ভুতের ছায়ায় প্রেম
রাত গভীর, পূর্ণিমার চাঁদ। রাজীব একা হেঁটে যাচ্ছিল গ্রামের প্রান্তে পুরনো এক বটগাছের নিচ দিয়ে। মানুষ বলে, ওই গাছের নিচে রাতে কেউ দাঁড়ায় না — সেখানে নাকি এক ভুতের আস্তানা।
হঠাৎ রাজীব শুনল কারো কান্নার শব্দ। চারপাশে তাকাতেই দেখল সাদা শাড়ি পরা এক মেয়ে বসে আছে। চোখে জল, কপালে চাঁদের আলো।
রাজীব ভয় পেলেও জিজ্ঞেস করল, — “তুমি কে? এভাবে রাতের বেলা এখানে বসে আছো কেন?”
মেয়েটি ধীরে ধীরে মুখ তুলে বলল, — “আমি মায়া। এই গাছের নিচেই আমার মৃত্যু হয়েছিল, অনেক বছর আগে। আমার শেষ ইচ্ছে ছিল কারো কাছে আমার ভালোবাসার কথা বলা… কিন্তু বলতে পারিনি।”
রাজীব কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, — “তাহলে আমি শুনতে চাই… তোমার সেই ভালোবাসার গল্প।”
মায়া হেসে বলল, — “আজ থেকে তুমি-ই সেই ভালোবাসা… তুমি-ই আমার অপেক্ষার শেষ।”
তারপর রাজীব অনুভব করল — শীতল বাতাস এসে তার হাত স্পর্শ করছে। কিন্তু আশ্চর্য! সেই ঠান্ডা হাতের ছোঁয়াতেই রাজীবের বুক ভরে গেল অদ্ভুত শান্তিতে।
মানুষ বলে, রাজীব আর কখনো গ্রামের বাইরে যায়নি। প্রতি পূর্ণিমায় তাকে দেখা যায় ওই বটগাছের নিচে একা দাঁড়িয়ে থাকতে… কিন্তু আসলে সে একা নয়।