বাংলার এক নিরিবিলি গ্রাম চরকান্দি। গ্রামের মাঝখানে পুরোনো এক পুকুর—“শীতলার দিঘি”। কথিত আছে, এই দিঘির জল অশুভ; রাতে এখানে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়, কখনো কান্না, কখনো বাঁশির সুর। কেউ কেউ আবার বলে, পূর্ণিমার রাতে এক সাদা শাড়ি পরা মহিলাকে দেখা যায়—চোখবিহীন মুখ, ভেজা চুলে ঢাকা।
গ্রামের ছেলে নীলু এসব বিশ্বাস করে না। কৌতূহল আর দুঃসাহস তাকে টেনে নিয়ে যায় সেই পুকুরপাড়ে। এক রাতে সে সত্যিই দেখে সেই ভয়ঙ্কর ছায়াকে। মহিলার ঠোঁট নড়ে, অথচ শব্দ নেই—শুধু একটিই দাবি, “আমায় মুক্তি দে…”।
তারপর থেকে নীলুর জীবন পাল্টে যায়। স্বপ্নে, ঘুমে, এমনকি জাগরণেও সেই অশরীরী উপস্থিতি তাকে তাড়া করে। শেষমেশ পূর্ণিমার রাতে নীলু শীতলার দিঘির ধারে যায়, হাতে কোদাল নিয়ে, মুক্তির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে। কিন্তু সেই মুক্তির মূল্য কী? নীলু কি ফিরে আসবে, নাকি সেও মিলিয়ে যাবে দিঘির অন্ধকারে?