পোস্টস

গল্প

জীবন এক সুস্বাদু হেমলক (প্রিমিয়াম)

৩০ মে ২০২৪

Sahadat Russell

মূল লেখক শাহাদাত রাসএল

রানু’র সাথে আমার যখন পরিচয় হয় তখন সম্ভবত ওর বয়স চৌত্রিশ বা পঁয়ত্রিশ। বারো বছর বয়সী এক ছেলের মা। একজন সেনা অফিসারের সাজানো গোছান স্ত্রী। একজন নারী যতটা সাজানো গোছানো থাকলে অন্য নারীদের হিংসে হয় ঠিক ততটাই উজ্জ্বলতা ছিলো রানুর। যদিও এই উজ্জ্বলতাটা সবাই দেখতে পেতোনা কারণ বাহির থেকে সবাই কেবল বোরকা আর হেজাবের জেল্লাটাই দেখতে পেতো। ওর সাথে আমার পরিচয় ব্লাড ডোনেট করতে গিয়ে। রানুর এক আত্মীয়ার রক্তের দরকার পড়লে সেখানে আমি গিয়েছিলাম রক্ত দিতে। ক্যান্সার প্রেসেন্ট হবার কারণেই পুনরায় রক্ত লাগার আশঙ্কা থেকেই নাম্বারটা রেখেছিলো রানু। তখনো আমি ওর মুখ দেখিনি। উফফ কি অসহ্য সুন্দর সেই মুখ ! সেনা অফিসারদের মধ্যে লোক দেখানো বিষয়টা যে কতোটা ভয়ঙ্কর ও আগ্রাসী সেটা আমি জেনেছিলাম অনেক পরে । সে গল্প পরে বলবো। সেই সুত্রেই রানুকে চেনার পর ফেসবুকে যুক্ত হওয়া। টুকটাক কথা বলা। আসলে রানু কথা বলতো খুব কম। বেশীরভাগ সময় আমিই বলতাম। আমি নানান ছুতো খুজতাম ওর সাথে কথা বলার। সম্ভবত রানু খুব একটা আগ্রহ পেতোনা কথা বলায়। কিন্তু একদিন রানু কথা বললো। ঝড়ের মতো সব এলোমেলো করে বললো। সেদিন রাতে ফেসবুকে টেক্সট পাঠালো

আপনার সাথে কি একটু মোবাইলে কথা বলা যাবে ? কল দেবো ?

এটি একটি প্রিমিয়াম পোস্ট।