রাতভর ঝুম বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠছে চারপাশ। স্বচ্ছ ও সবুজ হয়ে আছে প্রকৃতি। শহুরে দুয়েকটা পাখির ডাকে ভাঙছে সকালের নীরবতা— জেগে উঠছে কোলাহল। নিরিবিলি সকালের ঢাকায় এমন দৃশ্য দেখা আনন্দের। নিচে গাছের সারি, ছায়া ঢাকা পথ। সবুজ পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে নরম আলো।
ছুটির দিন। শহরের কোলাহল পুরোপুরি জেগে ওঠেনি, রিকশার ঘণ্টা দূরে কোথাও টুংটাং করে বাজছে, তাতে একধরনের ছন্দ প্রকৃতির সাথে মিলে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার শৈশবে আব্বার অফিস ফেরত সাইকেলের ওই ঘণ্টা ধ্বনি।
বাতাসে হালকা শীতের আমেজ। জানালার পাশে বসে আছি। বাইরের দুয়েকটা গাছের ডাল জানালার দিকে এসেছে। কাছ থেকে দেখা যায় এমন। গাছের ডগায় লেগে আছে রাতের ঝরে পড়া শিশির। সূর্যের কোমল আলো পড়ছে অপর দিকের দালানে, যেন সকালটা নিজেই ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ফেলছে যান্ত্রিক শহরে।
সামনে জানালার কাঁচ থেকে আলোর প্রতিবিম্ব এসে চোখে লাগছে। যেন সোনালি রঙের কোমল স্পর্শ। ধীরে ধীরে শহরটা জেগে উঠছে। ঢাকার এমন সকাল সবার দেখা হয় না। রাত জেগে সকালের লম্বা ঘুম কেড়ে নেয় দিনের আলো, ভোরের নরম হাওয়া। ছুটে চলা জনপদে এখন সবকিছু থেমে আছে— কেমন শান্ত হয়ে আছে। যেন আমার পাহাড়িয়া গ্রামের দোল খাওয়া প্রকৃতির মতোন।