বুকের ভেতর কানাডিয়ান সাগর, উল্টো স্রোতে ঘূর্ণিঝড়ের গভীরতর আমারে পছন্দ করে খুব,
জাহাজের মত ডুবায়ে নেয় অতল অনিশ্চয়তায়।
আমি নিখোঁজ হই, মস্তিষ্ক পাথরে ঠেকে নীল দুঃখ ছড়িয়ে পড়ে জলে
মাছেরা ভয় পায়, বলে "এটা কি মগজ, না নিঃশেষ এক আগ্নেয়গিরি?"
সিগারেট রে চুমু দেই আকাশের নিচে, মাথার ভেতরে শকুনের মত কেউ খায় আমায়
অসহ্য লাগে সব!
কাঁদতে ইচ্ছে করে নদীর পাড়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে "কে তুই, আমায় এত জ্বালাস কেন?"
রাত জেগে কবিতার সাথে আর দেখা হয় না, এক চিমটি ছোঁয়াও হয় না।
আমারে ডাকে দায়িত্ব পরদিন অফিস, মাস শেষে বেতন,শুধু ক্লান্তির জঞ্জাল।
নীলার পাশে, বৃষ্টির নিচে, শুয়ে থাকতে পারি না এখন!
সকলেই বলে, "তোমারে দেখি না আমি তো লাশ,আমার সময় কই?
চাকরি দাতা দেয় চাকরি ছাড়লে দেখায় ভয়, না দেয় সম্মান, না দেয় পরিণতি।
বুকের ভেতর গুলি করে যেন দিনের পর দিন রক্ত শুকায়ে সিমেন্ট হয়।
সারাদিন পাপ দেখে পাপিদের ই বলি স্যার, আদর্শের জ্ঞান দেয় সে, মোটা টাকা আর নারীর গন্ধে ভেজা তার চামড়া তবুও সে ফেরেশতা!
আমি তো অতটা খারাপ না তবু শান্তি নাই মনে কেন আল্লাহ ?
প্রতিবাদ করলেই বন্ধ হয় ভাত!
মস্তিষ্কের বুকে কবিতা অথচ আজিমপুরে রাগ করে মাটি দিয়েছি কবিতারে ,দ্রব্যমূল্যের সাথে আর পেরে উঠে না সে!
হেলাল হাফিজের মত ব্যর্থ হয়ে মরে আছি, হলুদ পাতায়।
এ শহর আমায় মারে আমার সঙ্গী আজরাইল রোজ দেখা হয়, কথা হয় না।
আমি শুধু একটু শান্তি চাই,একটি মুক্ত নিঃশ্বাস, আমি চাই কবিতার সাথে আজিমপুরের ফুটপাথে বসে এক কাপ চায়ের চুমুকে আলাপন।
আমার কবিতারে রাষ্ট্রীয় ভাতা দাও, আমার কবিতার ভরন-পোষণের দায় নাও
যাতে প্রতিভা হারিয়ে কবির লাশে ছুঁয়ে না যায় আজিমপুর!