সকাল সকাল মোন্তাজ চাজি ফোন দিছে। না ধরেও পারি না।
-বাহে ভাতিজা, তুই ঢাকাত যায়া মেলা কিছু শিখবার পাওছো। তায় একটা জিনিস নিয়ে খুব আতঙ্কে আছু।
-কি হইছে চাজি, খুলে বলেন তো।
- তোমার মাইজলা চাচার একটাই বেটা। মায়ে আদর করি নাম থুইছে রাজু।
- হ্যা চাজি, বাড়িতে গেলে দেখা হয়। সুন্দর হইছে মাশাআল্লাহ। ওকে তো আমি 'রাজু বানগয়া জেন্টলম্যান " ডাকি। কি বোঝে তা জানি না, কিন্তু ফিকফিক করে হাসে। এখন কি হইছে, চাজি?
-কয় দিন পর পর ফিরকি ফিরকি বাড়ি থাকি দৌড়ি যায়। ওয় বলে ঢাকাত যাইবে। ছোট এনা ছইল। জ্বিন ধরলো নাকি! কয়দিন পানি পড়া খিলাইনো। কিন্ত কাম হয় না, বেটা।
-তাই নাকি? কখন ওরকম করে?
-ঐ যে টিভিত, ইউটিবত কেবা ডাকে, 'রাজু তুই আয়। রাজু তুই আয়'। তখন উঠি দৌড়ায়। তা বাহে ওরা রাজুক কেন ডাকে?
- হাহা হাহা...
- হাসেন কেন বাহে? হামার এপাকে সর্বনাশ, আর তোরা খিকখিক করি হাসোছেন? এইলা কোন কথা!!
- ঢাকা ভার্সিটির নাম শুনেছেন, চাজি?
-হ শুনছু তো? দেশের সবচেয়ে মেধাবি ছইলেরা ওটে পড়ে, শুনছু।
-ওটে কিছু মূরাল আছে, ওই জায়গার নাম 'রাজু চত্বর'। কোন সমস্যা হইলে ছাত্ররা সবাইকে ওখানে যেতে বলে। গ্যান্জাম লাগলে বেশি কথা কওয়ার সময় থাকে না। সংক্ষেপে কয়, রাজুতে আয়।
-ও, এই ব্যাপার বাহে? হামরা তো অনেক দুরে থাকি। কথাগুলা মনে হয়, এতদূর আসতে আসতে হাফসি (ক্লান্ত) যায়। ভাঙ্গি যায়া হয়া যায়, রাজু তুই আয়। কন তো দেখি, এইলা কোন কথা!!