Posts

উপন্যাস

অদৃশ্য ছায়া

August 5, 2025

JINEDIN JIDAN

75
View

🕵️‍♂️ "ছায়ামানুষ"

অধ্যায় ১: অদৃশ্য ছায়া

রাজশাহীর এক ছোট শহরে হঠাৎ অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করে। প্রতিদিন রাতে কেউ একজন ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করে যায়, কিন্তু কোনো কিছু চুরি হয় না।

মানুষ ভয় পায় — লোকটা কি চোর? না… কিছু অন্যরকম? সবাই তাকে ডাকে — "ছায়ামানুষ!"

অধ্যায় ২: ইমরান

সাধারণ ছাত্র, ক্লাস নাইনে পড়ে — নাম ইমরান। সে সাহসী, বইপাগল আর রহস্য ভালোবাসে। সে ঠিক করে — “এই ছায়ামানুষকে আমি ধরব!”

এক রাতে সে জানালার পাশে বসে থাকে ক্যামেরা নিয়ে। রাত ২টা বাজে, হঠাৎ একটা কালো ছায়া চলে আসে… কিন্তু দরজা খোলা ছিল না!

ছায়াটা ঘরে ঢুকে একটা পুরনো বইয়ের তাকে গিয়ে দাঁড়ায়… পড়তে থাকে ধুলো ঢাকা এক বই — নাম "রহস্যময় যাত্রা ১৯৭১"

ইমরান হঠাৎ হাঁচি দেয়, ছায়ামানুষ ফিরে তাকায় — কিন্তু মুখ দেখা যায় না। শুধু চোখে আলো ঝলসে ওঠে।

অধ্যায় ৩: পুরোনো বইয়ের রহস্য

ইমরান খুঁজে খুঁজে সেই বইটা খোলে — বইয়ের ভেতরে এক চিঠি —

“আমি বেঁচে নেই। কিন্তু আমার সত্য এখনও বেঁচে আছে। যারা বিশ্বাসঘাতক ছিল, তাদের নাম এই বইয়ে আছে। আমাকে খুঁজে বের করো।”

অধ্যায় ৪: ছায়ার পেছনে ছায়া

ইমরান বুঝতে পারে — এই ছায়ামানুষ আসলে কোনো প্রেত নয়, এ একজন জীবিত মানুষ, যে ১৯৭১ সালে এক গুপ্তচর ছিল, এখন ফিরে এসেছে পুরনো শত্রুদের খুঁজতে

ইমরান ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে সেই বিপদে — তার জীবনও হয়ে ওঠে লক্ষ্যবস্তু।

শেষে সে জানতে পারে — ছায়ামানুষ তার নিজের দাদু! যিনি দেশ স্বাধীন হবার পর গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন।

🟥 শেষ অধ্যায়: সত্যের মুখোমুখি

ইমরান তার দাদুকে খুঁজে পায় এক গোপন বাঙ্কারে। দাদু বলেন — “দেশের ভেতরে যারা দেশকে বিক্রি করেছিল, তারা এখন বড় বড় আসনে বসে আছে। এই ছায়া আমি না, ছায়া তারা।”

ইমরান প্রতিজ্ঞা করে — সত্য জানবে সবাই। সে বই প্রকাশ করে দেয় — “ছায়ামানুষ : এক গুপ্ত যোদ্ধার গল্প”

শেষ লাইন:

ছায়ারা অন্ধকারে লুকাতে পারে, কিন্তু একদিন আলো ঠিকই এসে পড়ে…

Comments

    Please login to post comment. Login