভর্তি মানুষ, বাহির থেকে এসে এ যেন আরেক বিপদে পরছি, এযেন আকাশ থেকে পরে খেজুর গাছে আটকে গেছি, সবায় ভালো মন্ধ জিজ্ঞেস করছে আমি শুধু জি ভালো আপনি কেমন আছেন বলে যাচ্ছি, এত বড় বাড়ির ভিতরে আমি যেন একটা ই ছেলে, কিছুখন পর সব মেয়ে গুলো আমাকে বলে ভাইয়া আপনার সাহায্য লাগবে একটূ আসুন না, আমি ও লজ্জা সহ ভয়ে ভয়ে তাদের কাছে যেতে না যেতে ই ভিতর থেকে একটা মেয়ে আমার হাত ধরে সোজা বাহিরে নিয়ে আসল কোন মেয়ে টান দিছে সেটা দেখা যায়নি শুদু টের পেয়েছি যে টান টা ভিতর থেকে ই দিছে, এমন মনে হলো যেন বাকি মেয়েরা সেই মেয়ে টা কে প্রটেক করতেছে যেন আমি না দেখি, আমাকে বাহিরে নিয়ে এসেই একজন বলে ভাইয়া মুরুব্বির ভিতরে বইসা কেন আছেন আপনার বোরিং লাগেনা? আমি রাগ হয়ে বললাম এই তোমরা সেই  অটোরিক্সার মেয়ে না? তোমাদের কে ভাইয়া বলতে বারন করছিনা? মেয়েদের থেকে একজন বলেঃ ভাইয়া লজিক্যালি ভাবেন না একটূ এখানে আমরা অনেক ই আপনার ছোট নাম ধরে ডাকলে সবায় বেয়াদবি মনে করবেনা? 

আমিঃ হ্যা তা ঠিক। দেখো বেশি ভাইয়া ভাইয়া করবানা- তাহলে তোমাদের বাবার সম্পত্যির ভাগ দিতে হবে

কথা টা শুনে মেয়ে গুলো হেসে দিলো বলল ঠিক আছে ভাইয়া, 

এরপর ই ভিতর থেকে ডাক দিলো খাবার খেতে ডাকে সবায়কে আমি ও গেলাম যেয়ে চ্যায়ারে বসে পরলাম সাথে সাথে ই সব মেয়ে গুলো আমার পাশে এসে বসা শুরু করল, এক এক করে ৭-৮ জন মেয়ে আমার পাশের চ্যায়ারে বসে পরলো, আমি এমনিতেই অনেক লজ্জা পাই মেয়েদের মতো, তার উপর সব মেয়েদের ভিতরে আমি বিষয় টা কেমন কেমন লাগছে, বাহির থেকে কেউ দেখলে ভাববে আমি ই ইচ্ছে করে মেয়েদের ভিতরে বসছি, কিছু একটা ভাবতেই মনে পরলো এখানে আমার একটা ফ্রেন্ড এর বাড়ী ও সেও তো ইদে গ্রামে আসছে আমরা একসাথে ই ঢাকা থাকি, তো দেরি না করে কল দিয়ে ঠিকানা দিলাম বললাম চলে আয়, সেও আমার মত বলল এত মানুষ গেল লোকে খারাপ ভাববে না? আমিও আম্মির ডি

ডায়ালগ টা ঝেরে দিলাম আরে এরা অনেক বড় লোক কে আসল কে গেল এগুলো ম্যাটার করেনা, আমি খাবার ট্যাবিল থেকে উঠে গেলাম বললাম আমার একটা গেস্ট আসতেছে আমি তার সাথে খাব, আমি উঠে আসতে না আসতে কে যেন বলে আমার পেট ব্যাথা করতেছে আমিও পরে খাবো, আমি পিছন না তাকিয়ে রাস্তায় চলে গেছি ফ্রেন্ড কে রিসিভড করতে  সে রাতে ই বাইক নিয়ে চলে আসলো আমি এগিয়ে বাসায় নিয়ে আস্তেই দেখি উঠানে সব মেয়ে দারিয়ে দেখে মনে হলে কেউ ই খায়নি খাবার, আমার ফ্রেন্ডকে দেখে তারা সবায় দৌরে গিয়ে সালাম বলে কেমন আছেন ভাইয়া, হঠাৎ আমার একটা কথা মনে পরে ই মাথায় হাত চলে আসলে ব্যাপার টা হইলো গিয়ে, আমি যেই ফ্রেন্ড টা কে আমাকে কোম্পানি দিতে আনছি সে আসতো একটা মেয়ে বাজ, যেখানে মেয়ে সেখানেই সে, তাকে আনছি আমার সাথে রাখার জন্য যেন আমি একা ফিল না করি আর লজ্জা না লাগে, এখন দেখছি সে তো তাদের সাথে থেকে আমকে লজ্জা পেতে সাহায্য করবো। কাম সারছে, আমি দূর থেকে তাকিয়ে তাদের কর্ম কান্ড দেখছি, মেয়ে গুলো হাত বারিইয়ে দিয়ে বলে ভাইয়া, আমি মিতু, আমি নিতু, আমি জুই, আমি নিশা, আমি আরবি, ইত্যাদি, আমার হারামি ফ্রেন্ড সবার সাথে হাত মিলাচ্ছে আর দাত বের করে হাসছে, আর বলছে আমি নুর ( অথচ হারামির নাম নুরুদ্দিন ) কথায় আছেনা হার এক ফ্রেন্ড কামিনা হোতাহে, আমার বেলায় এটা কামিনা, যাইহোক কি করার নিজের পায়ের কুড়াল টা নিজে ই মেরেছি, যে খাবার খেতে বসেছি, মেয়ে গুলো ও যেয়ে বসছে, আমরা ১৫-২০ খেতে বসেছি সো মেয়ে হলো ১২ জন বাকিরা ছেলে মুরুব্বি, আমি যেখানে বসেছি সেখানে ৫জন মেয়ে আসছে আর বাকিরা ফ্রেন্ড এর কাছে যেয়ে বসছে, আমি আমার পাশের মেয়ে গুলোর জন্য দূরে তাকাচ্ছিনা লজ্জা লজ্জা লাগছে, টেবিলে ভাত এলো, প্লেট এলো সবজি এলো, ডাল এলো, মাছ এলো, মুরুব্বিরা তো তাদের খাবার তারা খাচ্ছে, আমি শুধু ভাত প্লেট এ নিয়ে বসে আছি, কারো কাছে কিছু চাইতে ও পারছিনা আর খাইতে ও পারছিনা, একটা মেয়ে আমার প্লেট এ সবজি দিলো, মাছ দিলো, ডাল দিলো, সবায় কিন্তু এক এক করে খায় , সবজি খাওয়া শেষ হলে মাছ,   মাছ খাওয়া শেষ হলে ডাল, তবে আমি সব একসাথে নিয়েই খাই এটা আমার অভ্যাস মেয়েটা ও সব আমার পাতে এভাবে ই দিলো, অভাক করার বিষয় মেয়েটা কেমনে জানলো ? আমি তার ফেস দেখার জন্য যে তাকাবো তার দিকে সেটাও লজ্জায় পারছিনা, নিচের দিকে তাকিয়ে খাওয়া শুরু করলাম, সে কোন কথা না বলে ইশারায় লেবু দিতে চাইলে আমি নিয়ে নিলাম, তার হাত দেখলাম এই প্রথম, ফর্সা মানে সাদা একদম ধুদের মত সাদা, হাতের আজ্ঞুলে একটা তিল আছে হয়তো, নখের শ্যাপ লম্বা আজ্ঞুল গুলো চিকনের ভিতর মাঝারি, একনজরেই দেখে ভাল লেগে গেছে, মনে হয় আগেও কোথাও দেখেছি, ফেস দেখার জন্য সাহস করে তাকাবো যে তার দিকে সেই সাহসটুকো আমার হচ্ছেনা মনে হচ্ছে আমার মাথায় কেউ কোন ভাড়ি কিছু রেখে দিছে তাই মাথা নারাতে পারছিনা, সে অল্প খেয়ে ই চলে গেছে, আমার ও খাওয়া শেষ হাত ধুইতে যেয়ে দেখি সে সাবান টিসু রেখে চলে গেছে, আমি ও হাত ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে চলে গেছি, 

পরের দিন সকালে ঘুম ভাংলো মেয়েদের খিল খিল কতে হাসির শব্দে, তার মানে কিছু একটা হচ্ছে এখানে, লাফ দিয়ে উঠে তাদের দিকে তাকিয়ে দেখি তারা আমাকে নিয়ে ই হাসছে, ব্যাপার টা মোটে ও সুভিধার না দেখে ফোন বের করে আয়নায় তাকাতে ই দেখি, এ কি আমাকে বিড়াল সাজাইছে, মার্কার দিয়ে, মোছ দিছে,  আমি একটু রাগ হয়ে ই বললাম, তোমরা কি শুরু করছো? বলবা আমারে, একটু ঘুমাউতে ও দিচ্ছো না ব্যাপার টা ভালো হচ্ছে না, আমি যখন শুরু করবো তখন লুকানোর যায়গা খুজে পাবেনা, আগে বলো এটা কে করছে?

জিজ্ঞেস করতেই দেখি মাস্ক পরা একটা মেয়ে পিছনে চলে যাচ্ছে সবার, আর সবায় চুপ করে খিল খিলিয়ে হেসে চলে গেছে, পরের মুহুর্তে আমি আমার ফ্রেন্ড নুরুর দিকে তাকিয়ে দেখি তার হাল বেহাল ঠোটে লিপ্সটিক চোখে কাজল, দিয়ে মেয়ে সাজিয়ে রাখছে, আমি ও কিছু বলিনি রাতের কথা ভুলে যাইনি? পল্টি নিয়েছিলো মনে আছে, একটু পর সে নিজে ই ঘুম থেকে উঠে রান্না ঘর, থেকে শুরু করে সামনের ঘর অব্দি হাটছে বাসার সব মহিলারা মুরুব্বীরা ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে, বিষয় টা সে বুঝতে না পেরে সেও তার মনে ঘুরে বেরাচ্ছে এই মাথা থেকে সেই মাথা, সে মাথা থেকে এই মাথা, অবশেষে মাঝের রুমের আয়নায় সামনে গিয়ে চুল ঠিক করতে গিয়ে দেখে তার এই অবস্থা,  সে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে সোজা ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে রাগে, আমি ও নরমাল বিহেভ করতেছি, এক পর্যায়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে এমন করে তাকানোর মানে কি? সে বলে তুই বলবিনা যে  আমার হাল যে বেহাল করে রাখছে শাকচুন্নি গুলা, আমি বললাম ঠিক ই তো আছে কালকে তো সেই শাকচুন্নিদের সাথেই ঝমিয়ে আড্ডা দিছোস ভাই, তখন মনে পরেনাই? 

নুরুঃ  তখন ভাই মাস্কের  আরালের ফেস টা দেখিনাই,

আমিঃ এখন তো দেখছোস এইবার সেরিয়াস হ, চল বাহির থেকে ঘুরে আসি, নুরু মন খারাপ করে আমার সাথে বের হলো, আমরা বাড়ির দর্জায় যেতে না যেতে ই পিছন থেকে ৮-১০ জন মেয়ে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো ভাইয়া good morning, আমি হটাৎ তাদের চিৎকার শুনে ভয়ে সামনে দৌড় দিছি, আর নুরু ভয়্র লাফিয়ে পুকুরে পরে গেছে, হঠাৎ কোন বিকট শব্দ শুনলে যে কেহ ই ভয় পাবে, আর ওরা এত গুলো মেয়ে যেই শব্দ করেছে তা বলার বাহিরে, রীতিমতো আমার দেহ থেকে প্রান বের হওয়ার পালা, বুকটা দুকবুক দুকবুক করছে মনে হচ্ছে কে যেন বুকের ভেতর মেশিন বসাই দিছে, তারা আমাদের হাল বেহাল দেখে খিল খিল করর হাসছে দাত বের করে, এইবার এ কিছু বললাম না শুধু এতটুকুই বললাম, তোমরা কি মানুষ হইবানা? তারা সবায় বলতেছে একসাথে ভাইয়া আমরা মানুষ ই তো?(নাটকিয় ভাবে) হেসে, আমি বলতে লাগলাম তোমার যদি মানুষ ই হও তাহলে কুত্তার মত চিল্লাচ্ছো কেন? শুনি? আর একটু হইলে দেহ থেকে পরান ডা বের হইয়া যাইতো, ( কান্না + অভিমানী ভাবে বললাম) তারা বলে সরি ভাইয়া, আময়াদের কে নিয়ে জান। এতখনে নুরু পুকুর থেকে উঠে গেছে উঠে সেই চিল্লা চিল্লা ব্যাপার টা খারাপ হয়ে যাচ্ছে যখন আমি শুরু করবো তখন মেয়ে ছেলে দেখবোনা ব্লা ব্লা ব্লা। নুরু কথায় কেউ কান না দিয়ে বলে আমাদের নিয়ে যাবেন না? ভাইয়া ( ঢংগের সুরে) 

আমি: তোমাদের কত বার বলবো কথায় কথায় ভাইয়া ডাকবানা, বাবার সম্পত্তির ভাগ দিতে হবে তখন রেহাই পাইবানা, 

পিছন থেকে একজন বলে : উঠলো আমাকে বিয়ে করে নিলে ই তো হয় বাবা কেন সাথে মায়ের সম্পত্তির ও ভাগ পেয়ে যাবে😌

আমি অভাগ হয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে বললাম কে গো আপনি, প্লিজ সামনে আসেন না একটু দেখি আপনার মুখ খানি,

মেয়েটা বলে: এত সস্তা না- আমাকে দেখতে হলে বহু কাঠগড় পেরোতে হবে, নিজেরে ভেজ্ঞে চুরে আবার নতুন করে গরতে হবে! 

আমি হাত তালি দিতে দিতে বলি ওয়াহ ম্যাম ওয়াহ কেয়া কবিতা বলাহে 

মেয়েটা: কবিতা না স্যার its conditions 😌,

আমি হেসেই বলে দিলাম থাক ম্যাম আপনাকে দেখতে চাইনা🙂 সামনে তো আরো অনেক ই আছে তাদের ই দেখবো,

মেয়েটা হেসেই বলে দিলো: বাহ স্যার মানুষ মানুষ রে দেখার জন্য এই দেশ থেকে ঐ দেশে যায়, জমিন থেকে আসমানে যায় আর আপনি এত টুকো করতে পারবেন না আমাকে দেখার জন্য? ( মেয়েটা আড়াল থেকে বলছে) 

আমি: না ম্যাম পারবোনা কারন আপনি অনেক দামি মানুষ আমি আপনারে effort করতে পারবোনা🙂

বলেই হাটা শুরু করলাম নদির পারের দিকে, মেয়েগুলো বলল ভাইয়া আমরা ও যাবো আমাদের কে নিয়ে জান না প্লিজ😌 নুরু বলে উঠলো হ্যা চলো চলো তয় রিক্সা ভারা কিন্তু আপনারা দিবেন😎 মেয়ে গুলো বলল দেখা যাবে, বলতে না বলতে ই অটোরিকশা চলে এলো মানুষ ১২ জন এক অটোরিকশাতে ধরবেনা এত মানুষ তাই দুইটা রিকশা ঠিক করা হলো, সুতারং রিকশাতে উঠার জন্য সামনে ড্রাইভার এর সাথে বসার জন্য যেই পা বারালাম, ততখনাত একটা মেয়ে হাতে ধরে টান দিয়ে দার করালো আর বাকি দুই তিন জন মেয়ে আমার দু হাতে ধরে রিকশার পেছনে বসালো, আরামে বসার জন্য হাত দুইটা যেই সামনে এনেছি তখন ই ওরা হাত দুইটা পিছনে নিয়ে গেল এমন চাবে আমাকে বসালো য্রভাবে দুইহাত বেধে থানায় আসামিদের মারা হয় সেভাবে অটোরিকশাতে বসে আছি এখন, একের পর এক এক করর একবার এ পাশে আরেকবার ঐ পাশে করে দু জন দুজন চার জন বসলো, সাধারণত এ রিকশাতে তিন জনের বেশি বসা সম্ভব না সেই যায়গায় এরা পাচ জন বসাইছে আবার সামনের সিট এ চার দু তিন বসছে, এরা এমন করে বসছে আমি শুধু নিঃশ্বাস নিতে পারছি, না নরা চরা করতে পারছি না কাউকে দেখতে পারছি, হুট করে একটা মেয়ে সিট থেকে এসে আমার কোলে বসে পরছে, বলতেছে এখানে এত মানুষ বসা যায়নাকি? আমি কোলেই বসি, আমি ইতিমধ্যেই shocked একি ই তো দুই পাশে মেয়ে নরম নরম গরন গরম শরিরের স্পর্শ গায়ে লাগছে, তার উপরে কোলের উপর একজন এসে বসে পরছে😑 আর যাইহোক ভাই আমি ও তো ছেলে, আজে বাঝে ফিলিংস আমার ও তো আছে, রীতিমতো নিজেকে কন্ট্রলের বাহিরে আবিষ্কার করতেছি, থোতামো খেয়ে বোলতেছি, এ এ কি করছেন আপনারা 🥺 আমি একটা ছেলে এ কথা কি মাথায় নাই নাকি😑 মেয়ে গুলো আমার কথা শুনে ও না শুনার ভান করে নিজেদের মতো রাস্তার পাশের সৌন্দর্য নিয়ে ব্যাস্ত, তবে যে মেয়ে টা আমার কোলে বসে আছে, সে মাস্ক পরা সেই মেয়েটা যে মেয়েটা গত রাতে আমার প্লেট এ ভাত ডাল সভজি ইত্যাদি দিয়ে দিছিলো, তাকে আমি অবশ্য দেখিনি যে সে ই আমার কোলে বসে আছে, আর এদিক দিয়ে আমার আজে বাজে ফিলিংস ভিষণ ভাবে নারা দিতে শুরু করছে, আমি লজ্জায় না কিছু বলতে পারছি, আর না মেয়দের সাথে যুদ্ধ করে পারছি, ফিলিংস তারানোর জন্য আমি নিজের মনে মনে,  বাচ্চাদের পটি, গরুর পটি আরো যত খারাপ জিনিস আছে যে গুলো ভাবলে বমি আসে, সে গুলো চিন্তা করতেছি যাতে ঐ ফিলিংস না আসে, অবশেষে নিজেকে কিছুটা সামলাতে পেরেছি, এটাও বুঝতে পেরেছি যে মেয়ে টা আমার কোলে বসেছে সে কিছুটা টের পেয়েছে, কিছুখনের ভিতরেই নদির পারে চলে এসেছি, মেয়েটা আগে ই নেমে গেছে আমি দেখার আগেই, কে বসেছে আমি সেটা ও দেখতে পারিনি, একে একে সব মেয়ে নেমে গেছে অবশেষে আমি নেমে ভাড়া দিচ্ছি, মেয়ে গুলো বলছে ভাইয়া আপনি কেন দিচ্ছেন আমরা দেই, আমি বললাম জিনা আমি ই দিচ্ছি আপনারা সামনে যান, ইতি মধ্যে বন্ধু নুরু মেয়েদের হাত ধরে চলে গেল নদির পারে আমি যেয়ে দেখি বন্ধু নুরু এক ধাক্কা দিয়ে সব মেয়েদের পানিতে ফেলে দিছে, কিছু মেয়ে তো নুরু কে টেনে হিচরে পানিতে নিয়ে গেছে, বাহ আমার বন্ধু নুরু মেয়েদের সাথে সেই মঝা নিচ্ছি, শালা হারামি একটা😎 মুখ বাকিয়ে ভাবছি, একটু পরেই একটা মেয়ে এসে বলছে ভাইয়া আপনার শার্ট টা দিন না একজন পানি থেকে উঠছেনা বলল আপনার শার্ট টা চেয়ে নিতে, আমি বললাম কে সে? সে নাম বলত্র চেয়েও না বলে বলল ঐ যে মাস্ক পরা মেয়েটা, আমি এতটা ও বোকা না যে কেন চাচ্ছে বুঝতে পারবোনা, চাওয়ার কারন তার শরির ভিজে গেছে তার গতরের সব আষ্ঠপিষ্ঠ দেখা যাবে তাই চাচ্ছে, আমি ও বললাম আচ্ছা বলে শার্ট খুলে তাকে দিচ্ছি, সে বলে ভাইয়া আপনি নিয়ে যান, আমার শার্টের নিচে টিশার্ট পরার অভ্যাস আছে তাই আমার গায়ে টিশার্ট,  নদির কিনারে যেয়ে যখন ই আমি মাস্ক পরা মেয়েটা কে শার্ট দিতে যাবো তখন ই কে যেন সোজা স-ঝোরে এক ধাক্কা পানিতে, আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে মেয়েটার গায়ের উপরে যেয়ে পরি, আর মেয়েটা ডুবে যেয়ে পানি খেয়ে বসেছে মাথা পানির ভেতর থেকে বাহিরে দিয়ে কাশি দিচ্ছে, আমি কি করবো বুঝতে না পেরে মেয়েটার কোমরে হাত দিলাম কোমরটা সফট ধরতে কেমন যেন ভালোই লাগছিলো, আমার বুকের ভিতরের হার্টবিট টা ঝরে ঝরে বিট করতেছে, আমি তাকে ঝাগিয়ে কিনারায় ধাক্কা দিলাম যেন সে কিনারায় পৌছে যায়, উপরে থেকে আমার শার্ট টা তাকে দেয়া হলো সে সেটা পরে উপরে উঠলো তবে এখনো সে মাস্ক বা তার ফেস আমাকে দেখায়নি, সব মেয়েরা তারা হুরা করা গারিতে বসে পরলো, আমাকে তাদের সাথে যেতে বলল, এই অবস্থায় তাদের সাথে যাওয়া ঠিক হবে ভেবে আমি না বলে দিয়েছি, তারা চলে গেল, আমি আর নুরু হেটে হেটে ই বাসায় রওনা দিলাম, বাসায় যেয়ে দেখি সবা মেয়েরা আমাদের অভাক করে দিছে😳

Next Part Coming soon 

পর্ব ২




আমি আর নুরু হেটে হেটে ই বাসায় রওনা দিলাম, বাসায় যেয়ে দেখি সব মেয়েরা আমাদের অভাক করে দিছে😳
এক একটা মেয়ে সজে গুজে বসে আছে, সবকয়টারে ই অনেক সুন্দর লাগছে নুরু তো হা কইরা তাকাই আছে, আর ভয়ে লজ্জায় চোখ বড় করে তাকাই আছি কাকে রেখে কাকে দেখবো ভেবেই প্রান যায়, সত্যি সৃষ্টিকর্তা খুব যত্ন কইরা মানুষ বানাইছে - আর সেটা মেয়েরাই বেশির ভাগ প্রমান হয় তার, আমি সহজে কারো দিকে তাকাই না জার দিকে দাকাই সব দেখা না ছেরে থাকিনা, পা থেকে মাথা অব্দি সব দেখতে লাগলাম সবার দেখতে দেখতে যখন তাদের কাছে চলে গেলাম হঠাত করে একজন বলে উঠলো দেখা হইছে আপনার ভাইয়া? দেখা হলে ভিতরে যান, নয়তো চোখ তুলে হাতে দিয়ে দিবো তখন লাঠি নিয়ে হাটা লাগবে দেখার সুযোগ হবেনা আর, নুরু কথা শুনে বলে বাবাহ😳 কি থ্রেট দিচ্ছে রে চল চল দেখতে পরির মতো হলে কি হবে ব্যাবহার শাকচুন্নির মতো, 😎 চল রেহান ঘরে যাই। তো নুরু আমার কাদে হাত রেখে ঘরে চলে আসলো, আমার শরীর ক্লান্ত লাগছিলো একটু ঘুমাবো ভাবছি - তাই নুরু কে বললাম নুরু দরজাটা লাগিয়ে দে একটু ঘুমাই, আবার রাতে যাগতে হবে আজ নাকি গায়ে হলুদ দিবে স্টেজ রেডি করতেছে দেখলাম, নুরু ও সম্মতি দিয়ে ঘুমাতে আসল, চোখে ঘুম চলে আসছিল অলরেডি ঐ পাশ থেকে ভাইয়া ভাইয়া ঐ রেহান ভাইয়া দরজাটা খুলো না একটু, আমার ছোট বোনের গলার শব্দ, আমি নুরু কে বললাম দেখ কি হইছে একটু নুরু বলে উঠলো কি হইছে আপা কিছু বলবা? ঐ পাশ থেকে আমার বোন বলতেছে একটু খুলেন ভাইয়া,  নুরু উঠে দরজা খুলতেই সব মেয়েরা নুরু কে ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ডুকে গেল, নুরু চিৎকার করে বলছে এই তোমরা যাও আমরা ঘুমাবো, মেয়ে রা বলে উঠলে ধ্যাত এখন ঘুমানোর সময় নাকি? এখন আড্ডা দিবো সবায়, নুরু বলে অন্য রুন এ যাও না ভাই এখানে মরতে আসছো কেন ছেলেদের ভিতরে?😑 মেয়েদের থেকে নিতু বলে উঠলো ছেলের ভিতরে মেয়েরা আসবে না তো হিজলাদের ভিতরে যাবে? আজব তো আপনি,😑
নুরু খাটের উপর যায়গা না পেয়ে ফ্লোর এ ই সুয়ে পরছে, আর আমি তো আমার যায়গায় ই শুয়ে আছি, কি বলছে শুনছি তবে চোখ খুলছিনা৷
মেয়েদের থেকে একজন বলছে- রেহান ভাইয়া চুপ কেন? জ্বর আসছে নাকি? সাথে সাথে ই একটা মেয়ে আমার কপালে হাত দিয়ে জ্বর আসছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে, আমি মেয়েটার নরমের হাতের ঠান্ডা  স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলে ফেললাম, চোখ খুলে ই দেখি মাস্ক পরা মেয়েটা আমার একদম কাছে মুখের কাছে আমি আতক্কে চোখ বড় বড় করে চুপ করে তাকাই আছি, মেয়েটা আমার চোখ খোলা দেখে লজ্জা পেয়ে দূরে সরে গেল। আমি কোন কথা না বলে উঠে বসে সবার উদ্দেশ্যে বলতে লাগলাম: এই তোমরা কি শুরু করছো ভাই? একটু শান্তিতে ঘুমাইতে তো দিবা নাকি? রুম টারে পুরো মাছের বাজার বানাই ফেলছো, কান ব্যাথা হইয়া গেছে আমার ভাই ( রাগ হয়ে বললাম ) থাকো তোমরা আমি গেলাম - আজকে আর ঘুম হইছে, ঐ নুরু উঠ বাহিরে যাবো, মেয়ে গুলো বলতেছে ভাইয়া আমরা তো গল্প করতে আসছি, আপনার সাথে আপনি চলে গেল কার সাথে করবো?
আমি রাগ দেখিয়ে বললাম কেন নিজের সাথে😑 তোমরা এত ছেলে বাজ কেন শুনি? যেখানে আমরা সেখানেই তোমরা?
মেয়েদের ভিতর থেকে যার নাম মিতু সে বলল: ভাইয়া চুম্বকের বিপরীত সুত্র তো জানেন ই যেখানে মেয়ে সেখানে ছেলে আর যেখানে ছেলে সেখানে মেয়ে তো আসবেই😌?( হেসে দাত কেলিয়ে বলল)
আমি: ছি তোমরা ঠিকই শাকচুন্নি😑
মেয়েরা সব গুলো বলে উঠলো কি আমরা শাকচুন্নি? 😳
আমি: আমি কিছু বলিনাই নুরু বলছে?
মেয়েরা সব নুরুর উপর ঝাপিয়ে পরছে, আমি শুধু তামাশা দেখছি কিছুখনের মধ্যেই নুরু হাল বেহাল কেউ গুশি দিচ্ছে তো কেউ চুল ধরে টানছে আমি just ভয়ে ছিলাম আমারে ধরে নাকি পরে, সাথে সাথেই আম্মি ডাক দিলো- রেহান? আমি রীতিমতো আনন্দে লাফিয়ে বললাম জি আম্মি আমি আসছি, পিছন থেকে চিল্লায়ে চিল্লায়ে ওরা বলতেছে ভাইয়া চলে যাচ্ছে ভাইয়াকে ধর, এটা শুনে আমি এক দৌরে আমি আম্মির কাছে যেয়ে বলছি জি বলেন।
আম্মি বলল: বাজারে যাও যেয়ে গায়ে হলুদের জন্য যা যা লাগে নিয়ে আসো।
আমি বলতে লাগলাম: আম্মি তোমার মাথা খারাপ হইছে নাকি? গায়ে হলুদে কি কি লাগে না লাগে আমি কিভাবে জানবো বলো? আমি বিয়ে করছি? আর তাছারা শারি লুংগি গেঞ্জি এগুলা ও তো কিনা লাগবে তাইনা? তুমি তো জানো আমি দর দামে কাচা যা বলে তা দিয়ে ই নিয়ে আসি।
আম্মি বলল: হ্যা জানিতো এর জন্য তোমার সাথে তোমার আন্টির মেয়েরা যাবে আর তোমার সাব্বির মামা যাবে,  ( সাব্বির হলো আম্মির খালাতো বোনের ভাই) আর তোমার আংকেল তো কাজের জন্য এখনো আসতে পারেনি, উনি আসলে এত চিন্তা লাগতো না,
আমি নিরুপায় হবে বললাম ঠিক আছে - আসতে বলুন,
রুম থেক চার পাচজন মেয়ে বের হয়ে বলল আমরা রেডি ভাইয়া চলেন,
আমি বললাম: গুষ্টি সহ সবায় যাইবা? বাজার কিনতে নাকি বাজারের মানুষদের ভয় দেখাতে?😑
মেয়েদের থেকে একজন বলল: তুমি চুপ করো আমরা আমাদের হাত অয়া দিয়ে যাবো তোমার কোলে চরবো না😌
আমি লজ্জা পেয়ে চিল্লা চিল্লা করে ডাকতেছি: সাব্বির মামা ঐ সাব্বির মামা কই আপনি আসছেন না কেন? মামা রুম থেকে বের হয়ে বলল চলো মামা ( আসলে সাব্বির মামা ও আমাদের বয়সের মানে হয়তো কয়েল বছরের বড় তবে ফ্রেন্ডলি)  আমরা বের হলাম বাসার সামনে গারি দার করানো আছে thats mean গাড়ি আগে থেকেই বলে রেখেছে, তো আমি আর সাব্বির মামা বাইক এ বসলাম নুরু আর বাকি মেয়েরা গারিতে বসলো, কিছুখনের মধ্যেই চলে আসলাম বাজারে, সাব্বির মামা তাদের ভাগ্নিদের নিয়ে ওনাদের গায়ে হলুদের জিনিসপত্র কিনলো, আর আমি নুরু দু জন মিলে বিয়ে বাড়ির ছেলেদের জন্য ৪০ পিছ পাঞ্জাবি ৫০ পিছ শাড়ি কিনলাম যে গুলো অন্টাইম ই ব্যাবহার করে শুধু গায়ে হলুদের দিন! সব মিলিয়ে ৩০ হাজারের মতো লাগছে, টাকার চিন্তা করিনা আনটি শুনলে দিয়ে দিবে তাই ভাবছিনা আর কিছু টাকা খরচ হইলে এমন কিছু হবেনা সব থেকে বড় কথা বিয়ে বাড়ির আনন্দ এটা বার বার আসেনা, আমি যে আগুলা নিয়েছি কেউ জানে ও না আর মামার ও খেয়াল নেই যে এগুলা কিনতে হবে।
কিছুখন পর মামা ফোন দিয়ে বলে: মামা কোথায় তুমি আমাদের কেনা কাটা শেষ তো।
আমি: মামা আপনি চলে যান আমি পরে আসতেছি,
মামা ওপাশ থেকে বলে ঠিক আছে, আমরা যাচ্ছি
বলেই কেটে দিলো। আমি ও ফোন পকেটে রেখে কিছু আবির রং কিনে গারি ভারা করে বাসায় চলে আসলাম। সন্ধ্যা হলো রাত হলো পাত্রি কে শাড়ি পরালো, এখন আন্টি আর বাকি সবায় চিল্লাচ্ছে সাব্বির মামার উপরে, মেয়েদের জব্য শাড়ি আর ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি কেন কিনেনি, মামা ও চুপ করে আছে উনি কি করবে এত কিছুর ভিতরে মনে থাকে নাকি? আর যেই মেয়ে নিয়ে গেছে এটা না ও টা ওটা না এটা করতে করতে মামার মাথা খেয়ে ফেলছে, নুরু হুট করে বলে উঠছে আনটি আমরা নিয়ে আসছি তো চিন্তা কইরেন না, বলেই সব প্যাকেট ফ্লোর এ ঢেলে দিছে - আন্টি ও চোমকে গেছে এত গুলো দেখে উনি জিজ্ঞেস করে বসলো কত টাকা গেছে, নুরু হুট করে বলে দিছে ৩০ হাজার আনটি, আন্টি চোখ বড় করে বলে তোমরা কেন আনতে গেলে৷ তোমার মামাকে বললেই হতো সে কিনে আনতো, নুরু বলে আরে আনটি আমরা কি পর নাকি আমাদের বিয়ে তে আমরা এনেছি আপনি এ ব্যাপারে কিছু না বললেই খুশি হবো, আন্টি ও আর কিছু বলেনি তবে মেয়ে গুলারা শাড়ি গুলো লুটপাট করে সব নিয়ে নিচ্ছে আমার বোন আমার পিছনে দারিয়ে বলে ভাইয়া আমাকে একটা নিয়ে দে, ওরা যেভাবে নিচ্ছে চাগে পাবোনা একটা ও।
আমি বলছি চিন্তা করিস না ভাই এত শাড়ি আনছি মুরুব্বিরা ও পরতে পারবে তুই দারাই থাক এখন, সবায় নিতে নিতে ১৫-২০ টা নিছে এখবো ৩০ টা আছে কিছু গেস্ট এখনো আসেনি কেউ আসতেছে সবায়কে দিবে সুতরাং আমি বোনকে বললাম তোর আম্মির জন্য নিয়ে নে দুইটা এখন সে ও নিয়ে হ্যাপি হয়ে বসে আছে গায়ে হুলুদের সেট ঐযে আছেনা মাতবায় টিতলি মিতলী লাগায় ফিতা ফুতা ঐ গুলা আমার বোনের জন্য আনছি এ সেট তাই রুমে যেয়ে সে গুলো নিতে বললাম, সে হেসে থ্যাংক ইউ ভাইয়া বলে চলে গেল। সবার যার যার মত পরতে লাগলো পাত্রি কে বাসার ছাদে স্টেজ করেছে সেখানে উঠালো নিয়ে বসালো। বড় স্পিকার এনেছে গান বাজানোর জন্য সো আমি স্পিকার এর পাশে দারাই আছি নুরু সেই আগের জামানার গান লাগাই দিছে হলুদ বাটো মেন্দি বাটো বাটো রে জলদি এগুলা, তাই যারা ইয়াং পার্সন তারা রাগে চেইতা গেছে ঐ কি বাজাচ্ছো ভালো গান বাজাও,  আনটি হুট করে উঠে বলে রেহান তুমি বাজাও তো - এ কথা শুনে আমার ছোট বোন বললে উঠলো: আরে আনটি না না এই ভুল জীবনে ও করবেন না, ভাইয়া কে গান বাঝাতে দিলে সে আরজিত সিং এর স্যাড গান লাগাইবে পরে আনন্দের দিনে সবার চোখে পানি চলে আসবে। আমি ওর দিকে চোখ বড় বড় করে অসহায়ের মত তাকাই আছি, আর মনে মনে ভাবছি আমার বোন ও আমারে পচানোর একটু সুযোগ ও হাত থেকে যেতে দিচ্ছেনা। নুরু কে সরিয়ে আমি বসে লাগাই দিলাম অখসয় কুমারের লালা পানি গানটা যেটা হাউস্ফুল মুভির গান, সবায় গানের তালে তালে সিট থেক উঠে দারালো আর লাফানো শুরু করলো কেউ নাচ পারে বিষয় টা এমন না, কেউ পারেনা তাই শুধু হাত দুইটা উপরে দিয়ে লাফাচ্ছে যেভাবে পুলিশ দেখলে আসামিরা হাত উপরে দিয়ে রাখে তেমন করে দিয়ে লাফাচ্ছে, এদের দেখা দেখি মেয়ে রা ও উঠে রুব্বানে নাচে কোমর দুলাইয়া গানে যেমন কোমর দুলায় তারা ও ওমন কোমর দুলাচ্ছে, ল পরা বিয়া বাড়ি বিয়া বাড়ি ফিল হচ্ছে মুরুব্বি আর যুয়ান সবায় লাফাচ্ছে গান চ্যাঞ্জ হয়ে অন্য গান আসছে সবায় নাচছে নাচের ধরন বদলাচ্ছে না, নিচ থেক দৌরে এসে কিছু মেয়ে জয়েন হইছে ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম মাস্ক পরা মেয়েটা ও জয়েন হইছে আমি তার দিকে অভাক হয়ে তাকিয়ে আছি, আহা কি ধরন তাহার কি বডি ল্যাংগুয়েজ আমি এতদিন খেয়াল ই করিনি এতটা। না মোটা বেশি আর না চিকন বেশি মিডিয়াম কোমরটা পাতলার ভিতরে একটু ভারি আর স্লিম কিছুটা তার ঐ কোমার দোলানো দেখে আমার নিজের ভুকের ভিতরেই কেমন কেমন ফিল হচ্ছে,  ভালো করে তাকিয়ে দেখি সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে, পরে তাদের মেয়েদের কানে কানে কিছু একটা বলছে মেয়ে গুলো নাচা বন্ধ করে কিনারে চলে আসছে আসতে আসতে আমার দিকে আসতেছে হুট করে আমাকে আচমা দু হাতে ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আর নুরু ও আমারে টেনে নিয়ে গেছে নাচের ভিতরে বলে নাচো, আমি বলতেছি বা* নাচবো মিয়া,  আমি পারিনাকি নাচতে? আজব যেতে চাচ্ছি ধরে রাখছে আসতে দিচ্ছেনা, কি করার নিরুপায় হয়ে যা শুরু করলাম লাফানো একদ জোকারের মত লাগছে আমাকে সিউর তবে লাফাতে ইচ্ছা হচ্ছে জিম এ কার্ডিও যেভাবে করে আমি ও শুরু করে দিলাম জিমের কার্ডিও কেউ কেউ বলতে সে কিভাবে নাচতেছে, আবার কেউ বলে সে দারুন নাচতেছে,  কেউ আমাকে ফোলো করছে আমি শুধু জোকারের মত লাফাচ্ছি i mean কার্ডিও করতেছি, আর মাস্ক পরা মেয়ে টা কোমর দোলাচ্ছে - সবায় তো কোমর দোলাচ্ছে তবে মাস্ক পরা মেয়েটা তার কোমরের সাথে সাথে আমার মন্টা ও দোলাচ্ছে, আমি just হা করে অভাক হইয়া তাকাই আছি তার কোমরের দিকে কেমন যেন নেশা কাজ করতেছে, মাস্ক পরা মেয়েটা কানে কানে একটা মেয়ে কে কি যেন বলল আর সে মেয়ে টা মাস্ক পরা মেয়েটাকে ধাক্কা দিলে মেয়েটা ইচ্ছা করে আমার গায়ে এসে পরলো, এতখনে বুঝতে পেরেছি সে তাকে আমার উপরে ধাক্কা দিতে বলছে, হালকা ধাক্কাতেই মেয়ে টা জোরে আমার গায়ে এসে পরলো আমি একদম কিনারে চলে গেছি নিজেকে সামলাতে না পেরে এর মধ্যেই কারেন্ট চলে গেছে গান বন্ধ হৈচৈ শুরু হল, ইতিমধ্যে কে যেন হাত টেনে আমাকে একদম আরালে নিয়ে আসলে সবার থেকে দূরে মানে ছাদের ঐ মাথায় পানি ট্যাংকের কাছে ঐ খানে লোক নেই আর যায়গাটা ও আড়াল অনেক অন্ধকার, 
মাস্ক পরা মেয়েটা আমার হাত ধরে টেনে সোজা পানির ট্যাংকের সাথে পিঠ ঠেকিয়েছে, আর সে আমার সাথে বেজে আছে i think সে আমাকে huge করছে, শুধু huge বললে ভুল হবে সে আসতে আসতে আমাকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরতেছে thats mean deep hyge, এমিন ভাবে ঝরিয়ে ধরেছে আমার প্রায় শ্বাস প্রশ্বাস এ কষ্ট হচ্ছে,  আমি ভয়ে আমার দু হাত পুলিশের আসামিদের মতো উপরে দিয়ে রাখছি গ না তাকে স্পর্শ করছি, আর না তাকে বাধা দিতে পারছি, লজ্জা ভয় দুটো ই এক সাথে আমাকে আকড়ে ধরেছে প্রায়, এক ই তো অপরিচিত মেয়ে তার উপর কেউ দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে! আমি কিছুটা সাহস যুগিয়ে তার কানে ফিস ফিস করে বলতে লাগলাম,
আমি: Hey What Are you DOING? ( হে তুমি এটা কি করছো? )
মেয়েটা আমাকে আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে বলে:  Nothing But What? ( কিছুইনা কিন্তু কি? )
আমি: Your chest touching My chest, ( তোমার চেশট/ বুক আমার চেশটম বুক স্পর্শ করতেছে)
মেয়: উম? (মুচকি হেসে) এটাকে চেষ্ট বলে না স্যার এটা কে বুক বলে আর তাছা রা এটার আরেক টা নাম ও আছে বলবো?
আমি: ছি ছি এত ভালগার শব্দ ব্যবহার করছো কেন লজ্জা করেনা?
মেয়ে: নেহি ( ফিস ফিস করে আমার কানে বলল)
আমি বললাম
আমি: Your bellay touching my bellay, ( তোমার পেট আমার পেট স্পর্শ করতেছে)
মেয়ে: উম ( মুচকি হেসে)
আমি: your Whole body touching my whole body ( তোমার পুরো শরীর আমার পুরো শরীর স্পর্শ করতেছে)
মেয়ে: তো?
আমি: This is very bad maam, ( এটা খুব খারাপ ম্যাম)
মেয়ে: আচ্ছা?  তাহলে দুপুরে যে আমার আমার চেষ্ট এ হাত দিছো? তখন ও না না চেষ্ট না তো বুক আরে বুক না তো সেটা হলো দ পুরো বলার আগেই আমি তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরছি, পরে বললাম থামো কি করছো?
মেয়ে: থামতে পারি এক শর্তে
আমি: কি?
মেয়ে: আগে বলো ইয়স
আমি: আগে তো বলো শর্ত টা কি?
মেয়ে: আগে ইয়েস বল
আমি: ওকে ইয়েস
মেয়ে: i want to kissing u
আমি: কখনোই না আমি তোমাকে চিনি ও না আর কখনো দেখি ও নি, ফেস থেকে মাস্ক টা সরাচ্ছো ই না, এমন ভাবে মাস্ক পরে থাকো মনে হয় তোমার জন্ম রুপ এটা।
মেয়ে: চুপ করো, now kiss me plz
আমি: না বলতে ই কে যেন মোবাইলের ফ্ল্যাশ জালিয়ে এদিকে চলে আসছে মেয়েটাকে বলছি ছারো কে যেন আসতেছে সে ভাবছে আমি বাচার জন্য মিথ্যে বলছি। আরো শক্ত করে ঝরিয়ে ধরে বলল না, আর তখন ই ফ্লাস জালিয়ে একজন চলে আসছে,
মেয়েটা তাকে দেখে বলে উঠলো: What the fu*k ( বাংলা বলা যাবেনা গুগল সার্চ করুন প্লিজ)
ফ্ল্যাশ জালিয়ে যে আসছে সে আর কেউ না আমার বন্ধু নুরু। সে ও আমাদের এই অবস্থায় দেখে বলে উঠলো: What the fu**)
ইতিমধ্যেই মেয়েটা চলে গেছে আর নুরু বলতেছে কি করতেছোস তুই? বিয়ে বারিতে ছি, আমি এখন ই জেরিন রে বলতেছি, আমি তাকে বলছি তোর মাথা খারাপ আমি কি করছি? তুই দেখোস নাই?
নুরু: দেখে ই তো সত্য টা তোর এক্স রে জানাতে চাচ্ছি,
আমি: তুই কি দেখছোস?
নুরি কি আর: দেখছি তোরা দুইজন আকাম করতেছোস চিপায় এসে,
আমি: কি?
নুরু: ছি
আমি: থাপরাবো তোরে, তুই কি দেখলি আমি তাকে ঝরিয়ে ধরছি নাকি সে আমাকে?
নুরু: সে
আমি: তাহলে দোষ কার?
নুরু: তোর😌
আমি: মারবো একটা উশটা,  তার হাত উপরে ছিলো নাকি আমার?
নুরু: তোর
আমি: তাহলে দোষ কার?
নুরু: তোর।
আমি ওরে সামনের দিকে ফিরায়া পাছায় এক লাথ্যি মেরে বললাম ভাগ ছালা।
অতঃপর সে চলে গেল আর কারেন্ট চলে আসলো,  নিচ থেকে সাব্বির মামা চিল্লাচ্ছে আর বলছে মেইন সুইস অফ কে করছে কারেন্ট এর? কথা টা শুনে রীতিমতো আমার চোখ আপেলের মতো বড় বড় হয়ে গেছে মাথায় যেন আসমান ভেজ্ঞে পরছে, সব এক এক করে মাথায় আসছে, কারেন্ট চলে যাওয়া আমাকে চিপায় নিয়ে আসা সব ই তাদের সাজানো শরযন্ত্র ছিলো😳 ধ্যাত শাকচুন্নি একটা😑

কিছুখন পর রাতের খাওয়ার সময় হলো' সবায়কে প্লেট নিয়ে আসতে বলল, বিরিয়ানি রান্না করা হইছে আমরা সবায় বিরিয়ানি আনতে গেছি, আমি নুরু আরো কিছু মেয়ে আমার বোন আমার পাশেই বসছে চ্যায়ারে আমরা সবায় বসে খাচ্ছি, আমার বোন তার প্লেটের মাংস আলু বেছে বেছে আমার প্লেটে দিচ্ছে আমি : এই কি করছিস ভাই? তুই জানোস না আমি জিম করি বেশি খেতে পারবোনা,
বোন: চুপ করে খাও তো আমি আরো আনতে যাচ্ছি। এটা বলে ই সে উঠে গেছে চ্যায়ার ফাকা রেখে, এরপরেই মাস্ক পরা মেয়ে টা এই খাবারের সময় ও মাস্ক পরে প্লেট ভরা নিয়ে আমার পাশে বসে আছে,
আমি অভাক হইয়া তার দিকে তাকাইয়া বলছি: কি ব্যাপার এই খাবার সময় ও মাস্ক পরে আছেন মায়াম এখন তো মাস্ক টা খুলেন। সে বলে আমার তো খাওয়ার শেষ আমি প্রতিত্তোরে বললাম তাহলে এই যে মাংস ভরা প্লেট?
সে বলে এটা তো আপনার জন্য নিয়েছি, পেল্ট শেষ করে এটা শুরু করবেন ( হেসে)
আমি বললাম আমার দারা সম্ভব না ভাই,  বলেই উঠে গেলাম হাত ধুইতে যাচ্ছি,  থাকো তুমি। বলেই হাত ধুইতে চলে গেলাম, রাতের খাবার দাবার শেষ করে রুমে যেয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলাম, 

সকাল হলো আজকে বিয়ের দিন বর পক্ষ আসবে! সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে বাহিরে যেয়ে হেটে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম সব মেয়ে দেখছি অথচ মাস্ক পরা সেই মেয়েটা কেই দেখছিনা না দেখে আমি ও রুমে বসে এক্সের সাথে চ্যাট করা শুরু করলাম বেলা গরিয়ে গেল দুপুর হলো, নতুন পোশাক পরলাম, পোশাক বলতে টিশার্ট,  তার উপরে শার্ট প্যান্ট সুজ, আর চুল্টা একটু ঠিক করলাম  দুপুর হয়ে গেল বর যাত্রি আসার সময় হয়ে আসলো, মেয়েরা এসে আমাকে ডেকে বলে ভাইয়া বর পক্ষ চলে আসবে গেট এ দারাবেন না? আমি বললাম তোন্রা মেয়েরা দারাও আমাদের দারাতে হবেনা, তারা বলে আসেন না প্লিজ অনেক জোরাজুরি করে গেট এ নিয়ে আসল - সব কিছু রেডি এখন বর পক্ষ আসার অপেক্ষা,  একটু পর ই বর পক্ষ চলে এলো মেয়েরা গেট এ ভির করে দারিয়ে থাকলো সাথে আমি ও থাকলাম। ঐ বাড়ি থেকে ১৫০ এর বেশি লোক আসছে, সুন্দর সুন্দর মেয়েরাও আসছে সামনে মেয়েরা পেছনে ছেলেরা তার পেছনে মুরুব্বুরা ওয়াও মনে হচ্ছে মেয়ে গুলারে আমাদের জন্যই সামনে রাখছে তারা আমদের সালাম দিলো কে কি হয় সেটা জানালো গেট কগুলার জন্য ডিমান্ড কত তা বলল, আমি কোন কথা না বলে সব মেয়েদের দিকে তাকাচ্ছি, হুট করে আমার চোখ যেয়ে পরলো দ্বিতীয় সারির একটা মেয়ের দিকে, মেয়েটা যে বেশি লম্বা তানা তবে মাঝারি সাইজের মেয়েটার বিবরন দিতে গেলে মেয়েটা ফর্সা, একবারে দুধের মতো ফর্সা চুল গুলো জম্মের কালো ঠিক যেন রাতের অন্ধকার, তার মাজে যেমন তারা থাকে তেমন তার চুল গুলো ও মাঝে মাঝে হালকা লাল, i think colour করছে, চোখের উপরের ভ্রু টা ডার্ক কালো ফর্সা ফেসের সাথে এই কালো লালের কম্বিনেশন টা তাকে সেই মানিয়েছে ঠিক যেন আমাদের স্বপ্নে দেখা কোন রুপকথার রাজকুমারী!  আসতে আসতে তার গলায় নজর গেল কেমন যেন নেশা কাজ করছে, আকাশি রঙের সালোয়ার-কামিজের কম্বিনেশন আর হিলিলেস সুজ just looking so Radiant। হটাৎ খেয়াল করলাম সে লজ্জা নিয়ে হাটছে আর এদিক সেদিক তাকাচ্ছে আমি যে সবার সামনে ব্যাপার টা তা নায়ামি তিত্বিয় সারিতে, সামনে থেকে যে আমাকে দেখা যাবে এমন টানা, আর এত টা ও লম্বা ও না আমি😑
হুট করে আমাদের চোখে চোখ পরে গেল সে হেসে দিয়ে একজনের পিছনে লুকালো, আমি তাকে চিনতে পারিনি আগে দেখা হয়েছে কিনা সেটা ও জানিনা তবে এমন করার কারন কি? লুকাচ্ছো কেন, ভাবতেছি আর তাকে খুজছি, সে বরাবর ই লুকাচ্ছে আর দেখছে আর হাসছে, গেট এর দেনা পাওনার ঝামেলা শেষে গেট খুলে দেয়া হলো বর পক্ষ ভিতরে প্রবেশ করলো আমরা দারাই আছি রাস্তার কিনারে, নুরু মেয়ে দেখে হা করে পিছু পিছু যাচ্ছে, আর আমি ও সত্যি কথা বলতে সেই মেয়েটাকে ই খুজছি, আজকে বিয়ের দিনে বর পিক্ষে থেকে যারা আসছে তারা একবার ই আসবে আর কখনো কারো সাথে দেখা হবেনা, যাকে ভালো লাগবে তাকে বলতে তো হবেই অত্যন্ত তার সাথে কথা তো বলতে হবে তাইনা? নিজেরে নিজেই বুঝাচ্ছি - কোনরকম সাহস যোগার করে এক্সের কথা ভুলে সেই মেয়ে টা কে কগুজতে লাগলাম, সবায় যাচ্ছে সে যাচ্ছে না দেখছিনা,  সব শেষে মেয়েটা হুট করেই পাশে দারিয়ে বলে আমাকে খুজছো? আমি হুম বলতে যেয়ে ই দেখি পাশে আমার বোন দারিয়ে আছে মেয়েটার দিকে চোখ বড় করে আমি কোন উত্তর না দিয়ে চলে আসছি ভিতরে,
বাহিরে বিয়ে পরালো বড় পক্ষকে খাবার দেয়া শুরু হলো আমি টেবিলের সবায় কে খাবার বেরে দেয়ার দায়িত্ব পেয়েছি, আমাদের পরিচিত সব মেয়ে দৌড়ে এসে আমার টেবিলে বসল, ঐ যে রেহান ভাইয়া ঐ যে ভাইয়া ঐখানে বসবো চলো চলো করে সবায় আসছে, সেই সুন্দরী মেয়েটা বড় পক্ষ হলেও মেয়ে পক্ষদের সাথে বেশি মিশতেছে ঘটানা কি? সবায় বসে পরছে এখন তার যায়গা হচ্ছেনা,  আমি তাকে দারিয়ে থাকতে দেখে আমার ছোট বোনকে দিয়ে বললাম এখানে এসে বুসতে,  ছোট বোন ও বুঝতে পেরে তাকে নিয়ে আসছে তবে সে মেয়বি রাগ করে আছে, সবায়কে খাবার দিচ্ছি তাকে দিচ্ছি সবায় নিচ্ছে তবে সে নিচ্ছে না কি যেন ভাবছে,  আমি হুট করে মিতু নামের মেয়েতাকে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা মিতু আপু সবায়কে দেখছি সেই মাস্ক পরা মেয়েটাকে দেখছি না যে?😌 এ কথা শুনে সুন্দরী মেয়েটা চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে হা করে, সাথে সাথে মেয়ে গুলো ও তাকিয়ে আছে, আমি কিছুটা লজ্জা আর সন্দেহ নিয়ে বললাম কি ব্যাপার কি এমন বলছি যে এমন করে সবায় খাওয়া রেখে আমাকে দেখছো?🥺
মেয়ে গুলো সবায় সুন্দরী মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে, 
আমি: কি ব্যাপার তোমরা সবায় ওনার দিকে তাকাচ্ছো যে? আর সাথে সাথে হা করে ঠিক ঠাক মতো ভেবে দেখলাম এই মেয়েটা ই সে সাথে সাথে কপালে হাত দিয়ে বললাম হায় আল্লাহ🤦‍আমি তাকে চিন্তেই পারিনি?
মেয়ে গুকো খিল খিল করে হেসে দিলো, আর সুন্দরী মেয়েটা খাবার রেখে হাত ধুইতে চলে গেল, আমি নুরু রে বললাম নুরু তুই দেখ কার কি লাগে বলেই মেয়েটার পিছু পিছু চললাম, সে হাত ধুচ্ছে আর আমি তার দিকে তাকাই আছি, সে যখক্ন হাত ধুইতেছে তখন তার হাতের আজ্ঞুলের সেই তিল্টা দেখলাম যেইটা সেইদিন আমাকে খাবার বেরে দিতে দেখছি, এত দিন এত সুন্দর একটা মেয়ে পিছনে ছিলো আর পাত্তা ই দেয়নি ছি নিজেরে নিজেরেই বলছি,
কিছুটা সাহস নিয়ে গলায় কাশ যেরে বললাম শুনেন না একটু কথা বলতে চাচ্ছি।
মেয়েটা অভিমান নিয়ে বলল: সময় নেই আমার,
আমি: jsut দুই মিনিট
মেয়ে: না
আমি: শুধু দুই লাইন
মেয়ে:  না
বলেই সোজা বাড়ির দরজায় চলে এলে আমি ও পিছন পিছন চলে এলাম, পির পিরিয়ে বাতাশ বইছে, হাল্কা বাতাসে তার ঘন কালো চুল বাতাসের দোলনায় দোলা খাচ্ছে, ফর্সা মুখের উপরদিয়ে চুল গুলো এদিক সেদিক ছোটা ছুটি করছে, সে বিরক্ত হচ্ছে এতে আমি তার সোজা সামনে যেয়ে চোখ মুখের উপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে আসতে আসতে ফিস ফিস করে বলতে লাগলাম
জীবনে মেয়ে দেখেছি,
অনেক মেয়ে দেখেছি জীবনে তবে তোমার মতো দেখনি।
জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি,
তবে কারো দক্ষিনা বাতাসে দোল খেলনো চুলে এতটা ভালো লাগতে দেখিনি।
জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি,
কারো ফর্সা গালের ঘাড় কাজল কালো চুলে আমার চোখের নজর এতটা গভির ভাবে আটকে যেতে দেখিনি।
জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি,
তবে কারো প্রতি এতটা বাঝে ভাবে নেশাখোর দের মতো নেশায় আসক্ত হয়নি।
আমি
জীবনে অনেক মেয়ে দেখেছি,
তবে তোমার মতো সুন্দরী এতটা এক পলকে মন কেরে নেওয়া মেয়ে - আমি কখনো দেখি।
সত্যি বলতে আমি তোমার মতো মেয়ে দেখেনি।
ওগো সুহেশিনী  বলোনা তোমার নাম কি?
মেয়েটা লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে রুবি, রুবাইয়া রহমান রুবি।
এতখনে কিছু লোক আমাদের সেখানে চলে আসছে আমি তারা দেখার আগেই মেয়েটার থেকে দূরে সরে গেছি, আর সাটের হাতা তুলতে তুলতে বলছি, তোমার নাম আর তুমি - দুইটাই অনেক দামি, আর ভয়ংকর রকমের সুন্দরী 😌 সে এটা শুনে হেসে দিছে! আমি ও হেসে দিয়ে বললাম
খাবার টেবেলি চাঁদ মুখটা আমাবস্যার রাতের মতো কেন করে রেখেছিলে বলো?
সে বলল: তখন আস্ক করলাম আমাকে খুজছেন তখন উত্তর না দিয়ে চলে কেন গেলেন?
আমি: তখন তো আম্মি ছিলো পাশে দেখোনি তুমি তখন আম্মি কি ভাবতো তাই সরে গেছি
ও আচ্ছা আমি ভাবছি...
আমি কি আমি?

পর্ব ৩

মেয়ে: আমি ভেবেছি আপনি বিরক্ত হইছেন।
কথা টা বলে ই সে চলে যাচ্ছে আমি তাকে থামানোর জন্য ডাক দিলাম ম্যাম শুনেন না? সে না শুনেই জোরে জোরে হাটা দিয়ে চলে গেল, আমার ও খুধা পেয়েছে খেতে যাবো তাই প্যারা না নিয়ে খেতে বসে গেলাম খাবার টেবিলে। আমি নুরু আর কিছু মেয়ে সম্ভবত বর পক্ষের তারা, তারা গল্প করছে সবায় প্লেট নিচ্ছে আমি আর নুরু নিলাম, সবার প্লেট এ পোলাও নিল আমি নিলাম রোস্ট,  সবজি লেবু নিয়ে খাওয়া শুরু করলেম, খেতে খেতে পাশের সিটেএ মেয়েটার দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম সে খাচ্ছেনা কারন টা একটু খেয়াল করে দেখি তার হাতে ব্যান্ডিজ সম্ভবত হাত কাটা তাই চামিচ দেয়ে ব আহাত দিয়ে খাওয়া বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আমি কিছুখন তাকিয়ে থেকে খেতে লাগলাম, পরক্ষনেই ভাবলাম তার ও তো খিদে লাগছে, একটু হেল্প করিনা,  হেল্প করলে তো আহামরি ক্ষতি হবেনা, তার দিকে তাকিয়ে তাকে উদ্দেশ্য লরে বললাম।
শুনুন না আপনার খেতে কষ্ট হচ্ছে, আমি সাহায্য করছি যদি কিছু মনে না করেন
সে কিছুটা আত্বক্য আর লজ্জা নিয়ে বলে না লাগবেনা আমি খেতে পারবো, আমি প্রতোত্তরে বললাম: প্লিজ না বইলেন না - এতটা কষ্ট কইরা ও খাওয়া পসিবল না!
সে বলে কোন ব্যাপার না, আর তাছারা লোকে দেখলে কি ভাববে,
আমি বললাম কি?
সে বলল খারাপ মনে করবে
আমি একটু লাইটলী বললাম দেখুন আমরা এখানে সারাজীবন থাকবোনা আর আপনি ও থাকবেন না, আজকে বিয়ে শেষ হলে খাওয়া দাওয়া করে আপনি আপনার রাস্তায় আর আমি আমার রাস্তায় চলে যাবো আর কোন দিন হয়তো দেখাটাও হবেনা। সুতরাং কে কি ভাবলো আর না ভাবল তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসেনা।
সে কিছুটা মুসকি হেসে বলল: হ্যা আপনার তো কিছু হবে না কোন দিন এই কারনে হয়তো আমার বিয়েও ভেজ্ঞে যেতে পারে।
তার কথা শুনে আমি হেসে দিয়ে বললাম: চিন্তা কইরেন না ম্যাম আমি আছি তো দেখে নিবো।
মেয়ে: সেটাই তো ভয়☺️
আমি তার কথা না শুনার ভান করে তার পেল্ট থেকে রোস্ট এর টুকরো নিয়ে বললাব হা করেন। সে ছোট্ট করে হা করল আর টুকরো টা তার মুখে ভরে দিলাম।
সে খাচ্ছে আর কিছুটা লজ্জা ও পাচ্ছে, সে মুসকি হাসছে, আমি ভ্রু কুচকে কারন জিজ্ঞেস করলাম।
সে খানিকটা হেসে বলল: মন হচ্ছে আমার বর আমাকে খাওয়াই দিচ্ছে☺️
আমি ঝারি দিয়ে বললাম হুস, চুপ করো বাঝে বইকোনা!
সে বলে আপনি?
আমি বললাম কি আমি?
সে বলে আপনি রেহান তাইনা?
আমি বললাম হ্যা তবে কিভাবে বুঝলে?
মেয়েটা বলল: আসার সময় গারিতে তোমার নাম শুনছি,  মেয়েরা বলা বলি করছে তুমি দেখতে মোটা মোটি তবে বিহেভিয়ার অনেক ভালো!
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার কি মনে হয়?
সে বলে: আমার মনে হয় তুমি আর তোমার বিহেভিয়ার দুইটা ই মাশাল্লাহ!
আমি কিছুটা লজ্জা পেয়ে বললাম হইছে হইছে থাক আর পাম দিতে হবেনা🥱
সে বলল: সিরিয়াস আমি
আমি: চুপ করেন! খাবার খান
সে খাবার খাচ্ছে আর হুট করে বলে ফেলল প্রেম করবেন আমার সাথে? আমার ফ্রেন্ড নুরু এ কথা শুনে রীতিমতো চ্যায়ার থেকে পরে যাচ্ছিলো আর খুস খুস করে কাশি দিয়ে আমাকে ডাক দিয়ে ফিস ফিস করে বলে দোস্ত কি শুরু করছোস?  তুই,  জেরিন বলে দিব সব দেখিস!
আমি বললাম চুপ কর ভাই প্যারা দিসনা একটু হেল্প ই তো করতেছি বেশি কিছুনা তো!



তুমি আমার সমাপ্ত গল্পের অসমাপ্ত অনির্মান,
কিছু দূর পেরোলেই টের পাই পিছু টান।
তুমি আমার প্রচন্ড ঝরের তিব্র বাতাস,
হয়তো তাই পেয়ে যাই কাছে আসার পূর্বা বাস।
পরি শেষে যদি জিজ্ঞেস করো আমি কেমন ছিলাম,
সময় টা তোমাতেই বাধা ছিলো তাই তোমারই ছিলাম।
আমি মেয়েটা কে খাইয়ে দিচ্ছি সে খাচ্ছে - আর হুট করে বলে উঠলো আমার সাথে প্রেম করবা? আমি চোখ বড় করে হা কইরা ফ্যাল ফ্যালাইয়া তাকাইয়া থাইকা বললাম তোমার মাথা টা গেছে। তারা তারি খাও আমার খুদা লাগছে আমি ও খাবো!
সে মুখে গরুর মাংস নিয়ে খাচ্ছে আর বলছে  ফোন নাম্বার দাও,
আমি বললাম হুস না!
সে বলল দাও তো,
আমি: না,
সে: কেন?
আমি বললাম আমার ex আছে।
মেয়েটা বলল: তাতে কি gf তো আর নাই?
আমি: চুপ থাকেন। খাবার খান
সে বলল: অপেক্ষায় থাকলাম!
কিছু খনের মধ্যে তার খায়ানো শেষ করে আমি খেতে বসলাম।
আমি আমার মনে খাবার খাচ্ছি এতক্ষনে নুরুর খাওয়া শেষ, তাই সে মেয়ে পটাতে মেয়েদের ভিতরে গেছে, বিয়ে বাড়িতে এত সুন্দরী মেয়েরা থাকতে ও যদি কোন মেয়ে পটাতে না পারি, তাহলে বিয়ে বাড়িতে থাকা ই ব্যার্থ, আরো অনেক কিছু বলে আমাকে জ্ঞান দিয়ে সে গেল তার কাজে! আমি খাচ্ছি আর এক্সরে ম্যাসেজ দিচ্ছি খাবার ছবি দিচ্ছি!
মিনিট দশেক পর আমার খাওয়া শেষ হলো। হাত ধুয়ে ফ্রেশ হলাম গরম লাগছে তাই ভাবছি রুমে গিয়ে একটু ফ্যানের নিচে বসবো,  সেই উদ্দেশ্য রুম এ গেলাম রুমের লাইট অফ ছিলো রুম ও খালি ছিলো তাই অতিরিক্ত গরমের কারনে শার্ট খুলে একটু রেস্ট নিবো ভাবছি কনে কে বিদায় দিতে দিতে রাত ধরবে আর তাছারা কনেএ সাথে আমি নুরু আনটির আরো দুই মেয়ে কিছু রিলেটিভি যাবে, বর পক্ষ ও আন্টিদের মতো বিরাট অবস্থা তাই কত লোক গেল কে গেল তাদের কাছে ও ম্যাটার করেনা! তো সেটা ভেবেই রুমে এসে দর্জাটা লাগিয়ে শার্ট টা খুলে বিছানায় শুইয়ে গায়ে দেয়ার জন্য খ্যাতা নিয়ে যেই ই শুইতে গেলাম তখনই একটা মেয়েলি কন্ঠে চিতকার দিয়ে উঠলো আয়ায়ায়ায়া😳
আমি রীতিমতো shocked কারন এই রুমে মেয়ে আবার আমি শার্টলেস মেয়ের চিতকার শুনে কেউ এসে গেট খুলতে বললে রীতিমতো কেলেংকারী হয়ে যাবে, আমার আম্মির আনটিদের সবার ই মান সম্মান যাবে, এটা ভাবতেই আমার শরীর ঘামতে শুরু করলো,  আমি বিছানা থেকে লাফ দিয়ে খাটের নিচে এসে ২ মিনিটের মতো দারাই আছি, কি করব না করবো ভেবে উঠতে পারছিনা ঠিক মতো, আমি যে লাইট জ্বালিয়ে দেখবে কে চিতকার দিলো বা জিজ্ঞেস করবো কে সেই সাহস আমার হচ্ছেনা, এখানে বিশেষ করে লজ্জার থেকে ভয়টা ই আমার বেশি লাগছে, কোন রকম  তো দারাই আছি তবে ভয়ে আমার হাত পা কাপছে লিটেরিলী, প্রান আসে যায় আসে যায় অবস্থা কোন রকম পাথরের মতো দারাই আছি না দরজার কাছে যেতে পারছি না বাতির কাছে এতটা ই আতক্বে আছি, ধপাস করে খাট থেকে নামার শব্দ কানে গেল আর সাথে সাথে ই বাত্বি টা জ্বলে উঠলো রুমের মনে হলো আগুন ধরিয়ে দিয়েছে রুমে এতটা বাঝে ফিলিংস হচ্ছে আমি সাহস করে কে বাত্বি জালালো তার দিকে তাকাতেই Double shocked এমন হলো কারেন্ট থাকা অবস্থায় আমি ১২০০ বোল্ট এ হাত দিয়ে ফেলছি।
যে মেয়েটা রুমে আমার সাথে ছিলো যে চিতকার দিছে সে আর কেউনা - সে হলো রুবি,
যাকে দেখলেই আমার পুরো দুনিয়া থমকে যায়,
যাকে দেখলে আমার হার্টবিট বেরে যায়।
সে আর কেউনা রুবি - রুবাইয়া রহমান রুবি।
আমি তাকে দেখেই আমার বুকে দুহাত দিয়ে বুক ডাকার চেষ্টা করছি অসহায়ের মতো!
আর সে কান্না করতেছে, তবে সে কান্না কেন করতেছে আমি তো কিছু করি ই নি😳
কিছুটা সাহস নিয়ে বললাম: রু রুবি ম্যাম? কা কান্না কেন করতেছেন৷ কি হইছে আপনার?
সে কান্না না থামিয়ে কোন উত্তর না দিয়ে কান্নার জোর আরো বারিয়ে দিলো। আমি আরো ভয় পেতে লাগলাম আমি অলমোস্ট কান্নার স্বরে বললাম: ম্যাম বিশ্বাস করেন আমি একটু রেস্ট নিতে আসছিলাম,  আপনি যে এখানে শুয়ে ছিলেন দেখিনি আমি প্লিজ কান্না কইরেন না। দেখেন কেউ দেখলে বড্ড খারাপ হয়ে যাবে প্লিজ কান্না কইরেন না! কি হইছে বলুন আমাকে।
সে কান্না থামাচ্ছে ই না, বাচ্চা যেভাবে ক্লাস পরিক্ষায় ফেল করলে কান্না করে সে ঠিক সেভাবেই কান্না করতেছে, আমি না পারছি তাকে স্পর্শ করে সান্ত্বনা দিয়ে থামাতে না পারছি বকা ঝকা করে থামাতে। ভয় হচ্ছে কেউ দেখে ফেললে ভাববে আমি তার সাথে জোর জবরদস্তি করেছি, তাই কান্না করছে তার উপরে আমি কিছুটা নেকেট/খালি গায়ে ও। এই অবস্থায় কেউ দেখে ফেলা আর নিজের জীবন অন্যের হাতে দিয়া পরপারে চলে যাওয়া এক ই কথা!
অনেক্ষন চেষ্টা করে থামাতে পারছিনা হুট করে কে যেন গেট নক দিলো, আমি ভয়ে চুপ করে থাকলাম, বুকের শ্বাস প্রশ্বাস বেরে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে ভয়ে দরজাটা আবার নক দিলো, চুপ ছিলাম তবে এবার চিল্লাছে ভাইয়া গেট খূলো তারাতাড়ি। কন্ঠ শুনে বুঝতে দেরি হলোনা কে দরজার ঐ পাশে?  সে আমার ছোট বোন, আমি কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে দরজাটা খুললাম, ছোট বোন তারা হুরা করে রুমে ঢুকেই আমাকে খালি গায়ে দেখে আর রুবি কে কাদতে দেখে কোন কথা না বলেই পিঠে থাপ্পড় দিতে দিতে বলল কি করলি তুই এইটা শয়তান,  কি করলি? তোর মাথা ঠিক আছে ঘর ভর্তি মানুষ চারপাশে দিনের বেলা তুই এই কাজ কিভাবে করলি হ্যা? বলছে আর থাপরাচ্ছে, সে ভাবছে আমি রুবির সাথে জোর জবরদস্তি করেছি তাই সে কান্না করতেছে, এক পর্যায়ে ছোট বোন বলল: তুই দারা আমু আম্মি কে ডেকে আনছি, তোর আজকে খবর আছে, শয়তান একটা পচা লোক কোথাকার😡
আমি বোনের মুখ চেপে ধরে বললাম কি হইছে আগে সেটা শোন পরে আম্মি আম্মি করিস।
বোন রেগে বলে: কি শুনবো হায়া কি শুনবো?
আমি শার্ট টা হাতে নিয়ে গায়ে দিতে দিতে বললাম তুই নিজেই ই জিজ্ঞেস কর!
বলেই আমি রুম থেকে বেএ হয়ে গেলাম - মনে মনে ভাবতে লাগছিলাম গেলাম একটু শান্তিতে ঘুমাইতে ঘুমতো হলোই না অথচ কি মহা কেলেংকারী তে পরে গেলাম রে ভাই! ছোট বোনরে এখন মুখ টা দেখানোর ও যায়গায় নাই ধ্যাত বা*! বলেই নুরুকে কল দিলাম বললাম বাড়ির রাস্তায় আয় আমি এখানে ই আছি, পিরপিরিয়ে দক্ষিনা বাতাস আসতেছে আর শিতল দোলা দিয়ে যাচ্ছে মনে মনে ভাবতে লাগলাম একদন্ড যদি এমন হতো সে কোন চিতকার না করতো না কান্না করতো আমার পাশেই আমার কোল বালিশ টা হয়ে পরে থাকতো তাহলে কত্তটা না ভালোই লাগতো। আমি তার গায়ে হাত দিতাম তারে কোলবালিশ ভেবে শক্ত করে ঝরাই ধরতা... ই ছি আমি কি ভাবতেছি বা*? এই বিপদ থেকে কেমনে বাচবো সেটার উপায় বের করতে হবে, বন্ধু নুরু আসলো সব খুলে বললাম! সে ও shocked এ আছে চোখের পাতা না নরাচ্ছে না চরাচ্ছে একদম স্থির করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,
ঝারি দিয়ে বললাম বা* কিছু তো বল?
নুরু বলল: দেখ আগে সম্পুর্ন ঘটনা না যেনে কিছু বলা যাবেনা - মেয়ে টাকে জিজ্ঞেস কর কেন এমন করছিলো বা কি হয়েছে তারপর জানা যাবে! আর দেখা যাবে কি করা দরকার?
আমি : উম বলে সম্মতি দিলাম, আর বললাম আমার বোনের কাছে কি বলে সেটা ই দেখার বিষয়!  চল রেডি হতে হবে বর পক্ষের বাড়ি যাবিনা?
নুরু বলল: চল রেডি হই

কিছুখন পরেই রাত হয়ে গেল কনে সবার কাছ থেকে কান্না কাটি করে বিদায় নিলো, আমরা জারা জারা এই বাড়ি থেকে কনের সাথে যাবো তারা গাড়িতে উঠে বসেছি, আমি নুরু, আমার ছোট বোন, আনটির মেয়েরা এবং আরো রিলেটিভস সবায় আমাদের বয়সের ই। তাই গারি যখন ছেরে দিলো বরের বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে তখন আমরা সবায় গান গাওয়া শুরু করলাম, সাথে সাথে মেয়েরা ও তাল দিচ্ছিলো! সব কিছু ই ঠিক যাচ্ছিলো তবে গর মিলটা হলো তখন যখন যাদের যাদের মোশন সিকনেস এর সমস্যা ছিলো তারা তাদের খেলা দেখানো শুরু করছে যখন।  মোশন সিকনেস এর মানে হইকো যারা ট্রাভেল করতে পারে না বাস বা গাড়িতে যাদের বমি আসে তাদে প্রবলেম টাকে বলে! তাদের ভিতর আমি ও একজন, তবে আমি লক্ষন বুঝে চুপ হয়ে গেছি পাশে নুরু ছিলো আর ঐ যে সাব্বির মামা ছিলো! আর আমাদের পিছোনে আমার বোন আর ঐ যে যেই মেয়েটাকে খাইয়ে দিয়েছিলাম ইয়াসমিন নাম সে ছিলো এবং আরো অন্যান্য রা ছিলো, কে আসছে না আসছে এতটা খেয়াল রাখিনি আমরা নিজেদের আনন্দ নিয়া আছি,  তো আমার যখন বমির লক্ষন শুরু হলো আমি টুপুত করে সাব্বির মামার গায়ে হেলান দিয়ে শুইয়ে চোখ বুজে ছিলাম আরামছে, কিছুটা শান্তি লাগছিলো, আর লেবু নিয়ে আসছি সেটার ঘ্রান নিচ্ছি একটু পর পর, কিছু সময় তো সবায় কন্ট্রোলে ই ছিলো তবে একটুপর ই সবায় ওয়াক ওয়াক শুরু করলি, ড্রাইভার লোকটা বলল কেউ গারিতে ছাইরেন না পলি দেয়া আছে পলিতে ছারে, তো এখন ৫-৬ জন মেয়ে ওয়াক ওয়াক শুরু করছে তাই গানের থেকে ওদের ওয়াক ওয়াক ই  বেশি শুনা যাচ্ছে, এটা শুনে আমি নিজে ও কন্ট্রোল করে রাখতে পারছিনা ড্রাইভার কে বললাম মামা আমাদের কে নামিয়ে দিননা আমরা রিক্সা দিয়ে যাবো উনি ও নামাই দিলো আমি আরাও ছয়জন মেয়ে নামলো সাথে ঐ যে ইয়াসমিন ছিলো, তবে আমার বোনের কোন অসুবিধা হয়নাই সে যেতে পারছে, আমরা কিছুখন দারিয়ে থেকে রিক্সা নিলাম দুইটা ৩জন ৩জন করে বসলো! তবে এইবার আর আমি কাউকে কোলে নিয়ে বসিনাই কারন সেদিনের ফিলিংস এর কথা আর বাঝে পরিস্থিতির কথা এখনো মনে আছে! তাই আমি ইয়াসমিনের কোলে বসার জন্য প্রস্তাব বললাম ম্যাম আমি কি আপনার কোলে বসতে পারি! সে অভাক হইয়া তাকাই ছিলো, আমি তার হা না বলার সুযোগ না দিয়ে সোজা কোলে উঠে পরলাম, শত হইলেও ছেলে মানুষ আমি একটু তো ভারি বটে! আমাকে কোলে নিয়ে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে, আমি বুঝতে পারছি তার কষ্ট হচ্ছে কিছুটা নরা চরা দিয়ে কোনরকম হালকা ভর দিলাম যাতে ব্যাথা নায় তার! এখন এমন চাবে বসতে যে আমার কষ্ট হচ্ছে - বিষয় টা সে বুঝতে পেরে প্লিজ ভালো ভাবে বসুন এমন করে বসলে অসুভিধা হবে আপনার,  আমি বললাম না না ঠিক আছি আমি! সে আমার কোমরে হাত দিয়ে জোরে তার দিকে টেনে বলল: আপনি বললেই হলো? আর আপনার বলাতে না বলাতে কি আসে যায়? আমি যেমন কোমফোর্ট ফিল করি তেমন ই তো হবে তাইনা? তার নিজের দিকে আমাকে টানতেছে বিষয় টা ফিল করে আমার শরীরের লোম দারাই যাচ্ছিলো মনে হলো কেউ হয়তো গায়ে ঠান্ডা পানি ঢেলে দিচ্ছে! শরির টা নিজ থেকেই ঝাকুনি দিয়ে উঠলো আমি তার হাত শক্ত করে ধরে বললাম কি করছেন ছারুন না, সে বলে ভালো করে বসুন, আমি আচ্ছা ঠিক আছে বলেই সব ভর ছেরে দিলাম তার গায়ে! সে আগের থেকে কিছুটা শক্ত হয়ে বসে আমার কোমরে হাত দিয়ে বসলো,  পরক্ষণেই সে আমার কানের কাছে ফিস ফিস করে বলতে লাগলো:' রেহান?
আমি কিছুটা চোমকে গিয়ে বললাম উম?

সে বলে দেখছো? আমি তোমার weight কত সহজেই নিতে পারছি।
আমি কৌতূহল হয়ে জিজ্ঞেস করলাম: তো?
সে একটু হেসেই বলে: তোমার আমাকে বিয়ে করা উচিত☺️
আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম তার কথায়, রিক্সায় শুধু আমরা তিন জন সে একা হলে হয়তো লজ্জা পেতাম না তবে তার পাশে আরেকটা মেয়ে আছে,  সে শুধু আমাদের কথা মন দিয়ে শুনছে আর হাসছে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার চোখ ছোট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়।  নার্ভাস ফিল করছি কিছুটা,  আমি খানিকটা জোর করে হেসে বললাম প্লিজ থামুন না কি করছেন? আমাকে লজ্জা দিয়ে মেরে ফেলার ইচ্ছা আছে নাকি? বলছি তো আমার ex আছে - সে আমার কোমরে চিমটি দিয়ে বলল তো কি হইছে বার বার এক কথা বলবেন না মাথা গরম হয়!
আমি চিমটি খেয়ে উফস করে উঠছি পাশের টা আমার দিকে চোখ বড় করে তাকাই ছিল দিনের বেলা হইলে প্রবলেম ছিলো আমি একটা মেয়ে কোলে বসে ছিলাম, তবে রাতে বেলায় কেউ দেখেনাই তাই সমস্যা ও তেমন হয়নাই, শুধু তার ফ্লার্টিং ছাড়া!  অতঃপর  আমরা বেশ কিছু সময় চুপ থেকে বরের বাড়ীতে পৌছে গেলাম , বর পক্ষ কিছুক্ষন আগেই পৌছেছে  আমরা ও পিছু পিছু চলে আসছি এসে দেখি কনে পক্ষ সব বাহিরে দারাই আছে বর সহ, বরের ভাই ব্রাদার রা রুম সাজিয়েছে  সেই টাকা তুলার জন্য গেট এ দার করাই রাখছে সবায়রে আমরা যেয়ে বাকিদের সাথে হায় হ্যালো শুরু করলাম আর ইয়াসমিন দের বাসা এটা তাই সে ফ্রিলি রুমের এই মাথা ঐ মাথা ঘুরা ঘুড়ী করতেছে, আমার  আন ইজি লাগছে কারন নতুন বাড়ি আসছি দু একজন ছাড়া বাকি সবায় ই অপরিচিত – ওনারে কিছুখনের ভিতরে ই তাদের দেনা পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে বর কনে কে রুম এ ঢুকিয়ে দিয়েছে, এতিমধ্যেই  ১২ টা বেজে গেছে, বর পক্ষের বাড়ীর লোকদের বারি অনেক বড় ৩ তালা  বিল্ডলিং  তাই রুম ও অনেক গুলা সুতারং ঘুমানোর জন্য  অসুভিধা হচ্ছেনা সাধারনত আমাদের মধ্যবিত্ব পরিবারে বিয়ের  কোন ফাংশন এ অতিধিদের কে ঘুমাইতে দেয়ার পর আমাদের ঘরের কোন চিপার চিপায় পইরা থেকে কোন রকম রাত কাটাই দিতে হয় । আর এদের বেলায় এটার উলটা ওনাদের এমন কোন প্রবলেম হয়না, ওনাদের তো কোন লোক অতিথি না থাকলে ওনাদের অনেক রুম ফাকা ই  পইরা থাকে, আমরা ভিতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়ং রুমে বসার পর ই ইয়াসমিন আসলো এসে বললঃ; স্যার এটা আমাদের বাসা আর আমি এই ঘরের ছোট মেয়ে ইয়াসমিন ! বলেই সে হেসে দিলো, তার মুখের এই কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে নুরু আর সাব্বির মামা তো অভাক, আর তার থেজে বেশি অভাক তো আমি কারন  যে ইয়াসমিন এস পরিচয় দিচ্ছে সে আর কেউনা  সে তো ঐ মেয়ে যার কোলে বসে আমি এ  বাসায় আসছি, আর সে এত বড় বাড়ির মেয়ে কে জানতো? এখন যেন তো আমার হুস চলে যাবার  পালা – কোন রকম নিজেকে সামলিয়ে বললাম কি? তাহুলে আগে বলেন নি কেন?
মেয়ে টা বলল আগে বললেই বা কি হতো? আমি বললাম আরে না যেনে কত কিছু বলছি আপনারে হয়তো বা বাজে ব্যাবহার ও করছি জানলো তো হুস রেখে কথা বলতাম এরকম তাল বেতালে কথা বলতাম তাইনা? সে বললাম আমার জানা মতে তুমি তো আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার তো করনাই , আর হ্যা তুমি তো আমারে হেল্প করছিলা খাইয়ে দিছিলে, জানলে কি সেটা দিতেনা হ্যা?
আমি অজান্তেই মুখ থেকে হ্যা বলে ফেলছি  পরক্ষনেই না বলছি সে ইতসতস্থ হইয়ে  বলল মানে ? আমি বললাম না ম্যাম অন্য কেউ হলেও এক ই বিহেভ করতাম, তবে আপনি আমাদের বেইয়াইন লাগেন তার উপর এত বড় বাড়ির মেয়ে জানলে হয়তো স্পেশিয়াল ট্রিট করতাম,
ইয়াসমিন বলবঃ কে কি করতা গারিতে যেটা বলছি সেটা? বলেই মুসকি হেসে চলে গেল, আর সাব্বির মামা বলল কি বলছে মামা তোমারে গারিতে? আমি মুখ তোতালায়ে বললাম কই কিছু না তো মা- মামা, হুদাই দুষ্টামি করতেছে সে, বেয়াইন লাগে তো তাই , মামায় তো চুপ করে আছে কোনরকম তবে নুরু থামতেছে না. সে শধু বলছে কিরে কি শুরু করলি আবার এই মেয়ের সাথে হ্যা?  কয়টা মেয়ের সাথে লাইন মারস তুই- আমার তো এখন তোর ক্যারেক্টার নিয়ে সন্ধেহ হচ্ছে?  আমি ওর দিকে অসহায়ের মতো তাকিয়ে বললাম? কি কস ভাই? আমি আবার কি করলাম ? কি করলি মানে কি ভাই? তুই রুবির সাথে ঐ দিন ছাদে যা করছোস তার পর ও আরো কিছু করার বাকি আছে নাকি? আবার আজকে এই মেইয়ের সাথে. আমি কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বললাম আরে ভাই তোর মাথা খারাপ ঐ দিন কি হইছে সেটা তো জানোস ই আর আজকে তেমন কিছুনা শুধু ফ্লার্ট করতেছে আর কি , নুরু খানিকটা ইয়ারকির স্বরে বলল জানি জানি সব ই জানি. তোর এক্স রে আমি দেখিস সব ই জানাবো, আমি দুরু ভাই জানাইস তো!
বলেই যে দরজার দিকে তাকাইছি তখন ই দেখি আমার ছোট বোন দারাই আমাকে ডাকছে, ওর ডাকার ব্যাপারটা আমার ও খানিক্টা কৌতুহলি লাগছে কারন বিকেলে রুবির সাথে সে আমায় খারাপ অবস্থায় দেখে ফেলছে সে ব্যাপারে এখন ও তো কথা বলা বাকি! তো স্বাভাবিক ভাবেই আমি আড়ালে চলে গেলাম বোনের সাথে তারে জিজ্ঞেস করলাম কিরে কি হইছে? রুবি কিছু বলছে? বোন বলল হ্যা, আমি কিউরিয়াস হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে? বোন বলল সেটা তুই ই জিজ্ঞেস কর গিয়ে. আমি অভাক হয়ে বললাম কিভাবে? বোন বলল ছাদে দারাই আছে, মন খারাপ করে আমি তাই তোকে ডাকতে আসছি, আমি বললাম কেন? আমাকে কেন ? বোন বলল তোর জন্যই মন খারাপ তার তাই তুই ভালো করবিনা করবে কে আমি? আজব? বলেই বোণ চলে গেলো অন্য মেয়েদের কাছে, আমি কিছুটা সাহন সঞ্চয় করে কাউকে কিছু না জান ইয়ে সোজা উপরে চলে গেলাম ছাদে, যে খুজতে লাগলাম – অনেক বড় ছাদ তো তাই খুজে পেতে একটূ সময় লাগছে এই মাথা থেকে সেই মাথায় তাকাতেই দেখি সে ছাদের খুটি হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে চোখে কিছু টা জ্বল, আমি কাছে যেয়ে উমহু উমহু দিয়ে কাশি দিয়ে বললাম ম্যাম? মনে হচ্ছে আপনার  বোন কে না আপনাকে বিয়ে দিয়েছে, আপনি সেই শোকে কাদছেন. কিছুটা হাসার ভান করে বললাম। তারপর বললাম আমাকে সত্যি করে বলেন তো জামাইটাকে কি আপনার পছন্দ ছিলোনা তো?
আপনার বড় বোন বিয়ে করছে তাই আপনি সেই শোকে কান্না করছেন? সে কিছুটা রাগ হয়ে বললঃ আপনি এখান থেকে যাবেন প্লিজ? আমি অভাক চোখে বললাম কেন? সে বললঃ  যান প্লিজ  , আমি মুখে হাসি নিয়ে বললাম আমাকে জান বলে ডাকলেন?
সে হাসি আটকিয়ে না রাখতে পেরে হেসে দিয়ে বলল জান বলিনি যেতে বলছি!
আমি তার মুখের হাসি দেখে কিছুটা সাহস পেয়েছি বললাম বাহ সুন্দর তো?
সে বললঃ কি?
আমি বললাম আপনার হাসিটা!
সে বললঃ আর আমি? আমি এবার কাছ থেকে তাকে দেহা শুরু করলাম রাতের অন্ধকারে তার সাদা দুধের মত ধবধবে ফেস্টা স্পষ্ট  দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে তার হাত গুলো তার শরিরে ঝরিয়ে আছে আকাশি রঙের কামিজ আর সেলোয়ার হিললেস সুজ  আর তার কিছুটা উচু বুক – বাকিদের মত আমার নজর সেখানেও আটকাইতে চাইলে আমি অনেক চেষ্টা করেছি সরানোর সে কিছু টা বুঝতে পেরে নার্ভাস ফিল করছিলো!  তবে তাকে আজকের এই অন্ধকার রাতে এই সাজে দারুন লাগছিলো ঠিক যেন দেবি বা পরি, আমি তাকে ভালো ভাবে দেখে নিচের দিকে তাকিয়ে ই  বললাম আপনাকে ভয়ংকর রকমের সুন্দর লাগছে! এই অন্ধকার রাতে ! বিশ্বাস করেন আজকে যদি চাঁদ উঠতো তাহলে চাদটা আপনার সৌন্দর্য দিগুন  করে দিত! আর আমি চাঁদ কে দেখা বাদ দিয়ে আপনাকে ই দেখতাম !
তো দেখছেন না কেন? সে কিছু টা লজ্জা  আর ভয় নিয়েই বলল  নিচের দিকে তাকিয়ে! আমি ও এতক্ষনে যেন কোন ঘোরের মধ্যে ছিলাম তার এই কথা শুনে মনে হলো কে জেন পানি দিয়েছে চোখে আমার হুস ফেরাবার জন্য , আমি তাকে কিছু না বলে উলটো জিজ্ঞেস করলাম চোখের কোনায় পানি কেন ?
সে কিছুটা অভিমানের স্বরে বলল আপনার জন্য !
আমি বললামঃ বিকেলে এই ভাবে হাউমাউ করে কান্না কেন করছেন?
সে বললঃ আপনার জন্য!
আমি কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বললাম কি করছি আমি যে কান্না করতে হবে ? আমি তো বিকেলে আপনাকে স্পর্শ ও করিনি, আপনি যে ঐ খানে ছিলেন আমি দেখিও নি । আর তার জন্য  সরি তো বলছি তাইনা? তো কান্না করার আমি কোন কারন দেখছিনা!
সে সব ছেরে ফেরে দুই হাত দিয়ে আমার শার্টের কলার ধরে তার মুখের দিকে আমার টান দিয়ে বললঃ কিচ্ছু করেন ই নি যখন তখন দুপুরে ইয়াসমিন কে খাইয়ে দিছিলেন কেন হ্যা ?
আমি তার এ ব্যাবহার থেকে কিছুটা ভয় পেয়ে আর লজ্জা নিয়ে বলতে লাগলামঃ আরে কি করছেন ছারেন কেউ দেখে ফেলবে তো,
সে বললঃ দেখুক তাতে আমার কি?
আমি বললাম বদনাম হয়ে জাবে!
সে বললঃ হোকনা আগে বলেন খাইয়ে কেন দিলেন?
আমি বললাম তার হাতে সমস্যা ছিল তাই খাইয়ে দিছি ভাই! আর তাছারা আপনি কিভাবে জানেন?
সে বললঃ তখন ই দেখছি!
আমিঃ তো কি হইছে? আপনার কি শুনি? আপনি কি আমার বউ?
সে মুখ ঘোমরা করে বলে না!
আমি আবার বললামঃ আমার জি এফ?
সে এই বার বলেঃ আমি কে ? আপনি আমাকে চিনতে পারেন নাই?
আমি বললামঃ কেন চিনবো না তুমি রুবি, শিলা আনটির বোনের মেয়ে! ( শিলা হলো যার মেয়ের বিয়ে সে, যাদের বাসায় আমরা আসছি)
সে বললঃ এতটুকু ই?
আমিঃ  হ্যা আর কিঃ
সে আমার শার্টের কলার ছেরে দূরে যেয়ে বললঃ ইনভিষন ক্যাডেট স্কুল এর কথা মনে আছে?
আমিঃ ওমা থাকবেনা কেন? আমি তো সেখান থেকেই ১০ পাস করে বের হয়েছি!
সে বলেঃ ক্লাস ৬ এর কোন মেয়ের কথা মনে আছে?
আমি চুপ করে ভাববে লাগলাম ক্লাস ৬ এর মেয়ে?
সে বলল বাহ ভুলে গেলেন? যারে দেখার জন্য দারিয়ে থাকতেন? সাইকেল ঠিক থাকা সত্তেও সাইকেলের চেইন ফেলে পিছে পিছে হেটে যেতেন, যারে দেখার জন্য স্কুল শেষে  বাড়ি না যেয়ে, মাঠে দারিয়ে থেকে একা একা বক বক করতেন পাগলের মত- কখন তার ছুটে হবে আর আপনি তার পিছন পিছন যেয়ে তাকে গারিতে তুলে দিতেন! কোন কোন দিন তো  নিজের টিফিনের টাকা দিয়ে তার গাড়ি ভারা দিয়ে দিতেন! মনে ই নাই? ঐ দিন যে বৃষ্টি তে ভিজে যাকে চিঠি দিয়েছিলেন মনে আছে? যার বড় ভাই আপনারে থাপ্পর মারছিলো!
আমি তার কথাগুলো শুনে বাংলা ছবির মতো কিছুটা ফ্ল্যাশ ব্যাক এ চলে গেছিলাম, মেয়েটা দেখতে পিচ্ছি হলে কি হইছে দেখতে সে দারুন মিষ্টী ছিলো, আমি একদিন স্ক্লের পানির কলে পা ধুইতে গেছিলাম তখন তার সাথে আমার প্রথুম দেখা, পায়ে বর্ষা    কালের কাদা লেগেছিল তাই ধুইতে গেছিলাম, তখন আমি  যে কল চেপে পা ধুবো এত সহজ ছিলোনা একজন লাগত যে একজন কল চাপ দিবে আর আমি পা ধুবো, তখন নুরু লেট করে স্কুল এ আসছে, তাই আমি একা ই কলের কাছে যেয়ে তাদের হাত পা ধোয়া দেখতে লাগলাম- হুট করে কল চাপে সেই মেয়েটার দিকে নজর গেল আমার একদম পিচ্ছি লাগছে তাকতে তবে দেখতে মাশাল্লাহ ছিলো. আমি যদিও ও তখন প্রেম প্রিতি তেমন বুজতাম না তবে তাকে প্রথম দেখা তেই আমার ভাল লেগেছিলো, তারা সরে যাওয়ার পর আমি একা একা পা ধোয়ার ট্রাই করলাম কাজ হচ্ছেনা, তখন একজন পাশে দারিয়ে বলল – আমি চেপে দিচ্ছি আপনি ধূইয়েনিন ! পাশে তাকিয়ে দিকে আর কেউ না সেই পিচ্ছি মেয়েটা . এর পর থেকে ই আমি তার পিছু নিতে শুরু করি কুচিং এ প্রাইভেটে ক্লাস এর বাহিরে  আমিশুধু তার আসে পাসে ই হাটতাম আর তাকে অভাক চোকে তাকিয়ে দেখতাম, তবে একদিন নুরু হুট করে বিষয় টা বুঝতে পেরে আমাকে পরামর্শ দিলো চিঠী দেয়ার, আমি ও অবুজের মতো তার কথা মেনে নিলাম আর এক বৃষ্টীর দিনে চিঠী দিতে তার সামনে গেলাম চিঠী টা তার হাতে দিতেই তার ভাইয়া সাইকেল দিয়ে এসেই আমার সামনে দার করিয়ে চিঠী নিয়ে বৃষ্টীর পানিতে ফেলে দিয়ে আমাকে এক থাপ্পর, থাপ্পর টা অনেক জোরেই লেগেছিলো আর থেক বেশি অপমান আর ভয় মনে বাসা বেধে ছিলো, তাই এর পর আর সেই মেয়ের সামনে যাইনি! ব্যাপার টা মাথায় আসতেই ! সব মনে পরে গেল আমি কিছুটা হেসে দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে কিছুটা একটা বলতে যেয়েই অয়েট চোখের চোখ নাকের নাক! আর সেই হাসিটা কথা বলার ধরন টা তার মানে ! তুমি ই সেই মেয়ে?
মেয়ে টা হাসি মাখা মুখে কিছু টা লজ্জা নিয়ে বলে উঠলো হুম!

পর্ব ৪ 

মেয়ে টা হাসি মাখা মুখে কিছু টা লজ্জা নিয়ে বলে উঠলো হুম!
আমি যখন তার ঐ মিষ্টি মাখা মুখে তার হুম শুনলাম – আমার হৃদয়ে মনে হল এত দিন জমে থাকা  বাধা নদির ঢেউয়ের মত হঠাত হালকা বাতাসের অযুহাতে যেভাবে ঢেউটা ছুইটা চলে , ঠিক সেই ভাবে আমার মনের ভিতর ছুইটা যাইতে শুরু করলো।  আমার এক মুহুর্তে মনে হইলো আমি তারে ঝরাইয়া ধরি, খুব শক্ত কইরা ঝরাইয়া ধরি, এত দিনের বুকের খালি যেই যায়াগাটা ছিলো সেটা তারে ঝরাইয়া ধইরা পুরন করি, আমি অনার্স এ পরি এত দিনে যে আমি এক্কেবারে সিঙ্গেল ছিলাম ব্যারটা তানা! এত দিনে আমি প্রেম করেছি অনেক লোকের সাথে ড্যাট রিলেশন করেছি একাদিক বার, এর মানে এই না যে আমি প্লে বয়! কিছু লোকদের আমি ছেরেছি তাদের হিসেবের সাথে আমার হিসেব মিলেনি, আবার আমার হিসেবের সাথে কারোর হিসেব মিলেনি,  তাই কাউকে আমি ছেরেছি কেউ আমাকে! তবে লাস্ট কয়েকটা রিলেশনে  প্রচন্ডভাবে ভেজ্ঞে পরেছি তাই এসব সস্থা ভালোবাসায় এখন আর মনোযোগ নাই, মেয়েদের থেকে দূরে থাকার এখন শুধু এই একটাই কারন,
এর কারনেই  আমি এত দিন বিয়ে বারিতে এত মেয়ে থাকতে কাউকে আমি পটানো ট্রাই করিনি, যদিও কেউ আমাকে পতাতে চেয়েছে তাকেও পাত্তা দেইনি, তাই আমি আমি এতদিন রুবির থেকে দূরে দূরে ছিলাম,আ র আজ যখন আমি জানতে পারলাম সে ই আমার সেই ছোট বেলার ক্রাশ তাই আমি আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি ইচ্ছে করছিলো যরাই ধরি তবে সে কি ভাববে সেই ভয়ে আমি ঝরাই ধরিনি শুধু কোন রকম নিজেকে সামলে রেখে চুপ করে তার দিকেই  তাকাই ছিলাম আর সে কিছু টা লজ্জা নিয়ে নিচে তাকিয়ে ছিলো! আমি কিছুটা সাহস নিয়ে তাকে বললাম তারপর?

সে বললঃ   আমি তোমাকে আপনি করে বলতে চাইনা, তোমাকে আমি তুমি করে বলার অধিকার চাই!
আমি বললামঃ বুঝলাম তারপর?
সে বললঃ  ভালোবাসি তোমায়!   
আমি কিউরিয়াস হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কবে থেকে শুনি?
সে বললঃ কবে থেকে তুমি জানোনা? হায় আল্লাহ? মনে আছে তোমার ৪ বছর আগে তুমি পা ধোয়ার  জন্য কলের কাছে আসছিলা?
আমিঃ হুম
মেয়েঃ তখন আমি তোমাকে প্রথম দেখি , লাভ এট ফাস্ট সাইড  কি  তখন সেটা তো বুঝতাম না শুধু তোমারে দেখার পর মনে হইলো, তোমার সাথে কথা বলতে পারলে হয়তো একটূ ভালো লাগতো তাই তোমার সাথে কথা বলার জন্য সেখানে দারিয়ে ছিলাম আর দেখলাম তুমি পা ধুইতে পারতেছিলে না তাই আমি তোমাকে সাহায্য করার নামে একটু কথা বলার সুযোগ নিলাম, তুমি যখন আমার ক্লাসের সামনে দারিয়ে থাকতে আমাকে দেখার জন্য আমি তখন লুকিয়ে লুকিয়ে তোমাকে দেখতাম,  স্কুল থেকে বাসায় যাওয়ার সময় গারি দিয়ে না যেয়ে হেটে যেতাম শুধু তোমার সাথে  হাটবো বলে, সারাদিন সব সময় তোমার আসে পাশে ই থাকতাম তোমাকে এক নজর দেখবো বলে, তোমার সাথে রিলেশন করার জন্য, বা তোমার হাত ধরে হাটার জন্য তখন না আমার সাহস ছিলো না বয়স, আর তাছারা সেই স্কুলে আমার বড় আপু ও পরতো তোমার ই সাথে দেখনি তুমি? তাই যদি সে টের পেয়ে যায় একরনে ও তোমারে অনেক সময় না চাইতেই ইগনোর করতে হতো! ঐ দিন যখন তুমি চিঠি দিতে চাইলে বৃষ্টির দিনে আমি তখন নিতে যাবো তখন ই ভাইয়া কে দেখেছি তাই চাচ্ছিলাম যে ভাইয়া চলে গেলে তোমার সাথে শান্তিতে কথা বলার সুযোগ পাবো আর তোমার চিঠি নিবো তবে এর আগেই তুমি চিঠি আমার হাতে দিতে চাইলে আর ভাইয়া তোমাকে দেখতে পেয়ে যায় আর তোমাকে  থাপ্পর মেরে বসে – আমি ভয়ে তখন চুপ করে ছিলাম, না তোমাকে  কিছু বলতে পেরেছি না ভাইয়া কে!  সেদিন রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি এক মুহুর্ত ও। ভেবেছি পরের দিন তোমার সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিবো তবে এর পর থেকে তোমাকে আর পাইনি, স্কুলের বাহিরে তোমার ক্লাসে তোমার স্কুলের রাস্তায় এবং তোমার সাথের ক্লাস মেটদের ও আমার বান্ধুবিদের দিয়ে জজ্ঞেস করিয়েছিলাম, তারা বলত এখনো আসেনি আবার বলতো মাত্র বের হয়ে গেছে, এর কিছুদিন পর ই তো তোমার পরিক্ষা শুরু হলো ভাবছি পরিক্ষার জন্য ব্যাস্ত খুব তাই পরিক্ষার পরে কথা বলবো তবে তুমি পরিক্ষার পর কোথায় চলে গেছো কে জানে?
আমি কিছুটা হেসে ই বললামঃ এর পর থেকে আমি ক্লাস এ দেরি করে আসতাম আর তারা তারি চলে যেতাম, আর  পরিক্ষার পরে তো আমি ঢকায় চলে গেছি, ভেবেছি তুমি হয়তো ছোট তাই এসব ভালোলাগা ভালবাসা বাসি বুঝোনা তাই তোমার থেকে দূরে সরে গেছি!
সে বলল হ্যা সেটাই তো আমাকে ছোট ভেবে যেয়ে অন্য মেয়েদের সাথে লাইন মেরেছো তাইনা?
আমি খানিক টা হেসে বললাম চুপ করো,
সে বলল চুপ কেন করবো হ্যা? তুমি জানো তোমাকে দেখার জন্য কতটা পাগল ছিলাম আমি এক নজর দেখার জন্য  কি করছি?  এঞ্জেল আর দিয়ে যে আই ডিটা তোমার ফেসবুক ফটো আর পোষ্ট এ লাইক কমেন্ট করতো সেটা আমার বুঝছো?
আমি অভাক হইয়া হা কইরা তাকাইইয়া থাইকা বললাম কি?
সে বললঃ হ্যা
আমি বললামঃ বলো কি?  ( বলে রাখছি যে আমার ফেসবুকে প্রথম থেকে শুরু হতে সব পোষ্ট এ একটা মেয়ে লাইক আর কমেন্ট  করতো , এমন কমেন্ট করতো আমি রিতিমতো শকড হইয়ে থাকতাম,  মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছা হতো কে এই লোক যে সে এমন কমেন্ট করে আমি মাঝে মাঝে তার কমেন্টের মায়ায় পরে যেতাম, কোন কোন দিন তো আমি শুধু তার কমেন্ট  পাবার জন্য ই ফটো পোষ্ট করতাম  ) এত দিন ধরে যে তুমি আমাকে ফলো করছো তাহলে পরিচয় দাওনি কেন?
মেয়েঃ কেন দিবো? আমি তোমার ছোট্ট বেলার ক্রাশ তাহলে তুমিই আমাকে চিনে নিতে কেন পারোনি?
আমিঃ ওয়াহ ম্যাম প্রফাইলে কি তোমার ফটো ছিলো নাকি যে চিনবো? আর তাছা রা আমি তোমাকে চিনবো কিভাবে ? তখন তুমি  ছিলে একটূ মোটা আর মিষ্টী কুমরার মত গোল ছিলা আর এখন টমেটোর মত হইয়া গেছো, কই মিষ্টী কুমরা আর  কই টমেটো!
মেয়েঃ কি? আমি মিষ্টি কুমড়া? হ্যা ?
আমিঃ  হ্যা ! ( কিছুটা হেসে )
মেয়েঃ সেই মিষ্টী কুমরাকেই তো চিঠী দিতে ( একটূ মুখ বাকিয়ে ঢং করে সে যেভাবে বলেছিল তার ফেস দেখে আমি তার মায়ায় পরে গেছি)
আমিঃ হ্যা- কারন তখন আমার মিষ্টি কুমড়া ভাললাগতো!
তখন ই  সে আমাকে আমার শার্টের কলার ধরে তার বুকের কাছে টেনে নিয়ে বলল
মেয়েঃ আর এখন?
আমি তার ঠোটের দিকে তাকিয়ে আমার ঠোট তার ঠোট থেকে শুধু এক সুতা দূরে রেখে তার ঠোটের সাথে আমার ঠোট বাজাতে যেয়ে ও না বাঝিয়ে বললাম।
আমিঃ  এখন আমার টোমেটো ভাল্লাগে!
সে আমাকে জোর করে শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে তার ঠোটের সাথে আমার ঠোট লাগিয়ে দিলো!  সে যকন আমার ঠোটের সাথে তার ঠোট লাগিয়ে কিস করতে ছিলো তখন মনে হলো আমার শরিরের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ হচ্ছিল, কি যেন এক অনুভুতিতে আমার বুকের ভেতর টা হালকা কেপে উঠলো, আর সে ছোট্ট করে একটা কিস দিয়ে ছেরে দিলো! লজ্জায় তার আপেলের মতো গাল দুটো লাল হয়ে গেল, সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে নিচে নামার জন্য দৌর দিল, আমি ও  কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা ভেবেই হাসছি কিছুটা নিজের মনের অজান্তে , সে নিচে দৌড়িয়ে নামছে আমি ও তার পিছনে দৌড় দিচ্ছি সে এক দৌরে তার রুমে ডূকে গেছে আমি ও দৌড় দিয়ে যেয়ে দর্জায় একটা ধাক্কা দিলাম আর সাথে সাথে ই দরজা টা খুলে গেলো ! আমি সোজা গিয়ে রুবির উপরে পরে গেলাম তার গায়ের পরার সাথে সাথে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো – আমি সরে ই পাশের দিকে তাকাতেই দেখি আমার বোন পাশে দারিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখ দুইটা বড় বড় করে মনে হয় কাচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে, আমি ওর দিকে তাকিয়ে ওর চোখের নজর এরাতে আমি যখন এদিক সেদিক তাকালাম, তখন ই হঠাত করে আয়নার দিকে তাকাতেই আআ করে চিৎকার করে উঠলাম, আমার বোন রেগে বেগে আমার দিকে আরো কঠর ভাবে তাকিয়ে আছে, আর রুবি চুপ করে লজ্জায় হেসেই মুখ লুকিয়ে রাখছে ওরনার কোনা দিয়ে, আর আমি চুপ করে ঠোট মুছতে মুছতে বের হয়ে গেলাম সে কিছু বলার আগেই,  অতঃপর আমাদের রুম ই চলে গেলাম।  রুমে আসতে আসতে ই  বেড এ শুয়ে পরলাম,   পর দিন সকালে মুখের উপর ঠান্ডা পানির ছিটায় ঘুম ভাজ্ঞল তরি গরি করে চোখ খুলে দেখলাম ইয়াসমিন! দারিয়ে হাসছে পাশে – আমি উঠে বসে বললামঃ কি করলেন টা ঘুমাচ্ছিলাম আর এভাবে চোখে পানি দিলেন ব্যাপার টা মোটেও ভাল হয়নি বুঝলেন? সে বলল কেন স্বপ্ন ভেজ্ঞে দিলাম নাকি? স্বপ্নে আমাকে দেখছিলেন ? বুঝি?
আমি বললাম হুস চুপ করেন ?
সে আবার জিজ্ঞেস করলো সত্যি ই আমাকে দেখসছেন?
এবার আমি রে গে বললাম হ্যা দেখেছি কি দেখেছি শুনবেন? শুনলে মুখের কাছে আসেন
সে বললঃ হ্যা বলেন বলেন?
আমি বললামঃ আমি আপনাকে দেখেছি স্বপ্নে তবে কি দেখেছি সেটা শুনতে হলে যে কানে কানে শুনতে হবে, সে ও ৭/৫ না ভেবে চলে আসল !  আমি ও বলে দিলামঃ স্বপ্নে আপনাকে দেখেছি খালি গায়ে! 
সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে যা শয়তান বলে হাসতে হাসতে চলে গেল!
আমি ও বিছানা থেকে নেমে ওয়াশ রুমে ঢুকলাম, ব্রাশ করলাম ফ্রেশ হয়ে বের হুলাম, আমাদের নাস্তা দিলো, তো যবে ই খেতে নিলাম ইয়াসমিন এসে বলল আমি কিন্তু এখনো খাইনি!
আমি বললাম খাননি তো কি হইছে আসেন আমাদের সাথে খান, সে বলল আমার হাতে ব্যাথা যদি খাইয়ে দেন তাহলে খাবো! আমি বললাম চুপ থাকেন- এই টা আপনার বাড়ি অনেক লোক আছে খাইয়ে দেয়ার আপনাকে তাদের কাছে যেয়ে খান!
সে বললঃ খাওয়াইতে তো অনেক ই পারে তবে আপনার মত এমন কইরা কেউ খাওয়ায় না আর এত টা ভালো ও লাগেনা!
আমি তার এই ঢঙ্গের কথা শুনে বললামঃ ওলে বাবা লে তাই বুঝি ? আসেন আসেন খাইয়ে দেই!
সে এগিয়ে আসলো আর আমি তাকে চামিচে করে নুডুলস খাইয়ে দিলাম! সে দুই থেকে ৩ চামিচ খেইয়ে ই বলে আমি আর খাবোনা পেট ভরে গেছে এখন আপনি খান!
আমি বললামঃ এত টূকোতেই পেট ভরে গেছে তা এটা পেট নাকি আন্ডার প্যান্ট এর পকেট ? শুনি
সে কিছু টা লজ্জা পেয়ে বললঃ ছাইডে আসেন দেখাচ্ছি পেট নাকি পকেট?
আমি লজ্জা পেয়ে বললামঃ হুস হুস যান তো দেখতে হবেনা- বেইয়াইন ।
সে বললঃ আহা না দেখে যাবেন কোথায়? দেখা তো  লাগবেই ।
আমি আর কথা না বারিয়ে চুপ করে খেয়ে নিলাম! এবার বের হব গুরতে আমার ঘুরতে ভাললাগে বিশেষ করে নদিরে পারে, আমাদের এখান থেকে নদি অনেক কাছে তাই বেশির ভাগ সময় বেশির ভাগ মানুষ নদির পারেই বেশি যায়, তো সাব্বির মামার বাইক নিয়ে আসছে, বড়ের বা ইক আছে বরের ভাইয়ের আছে আরো তাদের বন্ধুদের আছে, আমি বাইক চালানোর জন্য সাব্বির মামার টা  নিলাম সাব্বির মামায় আমার পিছনেই যে বসতে জাবে তখন ই পিছন থেকে বলে উঠল মামা তুমি বইসোনা – তুমি অন্য টায় বসো আমি রেহান স্যারের সাথে যাবো ঘুরতে আপুরা ও আসতেছে , আমি তো পিছন ফিরে অভাগ, রুবি কথা বলতেছে- আহ এদের জন্য কি কোথায় ও ঘুরতে যেতে পারবোনা পিছেই লেগে আছে আঠার মতো, মামা বলল তাহলে আমি কিভাবে যাবো, সে ব অলে তুমি জুবায়েদ ভাইয়ার টা নাও, ( জুবায়েদ হলো বর) তো মামা জুবায়েদ ভাইয়ার কাছে গেল চাবি আনতে, কিছু মেয়েদের নেইয়ার জন্য গারি আসছে, শুধু রুবি ই বাইক দিয়ে যাওয়ার বায়না ধরছে, ওরা মর্ডান ফ্যামিলির লোক এভাবে গেলে কিছু বলবেনা, তবে আমি গেলে ওদের সাথে লোকে আমারে কথা শুনাইবে বিশেষ করে আম্মি আর বোন,  তাও গেলাম বাইক এ বসে সবায় যার যার মতো বাইক চালু করে চলে গেছে, আমি বসে আছি রুবি গোলাপি রংগের সেলোয়ার কামিজ পরে চুল গুলো ছেরে ঠোটে হালকা গোলাপি লিপ্সটিক দিয়ে আমার দিকে আসতেছে , আমি তার দিকে অপলোক চোখে তাকাই আছি – এমনিতেই ফর্সা মেয়ে, তার উপর গোলাপি পোশাক আবার হালকা গোলাপি লিপ্সটিক ঠোটে যেন গোটা একটা অঞ্চলের  ছেলেদের মাথা নষ্ট করার জন্য সে একা ই যথেষ্ট, আমি তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি – সে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো কি হইছে?  আমি মাথা নারিয়ে তাকে কিছু হয়নি সম্মতি দিয়ে বাইক চালু করলাম, সে দু পা দু দিকে দিয়ে বসে পরলো। আমি চালু দিয়ে চালোনো শুরু করালাম, বাড়ি থেকে কিছু দূর  যে তেই সে আমার ক্লোজ হতে শুরু করলো, আমি কিছুটা চোমকে যেয়ে বললাম কি করছো তুমি, সে বলল যদি পরে যাই তাই যেন না পরি সেই  ব্যাবস্থা করছি, আমি লজ্জা নিয়ে বললাম দূরে যাও লোকে দেখলে খারাপ ভাববে, সে বলল ভাবুক তাতে আমার কি? আমি বললামঃ তুমি বেশর্মা দের মতো কথা বললছো কেন? তোমার লোক লজ্জার ভয় নাই?
সে বলেঃ না – তবে…
আমি বললামঃ তবে কি ?
সে বলে আমার ভয় আছে অনেক ভয়- আর সেটা হলো তোমাকে হারানোর ভয়, তোমাকে না পাওয়ার ভয়! ( বলে ই সে আমাকে পিছন থেকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরছিল – আমি আমার পিঠে তার বু-পৃষ্ঠের সব কিছু ই অনুভব করতে পাছি , তার বুপৃষ্ঠ আমার উপর এমন ভাবে ঝাপ্টে ধরে আছে যেমন কইরা জাপ্টে ধরে থাকে মাটির উপরে এই শহরের বড় বড় দালান কোঠা গুলো, আমি নার্ভাস ফিল করে তাকে বললাম রুবি এমন টা কইরো না। এটা রাস্তা লোকে খারাপ ভাব্বে প্লিজ, সে রাগ হয়ে আমাকে ছেরে দিয়ে বলল গারি ঘুরাও,
আমি বললাম ঃকেন?
সে বললঃ ঘুরাতে বলছি ঘুরাও, আমি তোমার সাথে যাবোনা!
আমি বলছি আজকে রাতে কোন প্লান আছে?
সে বললঃ না
আমিঃ  তাহলে রাতে দেখা কইরো তখন ইচ্ছা মতো ঝরাই ধইরো কেমন ?
সে বাচ্চাদের মতো খানিক্টা হেসেই বলেঃ সত্যি?
আমিঃ হ্যা ,
সেঃ প্রমিস?
আমি হ্যা প্রমিস।
এর পরেই সে আমাকে ছেরে দিয়ে ভালো ভাবে বসলো,
সবায় তো নদির পারে চলে গেলো, তবে হুট করে ই আমার শরির খারাপ করলো- কাল থেকেই গা গরম ছিলো, তবে এখন মনে হয় জ্বর আসছে, আমি গাড়িটা সাইডে দার করিয়ে ব্যাপার টা বুঝতে চাইলাম কি হইছে? তবে রুবি আমার অবস্থা দেখে কপালে হাত ঠেকিয়ে দেখলো জ্বর আসছে, তো আমি আর নদির পারে না যেয়ে ফারমিসিতে গেলাম, যেয়ে জ্বর ঠান্ডার ঔষধ নিলাম, নিয়ে বাইক চালিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলাম, বাসায় এসে রুমে ঢুকলাম, রুবি ও আমার সাথে সাথে ঢুকলো। রুবি বললঃ তোমার সাথে জীবনের প্রথম একটূ ঘুরতে বের হলাম তাও তোমার জ্বর চলে আসলো! ধ্যাত বা*। সে আমার ঔষধ গুলো হাতে নিয়ে খুলে বলে এই নাও এগুলো মুখে দাও আমি পানি দিচ্ছি সে আমাকে পানি খাইয়ে দিচ্ছে এমন সময় আমার বোন এস হাজির, ঐ সব সময় ভুল, বাল টাইমেই আসে বা*। মনে মনে বলতে লাগ্ললাম, তবে আমার বোন আমাকে এই অবস্থায় দেখে রেগে আছে- বলে এত দেখছি আপুর বিয়ে খেতে আসেনি তোদের উলটা পালটা কাজ দেখতে আসছি, রুবির দিকে তাকিয়ে বলে আপু তোমার আপুর বিয়ে না হয়ে বিয়েটা তোমার হওয়ার দরকার ছিল।
রুবিঃ বলে দেখো আপু, তুমি যা ভাবছো তানা – রেহানের জ্বর আসছে তাই মেডিসিন খাইয়ে দিচ্ছিলাম!
বোনঃ আমি যা ভাবছি তানা তো কি? কালকে রাতে রুমের ভিতর কি অবস্থাতে ছিলে মনে নেই, আবার ঠোটে লিপস্টিক কিভাবে লাগছে ?  বুঝছো আমি  জানিনা? আমি কি এতটাই বোকা ? হ্যা? তোমাদের যদি এতই পিরিত করতে ইচ্ছে করে তো বল? আমি আম্মিরে বলে সারাজীবনের জন্য ব্যাবস্থা করে দিচ্ছি! রুবি কিছুটা লজ্জা নিয়ে বলে ঠিক আছে আপু,বলেই হেসে দিছে, আর আমি বলে উঠেছি না! দুজনের দুই জবাবে কনফিউস হয়ে বোণ বলেঃ আগে কি চাও সেটা তো ঠিক করো পরে না হয় রোমাঞ্চ কইরো। বলে রাগ হয়ে চলে গেছে। তার পিছে পিছে রুবি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ বাকিয়ে চলে গেছে।
রুবির মুখ বাকানোর কারন  না বুকঝ তে পেরে বিছানায় বসে পরেছি,


রাত প্রায় ৩ টা ছুই ছুই বিয়ে বাড়ি বলে টের পাওয়া যায়নি ব্যাপার টা, কিছুটা ঘুম পাচ্ছিলো আমি সাব্বির মামা আর নুরু বিছানা ঠিক করে কে কোন পাশে ঘুমাবে সেটা ঠিক করছিলাম এমতাবস্থায় গেট নক দিলো, কে  দিলো সেটা জানার জন্য গেট খুলে বাহিরে উকি মারতেই হুট করেই আমার বেয়াইন আমার হাত ধরে টান দিলো আমি চিৎকার করেতে না করতেই ইয়াসমিন আমার মুখ চেপে ধরেছিলো তার হাত দিয়ে, আমি উ উ উ করতেছিলাম, আর সে বলে একদম চিল্লাবেনা হাত সরাচ্ছি, পরে আমি  কিছুটা শান্ত হয়ে তার হাত সরানোর পর তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে আপনার  এত রাতে এখানে কেন? সে বলে ওমা- আপনি আমাদের বাড়িতে বেরাতে আসছেন সেই খোজ খবর নিবোনা? লোক টার সুভিধা অসুভিধা দেখবো না?
আমি বললামঃ তা ঠিক তবে এতখন বেশ সুভিধাতেই ছিলাম, এখন বেশ অসুভিধাতেই আছি,
সে আমার একবারে কাছে  চলে আসে তার মুখের নিঃস্বাশ প্রস্বাশ আমি টের পাচ্ছি তার মুখের গরম বাতাসে আমার  গলায় লাগছে, বিষয়টা কিছুটা সিডিউস এর মতো হচ্ছে, অতঃপর সে বলে এখন কেমন আছেন?
আমি সোজা পাথরের মতো দারিয়ে থাকা কোন নরা চরা না করে বললামঃ  আগে যা ছিলাম এখন তার থেকে বেহালে আছি, কিছুটা হেসেই দিলাম-
সে আমার হাসি দেখে বলে ঃ কি ব্যাপার হাসছেন যে?
আমি বললামঃ  আপনার সিডিউস করা দেখে,
সে বলে উঠলে এতে হাসার কারন কি?
আমি বললামঃ এখন যে আমাকে সিডিউস করা হচ্ছে- যখন আমি করা ধরবো তখন নিজেরে সামলাইবেন কিভাবে?
ইয়াসমিন বলেঃ করে ই দেখেন না?
আমি তার চিকন চাকন পাতলা কোমারে হাত দিতেই সে ঝাকুনি দিয়ে উঠেছে আহ বলে, আমি ভয়ে তাকে ছেরে দিয়েছি! তার চিৎকার শুনে, পরক্ষনেই তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার চেচাচ্ছেন যে?
সে বললঃ সিডিউস সজ্য করার ক্ষমতা আমার হয়নি স্যার- আমি রুমের দিকে যেতে যেয়ে তার কানের কাছে ফিস ফিস করে বললাম যখন সজ্য করার ক্ষমতা হবে তখন নাহয় আইসেন কেমন? সে মুচকি হাসি দিচ্ছে আমি বললাম গুড নাইট বলেই রুমের দর্জা লাগিয়ে দিয়েছি!

রাত প্রায় ৩.৩০ চোখের পাতায় ঘুম আসছে কিছুটা- এমন সময় ফোনে ম্যাসেজ আসলো, ফোন হাতে নিয়ে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই দেখি একটা ম্যাসেজ, দিনের বেলার কথা দেয়ার ব্যাপারটা ভুলে গেছেন? মিস্টার ? টেক্সট টা দেখে আমার আর বুঝতে দেরি হলোনা কে? কারন দিনের বেলায় রুবি কে ই তো বললাম রাতে প্লান না থাকলে আসতে!
তো আমি তাকে টূকুস করে রিপ্লাই মেরে দিলামঃ জিনা ম্যাম আপনার অপেক্ষায় ছিলাম, এতখন ধরে ঘুমের সাথে আর আমার সাথে যুদ্ধ হচ্ছিলো, আপনার অপেক্ষায় ই যুদ্ধ চলছে,
এর রিপ্লাই এ ওপাশ থেকে টেক্সট আসে, ছাদে দারিয়ে আছি? আসবা ? নাকি চলে যাবো?
আমি বললাঃ এত রাতে ? আচ্ছা আসছি!
এত খনে হয়তো বাড়িড় প্রায় লোক ই ঘুমিয়ে পরেছে, আর যারা জেগে আছে তারা ছাদে যাবেনা তাদের ছাদে কোন কাজ নেই! তাই আমি নিরভয়ে ই ছাদে যাবার জন্য রুমের বাতি অফ করে আসতে করে বের হলাম! ছাদে উঠতে না উঠতেই দেখি রুবি দারিয়ে আছে, নাইট ড্রেস এ, গায়ে লং গেঞ্জি কালার টা ঠিক বুঝা যাচ্ছেনা কারন অন্ধকার ছাদে তাই , চুল গুলো ছাড়া, আর প্লাজু পরে আছে একটা- মরুভুমির উচু যায়গার মতো ঐ বুকটা তে ওরনা পেচানো! তার দেহ খান রাতের আলোয় কিছুটা বুঝা যাচ্ছে হাত পা ফেস গ্লো হচ্ছে এই কুট কুটে অন্ধকারের ভিতরে ও! সত্যি কথা বলতে তাকে দেখতে চমৎকার লাগছে খুব, দিনের থেকে অন্ধকারেই বেশি! আমি মুগ্ধ হয়ে তাকে দেখছি , ছাদে উঠতেই ই নাকে একটা মিষ্টী ঘ্রান এসে বারি দিল আমার নাকে- সম্ভবত তার পারফিউম আর তার শরিরের ঘামের মিশ্রনে এটা তৈরী হয়েছে, এই গ্রান যার নাকে জাবে সেই উন্মাত হয়ে জাবে আরো নেয়ার জন্য ।
সে আমাকে দেখে হেসে দিছে, আমি ও তাকে দেখে হেসে হাসছি, আসতে আসতে সে আমার কাছে আসছে আর আমি ও তার কাছে যাচ্ছি, সে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আমাকে বললঃ আসতে এতক্ষন লাগে? আমি উত্তর না দিয়ে বললাম ঘুমাওনি এখনো? সে বললঃ কথা নিয়ে ঘুমাবো কিভাবে? চেষ্টা তো করেছি ঘুমাবার তবে ফেল হচ্ছি বার বার। তাই তো থাকতে না পেরে চলে আসছি
আমিঃ আচ্ছা?
সেঃ হুম।
আমি বললাম এসেই যখন পরেছো তাহলে থেকেই যাওনা!
সে বললঃ নিয়ে যাচ্ছোনা কেন ? বাবার বাড়ি থাকতে থাকতে বোর হয়ে গেছি, এই বার তোমার বাড়িতে থাকতে চাচ্ছি! ( কিছুটা লজ্জা নিয়ে বলল )
আমি হেসেই বললামঃ এই বয়সে ই আমার বাড়ি আসতে চাচ্ছো- তুমি তো পিচ্ছি থাকবে কিভাবে?
সে কিছুটা রেগে বললঃ আমাকে পিচ্ছি বলবানা  আমি পিচ্ছি না!
আমি তাকে জ্বালানোর জন্য টিচ করে বললামঃ আহারে কত্ত বড় হইছো দেখি দেখি?
সে বলে কিছুটা লজ্জা নিয়ে হাত দিয়ে মুখ ঢেকেঃ কি দেখবা শুনি?
আমি একটূ হেসে বললামঃ হুস পচা কিচ্ছু দেখবোনা! যাও নিচে যাও ঘুমে ধরছে খুব আমার!
সে বললঃ তাহলে ছাদে কেন আসছো? ( কিছু টা রাগ নিয়ে অভিমানের স্বরে )
আমি বুঝতে পেরেছি সে কেন রাগ করেছে, কারন বিকেলে বলেছি সে যেন রাতে ঝরিয়ে ধরে এখন না ধরা দিয়েই চলে যাচ্ছি তাই! তার ঐ মিষ্টি মুখটা রাগে ফুলে আছে, আমি তাকে বললামঃ কাছে আসো!
সে বললঃ না চলে যাও!
পরব র্তিতে আমি হুট করে যেয়ে তার ঠোট এ কিস করে দেই ( তার ঐ নরম আর গরমের উঞ্চার্থ ঠোট দুটো আমার ঠোটে লাগানোর সাথে সাথেই মনে হলো আমার সমস্ত শরির ঝুরে শীতল রক্ত  বয়ে যাচ্ছে হাল্কা মৃধু বাতাসের মত আমার বুকের নিঃশ্বাস বারছে হার্ট জোরে জোরে বিট করছে , মেয়েটা ও জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে তার গরম নিঃশ্বাস আমার ফেস এ এসে লাগছে, তার বুকের ধুপ ধুপানি শব্দ আমার কানে বাঝছে, প্রথমত সে চুমুর ফিল নিলে ও পরবর্তী তে সে ও রেস্পনস দিচ্ছে কিছুটা সময় যেতে না যেতেই সে নিজেকে সামলাতে না পেরে আমাকে শক্ত করে ঝরিয়ে ধরেছে তার বুকের মাঝ খান টায় এমন ভাবে ঝরিয়ে নিয়েছে শক্ত করে যেন  আমাদের দুজনের মাঝ দিয়ে কোন বাতাস প্রবাহ হবার সুযোগ নেই চুম্বনের সময় যত দির্ঘ হচ্ছে তার ঝরিয়ে ধরার শক্তির চাপ ততো বারছে, সে আমাকে খুব শক্ত করেই ঝরিয়ে ধরেছিল আর তার শরিরের বিশেষ অংশ টা আমার  বুক স্পর্শ করছে আমি অনুভব করতে পারছি তার শক্ত নরম উত্তাপ গরম বুক্টার সব টুকো অংশ ই ) আমি তার ঠোট থেকে আমার ঠোট সরিয়ে নিয়ে তার গুলায় চুম্বন দেয়ার জন্য যখন আমার ঠোট দিয়ে তার গলা স্পর্শ করলাম সে কিছুটা জোরেই বলে উঠলো রেহান? বলেই আরো শক্ত করে ঝরিয়ে দরলো! আমি তার চিৎকার শুনে কিছুটা ভয় ও  পেয়েছি বটে কৌতুহলি জিজ্ঞেস করলাম কি হলো? সে বুকে ভেতর মুখ লুকাচ্ছে কোণ কথা না বলে! আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম কি হলো বলো? সে বলে কিছুনা – কেমন যেন ফিল হচ্ছিলো তাই অনিচ্ছাকৃত ই চিতাকার করে উঠছি সরি!  আমি তার গালে হাত দিয়ে ঠোটে কিস করে বললাম ঠিক আছে, এখন যাও রাত অনেক হইছে সকালে আবার উঠতে হবে বিয়ে বাড়িতে মন মত ঘুমানো জাবে না তো বুঝছো?
সে বললঃ চলে জাবে?
আমিঃ উম!
সেঃ আর কিছুক্ষন থাকা যায়না?
আমিঃ না একটূ পর ই আজান দিবে ফজরের! সবায় দেখার আগে চলো!
সেদৌরে এসে আমারে ঝরিয়ে ধরে বলল হুম!
তার পর তার হাত ধরে নিচে নেমে এলাম আমাকে আমার রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে সে নিচে চলে গেল! যাবার আগে আমাকে গূড নাইট বলে – গুড নাইট কিস দিয়ে চলে গেল!
আমি যখন ই রুমে ঢুকে শুবো? তখন ই নুরু বলে উঠলো সব করা শেষ হইছে ? ভাইয়া? আমি তার কথা শুনে …………



Next Part Upload Sonn!

Comments

    Please login to post comment. Login