কতো দূর এগোলো মানুষ! কতো দূরে যাওয়া যায়, আমার এসব নিয়ে অতোটা ভাবনা নেই। অফিসের জানালা দিয়ে কাশফুল দেখা যায়। এসবে আমি বিচিত্র মানুষ, প্রাণ ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবতে থাকি।
নদীর তীরে না, পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে আলগা বাতাসে আরামে দোল খাচ্ছে কাশফুল। মনে হয়, একটা সকাল কাশফুলের মতো দোল খেয়ে নিমগ্ন হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারলেই আনন্দ পেতাম।
মাঝে মাঝে ভাবি, এ জীবনের শেষ কোথায়? এই যে হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে দিনগুলো। তরঙ্গের মতো, নীরব নদীর মতো বয়ে যাচ্ছে গা ছুঁয়ে। আবার মিলিয়ে যাচ্ছে নিঃশব্দে।
ও নয়নতারা— আমার চোখের দিকে তাকাও। আমার বুকে এখনো জেগে আছে অব্যক্ত সুখ, নিভে না যাওয়া আলো। আমি যেন শিশিরে ছোঁয়া সকালে ফুটে ওঠা সফেদ শিউলি ফুল। যে ফুলে জীবনের গন্ধ লুকিয়ে আছে।
একজীবন আমার গ্রামে, পাহাড়ে সকাল দেখার আনন্দ। আমি থামি না, হাঁটছি নতুন ভোরের পথে। দুই হাতের মোনাজাতে লিখছি নতুন প্রার্থনার গল্প। প্রেরণা, প্রেম ও বেঁচে থাকার গল্প।
জঞ্জালের দুনিয়ায় বেঁচে থাকা মানে প্রতিদিন নতুন স্বপ্নে হার না মানা অনুশীলন। নিরেট লোক নেই। একাই লড়ে যাওয়া জীবনের পথে। আমি এই পথে জীবনের আলো খুঁজি। সুখ ও সুন্দরে বেঁচে থাকার বিশ্বাস খুঁজি। খোদা— এই আমার জীবনের অনন্ত প্রার্থনা।