Posts

গল্প

জুলিয়াস সিজার ও জলদস্যু

June 2, 2024

জিসান আকরাম

Original Author জিসান আকরাম

জুলিয়াস সিজার যখন ২৫ বছরের যুবক। ইজিয়ান সমুদ্রে তিনি হিংস্র সিসিলিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েন।

জলদস্যুরে তার জন্য ২০ ট্যালেন্ট মুক্তিপণ ঠিক করে।

এতে জুলিয়াস সিজার হাসতে থাকেন। তাদের বলেন, তোমরা জানো না আমার প্রকৃত মূল্য। দাম ৫০ ট্যালেন্ট করো, এবং কোথায় কোথায় লোক পাঠাতে হবে আমি বলে দিচ্ছি।

দস্যুরা অবাক হয়, কারণ নিজের মুক্তিপণ বাড়ায় এমন বন্দী তারা দেখে নি।

শুরু থেকেই সিজার দস্যুদের জাহাজে অদ্ভুত আচরণ শুরু করেন। তিনি বন্দীর মত থাকতে চাইলেন না। এমনভাবে আচরণ করতে শুরু করলেন, যেন তিনি তাদের মালিক।

তার ঘুমানোর সময় যাতে কোন শব্দ না হয়, তার চলাফেরায় যাতে কোন বাঁধা না আসে, এসব তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন।

তিনি তাদের সাথে ব্যায়াম ও খেলায় অংশ নিতেন।

জাহাজে থাকার এই ৩৮ দিনের অবসর সময়ে তিনি কবিতা ও বক্তব্য লিখতেন, এবং তাদের শোনাতেন। দস্যুদের যারা বলত লেখা ভালো হয় নি, তাদের তিনি মূর্খ বর্বর বলে তিরস্কার করতেন।

তিনি তাদের প্রায়ই বলতেন, আমি তোমাদের সব কটাকে ক্রুশে ঝুলাব।

যুবক বন্দীর এই শিশুতোষ আচরণে দস্যুরা মজা পেত, তারা তার এই আচরণগুলা পছন্দ করতো।

একসময় মাইলেটাস থেকে তার মুক্তিপণের ৫০ ট্যালেন্ট আসলো।

দস্যুরা তাকে ছেড়ে দিল।

সিজারের কোন পাবলিক বা মিলিটারি অফিস ছিল না। কিন্তু তিনি মাইলেটাসে এক আর্মি জোগাড় করলেন। এবং সমুদ্রে রওনা দিলেন দস্যুদের ধরতে।

দস্যুরা ওই দ্বীপেই জাহাজ নিয়ে ছিল, যেখানে তাকে রাখা হয়েছিল।

সিজার তাদের সবাইকে বন্দী করলেন। তাদের সব টাকা পয়সা নিলেন।

তাদেরকে এক জেলখানায় রাখা হলো।

গভর্নর জুনিয়াসের কাছে সিজার আবেদন জানালেন, দস্যুদের শাস্তি দিতে।

জুনিয়াসের লোভ ছিল টাকার দিকে। তিনি জানালেন, এ বিষয়ে অবসরে ভাববেন।

কালবিলম্ব না করে সিজার জেলখানাতে গেলেন। সব দস্যুকে ক্রুশে ঝুলালেন।

Comments

    Please login to post comment. Login