সবুজে মোড়া ধরণী মা,
তাঁর বুকে জাগে হাজার আশা।
শিশির ভেজা ঘাসের গন্ধে,
ভোরের আলো ঝরে আসে ধীরে।
পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে প্রাণ,
আলো ছুঁয়ে যায় পাহাড়ের জান।
নদীর বুকে ঝিলমিল ঢেউ,
চিরন্তন সুরে বাজে প্রেমের বেহালা বয়ে।
বনের ভেতর সোঁ সোঁ হাওয়া,
পাতার কোলাহল মৃদু স্নিগ্ধ ছাওয়া।
গোপন ঝরনা ঝরে ঝরে যায়,
সুরেলা স্রোতে গান শোনায়।
নীল আকাশে মেঘের ভেলা,
কখনো সাদা তুলোর খেলা।
হঠাৎ বৃষ্টি ঝরে টুপটাপ,
মাটির গন্ধে ভরে যায় সব।
ধানক্ষেতে দুলে সোনালি ঢেউ,
গ্রামের মাঠে খেলে কিশোরের দল।
চাষির মুখে খুশির ছোঁয়া,
ফসল যেন আশার বাণী শোনায় সবার চাওয়া।
বসন্ত এলে ফুলের সুবাস,
শীতের কুয়াশায় অচেনা আশ্বাস।
গ্রীষ্মের রোদে নদীর তীরে,
ছায়া খুঁজে পায় পথিক বেচারা নীরব ভীরে।
চাঁদের আলোয় আঁধার রাত,
নক্ষত্র ভরা আকাশ হাতছানি দেয় বারবার।
সমুদ্রের ঢেউ গেয়ে ওঠে গান,
অন্তহীন রহস্যে ডাকে প্রাণ।
প্রকৃতি শুধু নয় চোখের সুখ,
সে তো জীবনের হৃদয়ের দুখ।
মায়ের মতো বুকে আশ্রয় দেয়,
আবার কখনো ঝড়ে ভয়ও জাগায়।
তবু তার কোলে সব শান্তি মেলে,
মাটির টানে প্রাণ বাঁচতে চায় চলে।
মানুষ যত দূরে যাক না সরে,
প্রকৃতির টানে সে ফিরেই আসে ঘরে।