রংপুরের আবাসস্থল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে তিস্তা নদী। আর রংপুরে একটা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এসেছি। অনেকবার চেষ্টা করেছি আমরা। তিস্তা নদীর পাড়ের ঘন কাশবনে যাবো। কিন্তু ব্যাটে বলে লাগাতে পারিনি।
সেই কাশবন দেখলাম বুড়িগঙ্গার পাড়ে গিয়ে। বর্তমান বাসস্থল থেকে রিকশা নিয়েই যাওয়া যায় বুড়িগঙ্গার পাড়ে। ঢাকা উদ্যানের বুড়িগঙ্গা ঘাটে। জনপ্রতি ১০ টাকার বিনিময়ে নৌকা পার করে দিলো বুড়িগঙ্গার জলপথ।
এরপর ঘন কাশবন। নগরের খুব কাছের এই কাশবনকে 'নাগরিক কাশবন' নাম দেয়াই যায়। নগরের মানুষের মাঝে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু 'নাগরিক কাশবন' আমাদের কাছে ধরা দিয়েছে আদি ও অকৃত্রিম সৌন্দর্য নিয়ে।
শেষ করি একটা ভিন্ন আলাপ দিয়ে। অনেক আগে ফেমিকন জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের একটা এড ছিল। সেই এডের শেষ কথা ছিল, 'যেন কাশফুলের নরম ছোঁয়া'।
এক ভাই ছিলেন। হাস্যরসের ওস্তাদ। একদিন বলেন কি, আরে ওরা কী কখনও কাশবনে গেছে? কাশবনের অনেক ধার। জায়গা মত লাগলে গো**য়া ছেলি (ছিলে) যাবে।
না, সেই ভাইয়ের কথা পুরাপুরি ঠিক না। কাশবন চাকুর মত অত ধার নেই যে, লাগলে গো**য়া ছেলি যাবে। তবে এমনও হতে পারে, কাশবন নগরে এসে অনেকটাই সভ্য হয়েছে।
তবে সবই আমার ধারণা মাত্র। আপনাদের বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করার দরকার নেই।