একা পেলেই আমাকে তার রুমে নিয়ে যায়। আর আমার শরীলে হাত দেয় কথাটা মাকে বলতে গিয়েও ভয়ে বলতে পারেনা নিশি। নিশি পরিবারের ছোট মেয়ে, একটু শান্তশিষ্ট আর বোকাও বটে, ভালো মন্দ বোঝেনা। বয়স মাত্র ৮বছর। মাকে ছাড়া সে আর কিছু বুঝে না। এতটাই মা পাগল যে সে মাকে ছাড়া স্কুলে পর্যন্ত থাকে না
তবে সে যখন খেলতে যায় তখন শুধু মা ছাড়া থাকে। নিশির মা প্রায় সময় ফুফির বাসায় যাওয়া আসা করে। অনেক সময় নিশিকেও নিয়ে যেতো, 💥নিশির মা সপ্না বেগম, বাবা মানিক আহম্মেদ। পেশায় একজন দর্জি, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বছরখানেক আগেও তাদের পরিস্থিতি খুবই ভালো ছিলো। এলাকায় তারাই একপ্রকার ধনি পরিবার। কারণ বছর খানেক আগে নিশির বাবা মানিক আহম্মেদ আর্মি ক্যাম্পে চাকরি করতো। এতে যা বেতন পেতো বপশ ভালোই চলছিলো মানিক আহম্মেদ ও তার পরিবার।
হঠাৎ ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় মানিক আহম্মেদ ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত হয়,বেশ অনেকদিন অসুস্থ থাকায় চাকরি থেকে উনাকে বরখাস্ত করা হয়।এরপর থেকে মানিক আহম্মেদ প্রায়ই বলতে গেলে অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যেতেন। এরকম মাসে ৩-৪বার অসুস্থতা লেগেই থাকে।উনাকে সুস্থ করতেই নিশির মা স্বপ্না বেগম বিভিন্ন জায়গায় থেকে ধার নেয়। একটা সময় চিন্তা করলো সমিতিতে নাম দিয়ে টাকা নিবে। যে ভাবনা সে কাজ টাকা নিলো বিশহাজার। সময় ২০০৭ সাত সাল।টাকা নিয়ে একটা দোকান দিবে দর্জির। টাকা নেওয়ার একমাসের মাথায় দোকান দেয়। এরমধ্যে ধার দেনা আরো বাড়তে শুরু করে। কারণ মানিক আহম্মেদ তখনও কিছুই করেনা এরমধ্যে সন্তানদের লেখাপড়া খাওয়া-দাওয়ার খরচ নিজেদের খরচ সবকিছুই চালাচ্ছেন তার স্ত্রী। বিভিন্ন জায়গায় ধার বেড়ে যায়। দোকান দেওয়ার ঠিক একমাসের মাথায় খবর আসে দোকান চুরি হয়ে গেছে 🥺 স্বামী স্ত্রী দুজনেই ভে,ঙে পড়ে। তিন সন্তান নিয়ে এখন কি করবে কি খাবে ভেবে কুল পাইনা নিশির মা বাবা। 💥নিশিরা দুবোন এক ভাই।ভাই সবার বড় নাম শুভ,শুভ ক্লাস ৮ পড়ে, বড়বোন উর্মি ক্লাস ৪এ। নিশি ক্লাস ৩ এ পড়ে। তারা চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ার একটি গ্রামে থাকতো।
অভাবের সংসারে এমন পরিস্থিতি হলো যে নিশির মা এখন প্রায় প্রত্যেকটা দিন টাকার জন্য এঘর থেকে ওঘর এপাড়া থেকে ওপাড়া পাগলের মতো ঘুরতে থাকে একমাত্র ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা চালু রাখার জন্য তারা যেনো অন্তত দুবেলা দুমুঠো খেতে পারে। নিশির বাবার কোনো কাজ নেই। এরমধ্যে চাকরি করবে শহরে গিয়ে সে চিন্তাও করে তবে চাকরি না পাওয়ায় মানিক আহম্মেদ ঘরে বসা একপ্রকার। সমিতি থেকে নেওয়া ২০হাজার টাকা প্রতি সপ্তাহে নিতে আসে। সে সমিতির টাকা বাচ্চাদের লেখাপড়া এরমধ্যে স্বামী মাঝে মাঝে অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখিয়ে সুস্থ করা,খাবার খরচ সমস্ত কিছু চলে ধার করা টাকায়। যতবার নিশির মা টাকার জন্য এলাকায় বের হবে ততবার নিশিরও যাওয়া চাই তার মায়ের সাথে। এরমধ্যে স্বপ্না বেগমের ফুফির ঘর কাছে থাকায় তারউপর বিশ্বস্ত হওয়ায় নিশিকে নিয়ে যায় আর বেশকিছু সময় সেখানে কাটিয়ে আসে নিশির মা। নিশির মা ফুফিদের সাথে রান্নাঘরে গল্পে যখন মঝে থাকে তখন নিশি সে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। ফুফির বাড়িটি একপ্রকার বড় দালান। পাকা ঘর যাকে বলে। চারপাশের এলাকা বাংলুর মতো, চারিপাশে বিভিন্ন ফুল ফলের গাছে ভর্তি। এসব নিশি বেশ উপভোগ করে। তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ ভালো লাগেব। তাই সে সেখানে আশেপাশে হাটাহাটি করে আবার একটু পর পর মা আছে নাকি তাকে রেখে চলে গেছে তাও দেখতে আসে। এরমধ্যে সজীব নিশির সম্পর্কে মামা হয় তাকে হঠাৎ একদিন রুমে ডেকে নিয়ে যায় ----
চলবে
গল্পটি একজন মেয়ের জীবনের গল্প। এখানে ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। ভুল ত্রুটি
হতে পারে। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
সূচনা পর্ব, গল্পটা ডিটেইলস জানতে চাইলে কমেন্টে জানাবেন। গল্পটি ছোটও হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে। ডিপেন্ট করছে গল্প কথকের উপর, তাই সঠিক বলা যাচ্ছে না
সূচনা পর্ব
#নিশি_তার_কাল
#popy