পূজার ছুটিতে কত জন যাচ্ছেন কত দেশে। ১৮ কোটির কয়েকজন বাদে বাকিরা গেছেন গ্রহের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে। সূত্র মোতাবেক আমাদেরও তো কোথাও যেতে হয়।
আমরা এলাম দুর্গাপূরে।

আমার মায়ের জন্মভিটা, পার্বতীপুর উপজেলার ৪ নম্বর পলাশবাড়ী ইউনিয়নস্থ দুর্গাপূরে নয়। রাজশাহী জেলার দূর্গাপূরেও নয়। এ হলো নেত্রকোনার বিরিশিরি খ্যাত দূর্গাপূরে।
পথে পথে পূজার মন্ডপ। চলছে নবমীর উৎসব। দেখতে দেখতে শম্ভুগঞ্জ, পূর্বধলা, জানজিরা, বিরিশিরি পেরিয়ে দূর্গাপূর সদরে চলে আসি। দুর্গাপূর সদরের পাশে সহোদরের মত বয়ে চলেছে সোমেশ্বরী নদী। নদীর বুকে দাড়ালে দেখা যায় সেই নদীর জন্মভিটা (সীমান্তেরে ওপারের পাহাড়)। নদীর জন্ম পাহাড়ে হলে সাগরে কী তার মরণ হয়!
বিজয়পূর ঘাট পেরিয়ে এগিয়ে গেলে সাদা পাথরের টিলা। অতদূর না গিয়েও সোমেশ্বরীর বুকে দাড়িয়ে তার সুবাস নিই।
সোমেশ্বরীতে দাড়িয়ে থাকতে থাকতেই দিনের বেলায় হাজির আধখানা চাঁদ। বাকী আধেক মনে হয় লজ্জায় ঢাকা। চাঁদের এ লজ্জা কী গণ*হত্যাকারী নেতা*নিয়াহুর জন্য, নাকি নিশ্চুপ থাকা গোটা মানবজাতির জন্য!! সুমুদ ফ্লোটিলাকে পথ দেখাতে জেগে আছে আকাশে!
আমরা সোমেশ্বরীর বুকেই থাকি। সেখান থেকে নূড়ি পাথর কুড়াই। কাশফুলের শুভ্রতায় স্নান করি। উত্তরের পাহাড়ের দিকে চেয়ে রই। সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলে নিজের মুখখানা দেখে নিই।
এখন আশ্বিনের মধ্যভাগ। শরতের বিদায় বেলা। হালকা করে শীতের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। সেই আমেজ আমাদের ভরিয়ে রাখে। অন্ধকার নেমে আসলে আমরা ফিরে আসি।