দৃশ্য ১: গ্রামের সকাল
সেটিং: সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ছোট গ্রামের বাড়ি। সকালের নরম আলো। পাখির ডাক।
চরিত্র: রস্মি, পারুল সেন, অভিজিৎ সেন, আদিত্য।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: সবুজ মাঠ, দূরে একটি ছোট বাড়ি, ধোঁয়া ওঠা চিমনি।
মিড শট: রস্মি এবং পারুল বারান্দায় বসে কথা বলছে।
ক্লোজ শট: পারুলের ক্লান্ত মুখ, রস্মির উদ্বিগ্ন চোখ।
ডায়ালগ:
রস্মি: "মা, আমি কলকাতায় গিয়ে চাকরি খুঁজব। তোমার চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতেই হবে।"
পারুল: (দুর্বল কণ্ঠে) "তুই এত কষ্ট করিস না, মা। আমি ঠিক হয়ে যাব।"
অভিজিৎ: (দূর থেকে) "রস্মি, সাবধানে থাকিস। আমি তোর সঙ্গে যেতে পারতাম..."
আদিত্য: (পাশে এসে) "রস্মি, তুই পারবি। আমি তোর পাশে আছি।"
দৃশ্য ২: কলকাতার পথে
সেটিং: কলকাতার ব্যস্ত রাস্তা, ট্রাম, হলুদ ট্যাক্সি, ভিড়।
চরিত্র: রস্মি, সূর্য, অদিতি।
ক্যামেরা শট:
ট্র্যাকিং শট: রস্মি ব্যাগ হাতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
মিড শট: অফিসের ইন্টারভিউ রুম, সূর্য রস্মির সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে।
ওভার-দ্য-শোল্ডার শট: অদিতি দূর থেকে তাদের দেখছে।
ডায়ালগ:
রস্মি: (নার্ভাস) "স্যার, আমি কঠোর পরিশ্রম করতে পারি। আমাকে একটা সুযোগ দিন।"
সূর্য: (হাসি) "তোমার সরলতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কাল থেকে জয়েন করো।"
অদিতি: (নিজের মনে) "কে এই মেয়ে? সূর্য এমন হাসছে কেন?"
দৃশ্য ৩: সূর্যের পরিচয়
সেটিং: মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল বাড়ি, আধুনিক ডেকর, কাচের জানালা।
চরিত্র: সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: বাড়ির বাইরের দৃশ্য, সমুদ্রের ধারে।
মিড শট: সূর্য ও অভ্রনীল সোফায় বসে কথা বলছে।
ক্লোজ শট: অনন্যার গর্বিত হাসি।
ডায়ালগ:
সূর্য: "বাবা, আমি কলকাতায় থেকে ব্যবসা দেখব।"
অভ্রনীল: "ভালো, তবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করিস।"
অনন্যা: "তুই আমার গর্ব। সমাজের জন্যও কিছু করিস, সূর্য।"
দৃশ্য ৪: বন্ধুত্বের শুরু
সেটিং: অফিসের ক্যান্টিন, কর্মচারীদের হাসি-গল্প।
চরিত্র: রস্মি, সূর্য, অদিতি, অমর্ত্য।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: ক্যান্টিনের জমজমাট পরিবেশ।
মিড শট: সূর্য ও রস্মি একসঙ্গে হাসছে।
প্যান শট: অদিতি দূর থেকে তাদের দেখছে।
ডায়ালগ:
রস্মি: "তুমি মুম্বাইয়ের ছেলে, অথচ এত সহজ!"
সূর্য: "আর তুমি গ্রামের মেয়ে, কিন্তু এত আত্মবিশ্বাস!"
অদিতি: (নিজের মনে) "এই মেয়ে এত কাছে কী করে এল?"
অমর্ত্য: "রস্মি, আমাদের টিমে তুমি একটা ফ্রেশ এয়ার!"
দৃশ্য ৫: পারুলের অসুস্থতা
সেটিং: গ্রামের হাসপাতাল, ছোট রুম, মলিন পরিবেশ।
চরিত্র: পারুল সেন, অভিজিৎ সেন, রস্মি, আদিত্য।
ক্যামেরা শট:
ক্লোজ শট: পারুলের ক্লান্ত মুখ।
মিড শট: অভিজিৎ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছে।
কাট শট: রস্মি ফোনে খবর শুনছে।
ডায়ালগ:
ডাক্তার: "অপারেশনের জন্য অনেক টাকা লাগবে।"
অভিজিৎ: (ফোনে) "রস্মি, তুই চিন্তা করিস না। আমি দেখছি।"
রস্মি: "বাবা, আমি আরও কঠোর পরিশ্রম করব।"
আদিত্য: (ফোনে) "রস্মি, আমি তোর জন্য দোয়া করছি।"
দৃশ্য ৬: অদিতির ঈর্ষা
সেটিং: অফিসের মিটিং রুম, প্রজেক্ট ডিসকাশন।
চরিত্র: সূর্য, রস্মি, অদিতি, অমর্ত্য, অনীক।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: সূর্য ও রস্মি একসঙ্গে প্রেজেন্টেশন তৈরি করছে।
ক্লোজ শট: অদিতির ঈর্ষান্বিত চোখ।
ওয়াইড শট: অমর্ত্য ও অনীক হাসছে।
ডায়ালগ:
রস্মি: "সূর্য, তোমার আইডিয়া দারুণ!"
সূর্য: "আর তোমার প্রেজেন্টেশন স্কিল অসাধারণ!"
অদিতি: (অনীককে) "ওরা এত কাছাকাছি কেন?"
অমর্ত্য: "অদিতি, ঈর্ষা করলে চলবে না!"
দৃশ্য ৭: আদিত্যের আগমন
সেটিং: কলকাতার রাস্তা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে।
চরিত্র: রস্মি, আদিত্য, অদিতি।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পটভূমি।
মিড শট: রস্মি আদিত্যকে শহর ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে।
ক্লোজ শট: অদিতি ও আদিত্যের প্রথম দৃষ্টি বিনিময়।
ডায়ালগ:
রস্মি: "আদিত্য, শহরে এসে কেমন লাগছে?"
আদিত্য: "তোর সঙ্গে থাকলে সব ভালো লাগে।"
অদিতি: (আদিত্যের দিকে তাকিয়ে) "তুমি তো বেশ ইন্টারেস্টিং!"
দৃশ্য ৮: সূর্য ও রস্মির কাছাকাছি
সেটিং: হাওড়া ব্রিজের কাছে, সন্ধ্যার আলো, গঙ্গার পাড়।
চরিত্র: সূর্য, রস্মি, অদিতি।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: হাওড়া ব্রিজের সূর্যাস্তের দৃশ্য।
মিড শট: সূর্য ও রস্মি হাঁটছে, হাসছে।
প্যান শট: অদিতি দূর থেকে তাদের দেখছে।
ডায়ালগ:
সূর্য: "রস্মি, তুমি আমার জীবনে একটা নতুন রঙ এনেছ।"
রস্মি: "তুমিও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছ, সূর্য।"
অদিতি: (নিজের মনে) "আমি এতদিন কী করলাম?"
দৃশ্য ৯: অদিতি ও আদিত্যের প্রেম
সেটিং: কলকাতার একটি কফি শপ, নরম আলো, রোমান্টিক পরিবেশ।
চরিত্র: অদিতি, আদিত্য, অর্পিতা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: অদিতি ও আদিত্য কফি খাচ্ছে, হাসছে।
ক্লোজ শট: অদিতির চোখে প্রেমের ঝিলিক।
ওয়াইড শট: অর্পিতা পাশের টেবিল থেকে দেখছে।
ডায়ালগ:
আদিত্য: "অদিতি, তুমি আমার জীবনে একটা নতুন স্বপ্ন।"
অদিতি: "আদিত্য, তুমি আমার হৃদয় ছুঁয়েছ।"
অর্পিতা: (হাসি) "এই প্রেমটা দেখার মতো!"
দৃশ্য ১০: পারুলের অবস্থার অবনতি
সেটিং: গ্রামের হাসপাতাল, রাতের অন্ধকার।
চরিত্র: পারুল সেন, অভিজিৎ সেন, রস্মি।
ক্যামেরা শট:
ক্লোজ শট: পারুলের দুর্বল শ্বাস।
মিড শট: অভিজিৎ ফোনে রস্মির সঙ্গে কথা বলছে।
কাট শট: রস্মি কলকাতার অ্যাপার্টমেন্টে কাঁদছে।
ডায়ালগ:
অভিজিৎ: "রস্মি, মায়ের অবস্থা খারাপ। তাড়াতাড়ি আয়।"
রস্মি: "বাবা, আমি সব টাকা জোগাড় করব। মাকে বাঁচাতে হবে।"
দৃশ্য ১১: সূর্যের সাহায্য
সেটিং: অফিসের একটি শান্ত কোণ, সূর্য ও রস্মির কথোপকথন।
চরিত্র: সূর্য, রস্মি, অমর্ত্য, অনীক।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: সূর্য রস্মির হাত ধরে কথা বলছে।
ক্লোজ শট: রস্মির চোখে কৃতজ্ঞতা।
ওয়াইড শট: অমর্ত্য ও অনীক পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন করছে।
ডায়ালগ:
সূর্য: "রস্মি, আমি তোমার মায়ের চিকিৎসার খরচ দেব।"
রস্মি: "না, সূর্য, আমি এত বড় ঋণ নিতে পারব না।"
অমর্ত্য: "রস্মি, সূর্য তো বন্ধু হিসেবে বলছে।"
দৃশ্য ১২: অদিতির প্রতিশোধ
সেটিং: অফিসের করিডোর, গুজব ছড়ানোর দৃশ্য।
চরিত্র: অদিতি, রস্মি, সূর্য, বিনীতা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: অদিতি সহকর্মীদের সঙ্গে ফিসফাস করছে।
ক্লোজ শট: রস্মির মুখে হতাশা।
প্যান শট: সূর্য রস্মির পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে।
ডায়ালগ:
অদিতি: (ফিসফাস) "রস্মি নাকি সূর্যের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।"
রস্মি: "আমি কারও কাছে হাত পাতিনি!"
সূর্য: "অদিতি, এসব বন্ধ করো। রস্মি আমার বন্ধু।"
বিনীতা: "রস্মি, আমি তোর সঙ্গে আছি।"
দৃশ্য ১৩: আদিত্য ও অদিতির সম্পর্ক
সেটিং: কলকাতার একটি পার্ক, ফুলের বাগান, হ্রদের ধার।
চরিত্র: আদিত্য, অদিতি, অর্পিতা।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: পার্কের সৌন্দর্য।
মিড শট: আদিত্য অদিতিকে ফুল দিচ্ছে।
ক্লোজ শট: অদিতির হাসি।
ডায়ালগ:
আদিত্য: "অদিতি, তুমি আমার জীবনের নতুন অধ্যায়।"
অদিতি: "আদিত্য, তুমি আমাকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছ।"
অর্পিতা: "তোদের জুটি দেখতে দারুণ!"
দৃশ্য ১৪: সূর্যের বাবা-মায়ের আগমন
সেটিং: কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেল, বিলাসবহুল লবি।
চরিত্র: সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা, রস্মি।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: হোটেলের লবি।
মিড শট: সূর্য রস্মিকে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছে।
ক্লোজ শট: অনন্যার উষ্ণ হাসি।
ডায়ালগ:
সূর্য: "মা, বাবা, এই রস্মি। আমার খুব কাছের মানুষ।"
অভ্রনীল: "হুম, কিন্তু আমাদের পরিবারের সঙ্গে কি মানাবে?"
অনন্যা: "রস্মি, তুমি আমার সমাজসেবার কাজে যোগ দাও।"
দৃশ্য ১৫: পারুলের অপারেশন
সেটিং: হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের বাইরে।
চরিত্র: পারুল সেন, অভিজিৎ সেন, রস্মি, সূর্য।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: পারুলকে স্ট্রেচারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ক্লোজ শট: রস্মির কান্না।
প্যান শট: সূর্য রস্মিকে জড়িয়ে ধরছে।
ডায়ালগ:
অভিজিৎ: "রস্মি, তুই টাকা জোগাড় করেছিস। মা বাঁচবে।"
রস্মি: "সূর্য, তুমি না থাকলে আমি পারতাম না।"
সূর্য: "আমি সবসময় তোমার পাশে আছি।"
দৃশ্য ১৬: অদিতির ষড়যন্ত্রের প্রকাশ
সেটিং: অফিসের কনফারেন্স রুম, সবাই উপস্থিত।
চরিত্র: অদিতি, রস্মি, সূর্য, অমর্ত্য, অনীক, বিনীতা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: অদিতি ক্ষমা চাইছে।
ক্লোজ শট: রস্মির ক্ষমাশীল হাসি।
ওয়াইড শট: সবাই তালি দিচ্ছে।
ডায়ালগ:
অদিতি: "রস্মি, আমি ঈর্ষায় ভুল করেছি। ক্ষমা কর।"
রস্মি: "অদিতি, আমি তোমাকে ক্ষমা করলাম।"
সূর্য: "এবার আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।"
দৃশ্য ১৭: সূর্য ও রস্মির প্রেম
সেটিং: কলকাতার একটি মন্দির, সন্ধ্যার পূজার সময়।
চরিত্র: সূর্য, রস্মি।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: মন্দিরের উঠোন, ঘণ্টার শব্দ।
মিড শট: সূর্য রস্মির হাত ধরে প্রপোজ করছে।
ক্লোজ শট: রস্মির চোখে খুশির অশ্রু।
ডায়ালগ:
সূর্য: "রস্মি, আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমার জীবন তুমি ছাড়া অসম্পূর্ণ।"
রস্মি: "সূর্য, আমিও তোমাকে ভালোবাসি।"
দৃশ্য ১৮: অভ্রনীলের আপত্তি
সেটিং: সূর্যের বাড়ি, বিলাসবহুল লিভিং রুম।
চরিত্র: সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: সূর্য ও অভ্রনীলের তর্ক।
ক্লোজ শট: অনন্যার উদ্বিগ্ন মুখ।
প্যান শট: ঘরের বিলাসবহুল পরিবেশ।
ডায়ালগ:
সূর্য: "বাবা, আমি রস্মিকে বিয়ে করব।"
অভ্রনীল: "ওর পরিবার আমাদের মানের নয়।"
অনন্যা: "অভ্র, ওদের ভালোবাসা দেখ। আমি রস্মিকে পছন্দ করি।"
দৃশ্য ১৯: আদিত্য ও অদিতির বিয়ে
সেটিং: একটি বিয়ের মণ্ডপ, ফুলে সাজানো, উৎসবের পরিবেশ।
চরিত্র: আদিত্য, অদিতি, রস্মি, সূর্য, অর্পিতা।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: মণ্ডপের উৎসব।
মিড শট: আদিত্য ও অদিতি হাসছে।
প্যান শট: রস্মি ও সূর্য হাত ধরে দেখছে।
ডায়ালগ:
আদিত্য: "অদিতি, তুমি আমার জীবনের আলো।"
অদিতি: "আদিত্য, তুমি আমার সব।"
অর্পিতা: "এই বিয়ে আমার স্বপ্নের মতো!"
দৃশ্য ২০: পারুলের মৃত্যু
সেটিং: হাসপাতালের রুম, রাতের নিস্তব্ধতা।
চরিত্র: পারুল সেন, অভিজিৎ সেন, রস্মি, সূর্য।
ক্যামেরা শট:
ক্লোজ শট: পারুলের শান্ত মুখ।
মিড শট: রস্মি ও অভিজিৎ কাঁদছে।
প্যান শট: সূর্য রস্মিকে জড়িয়ে ধরছে।
ডায়ালগ:
পারুল: (দুর্বল কণ্ঠে) "রস্মি, তুই সুখী হ।"
রস্মি: "মা, আমাকে ছেড়ে যাস না!"
সূর্য: "রস্মি, আমি তোমার পাশে আছি।"
দৃশ্য ২১: সূর্যের অসুস্থতা
সেটিং: কলকাতার হাসপাতাল, আইসিইউ।
চরিত্র: সূর্য, রস্মি, অভ্রনীল, অনন্যা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: সূর্য আইসিইউতে, মেডিকেল যন্ত্রে ঘেরা।
ক্লোজ শট: রস্মির উদ্বিগ্ন মুখ।
ওয়াইড শট: অভ্রনীল ও অনন্যা বাইরে অপেক্ষা করছে।
ডায়ালগ:
রস্মি: "সূর্য, তুমি ছাড়া আমি বাঁচব না।"
সূর্য: (দুর্বল কণ্ঠে) "রস্মি, তুই শক্ত থাক।"
অনন্যা: "আমার ছেলে ফিরে আসবে।"
দৃশ্য ২২: রস্মির সিদ্ধান্ত
সেটিং: হাসপাতালের করিডোর, ডাক্তারের সঙ্গে কথোপকথন।
চরিত্র: রস্মি, সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা।
ক্যামেরা শট:
মিড শট: রস্মি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলছে।
ক্লোজ শট: সূর্যের দুর্বল মুখ।
প্যান শট: অভ্রনীল ও অনন্যার মুগ্ধ দৃষ্টি।
ডায়ালগ:
রস্মি: "ডাক্তার, আমি আমার অঙ্গ দান করব। সূর্যকে বাঁচাতে হবে।"
সূর্য: "রস্মি, তুই এটা করিস না!"
অনন্যা: "রস্মি, তুমি আমাদের পরিবারের গর্ব।"
দৃশ্য ২৩: অপারেশন
সেটিং: হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার, তীব্র আলো।
চরিত্র: রস্মি, সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: দুটি অপারেশন টেবিল, ডাক্তাররা কাজ করছে।
ক্লোজ শট: রস্মি ও সূর্যের হাত একসঙ্গে ধরা।
মিড শট: অভ্রনীল ও অনন্যা বাইরে দোয়া করছে।
ডায়ালগ:
রস্মি: (অপারেশনের আগে) "সূর্য, আমরা একসঙ্গে থাকব।"
সূর্য: "রস্মি, তুমি আমার জীবন।"
দৃশ্য ২৪: ট্র্যাজেডি
সেটিং: হাসপাতালের করিডোর, নীরব পরিবেশ।
চরিত্র: রস্মি, সূর্য, অভ্রনীল, অনন্যা, অভিজিৎ।
ক্যামেরা শট:
ক্লোজ শট: ডাক্তারের গম্ভীর মুখ।
মিড শট: অভ্রনীল ও অনন্যা কাঁদছে।
ওয়াইড শট: অভিজিৎ একা দাঁড়িয়ে শোকে মুহ্যমান।
ডায়ালগ:
ডাক্তার: "আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু ওদের বাঁচাতে পারিনি।"
অনন্যা: "আমার সূর্য... আমার রস্মি..."
অভিজিৎ: "আমার মেয়ে..."
দৃশ্য ২৫: সমাপ্তি
সেটিং: গ্রামের সবুজ মাঠ, সূর্য ও রস্মির স্মৃতিস্তম্ভ।
চরিত্র: অভ্রনীল, অনন্যা, অভিজিৎ, আদিত্য, অদিতি, অমর্ত্য, অনীক, অর্পিতা, বিনীতা।
ক্যামেরা শট:
ওয়াইড শট: স্মৃতিস্তম্ভের সামনে সবাই দাঁড়িয়ে।
মিড শট: একটি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন।
ক্লোজ শট: স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেওয়া।
ডায়ালগ:
অনন্যা: "সূর্য আর রস্মির ভালোবাসা চিরকাল বেঁচে থাকবে।"
অভিজিৎ: "আমার মেয়ে আমাকে গর্বিত করেছে।"
আদিত্য: "ওদের নামে এই প্রতিষ্ঠান চলবে।"
সমাপ্ত