সিড়ি বেয়ে সোজা উপরে উঠে গিয়ে রুম এর সামনে দাড়ালো সে। আজকাল সাজু লিফটে উঠতে ভয় পায়। কেমন যেন লাগে। তাই সে সিড়ি ভাঙ্গে, এটা অবশ্য তার ভালোই লাগে।
পুরো বিল্ডিংটা দেখতে প্রায় একই রকম। পকেট হাতড়িয়ে চাবি বের করে আনমনে লক খুলতে গেল। কিন্তু, একি? লক খুলছে না যে?
সে ডানে বামে তাকালো। সবই ঠিক আছে, তবে লক খুলছেনা কেন? সে কি ভুল চাবি দিয়ে খোলার চেষ্টা করছে? তা হবে কেন?
কাল রাতে পাশের রুমে গিয়েছিল, ভুল করে ওদের চাবি নিয়ে আসেনি তো আবার?
বের হওয়ার সময় ট্রাংক এর চাবি নিয়ে বের হয়ে যায়নি তো? নাহ। তা হবে কেন?
সে তো এই চাবি দিয়েই লক লাগিয়েছে।
তাহলে? এমন হয়নি তো, যে কেউ তার লক বদলে দিয়েছে? এটাই বা করবে কে?
করতে পারে, বাড়ির কেয়ারটেকার। যদি এমন হয় যে সে রুম এর লক না লাগিয়ে বের হয়ে গিয়ে থাকে।
অনেক ভেবেও কিছুই পেলোনা। সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে গেল। সে ভাবছিলো, কিছু একটা দিয়ে লক ভেঙে ফেলবে। পরক্ষণেই আবার মনে হলো, কেয়ারটেকার এর সাথে কথা বলবে। বুঝতে পারছে, ভুলের যাওয়ার সমস্যা তাকে পেয়ে বসেছে।
কয়েকবার সিড়ি বেয়ে উপরে-নিচে উঠা-নামা করেছে। সে নিজের নামটা মনে করতে চেষ্টা করলো। হ্যা, নাম মনে আছে, সাজু। তার মানে সমস্যা এখনো জটিল না। এদিক সেদিক দেখছিল। সে শেষবারের মতো সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে চাবি লাগালো। বার বার উঠানাম করে সে ঘেমে যাচ্ছে। তাছাড়া, মানসিক চাপ তো আছেই। এবার কিন্তু খুলে গেলো লক।
সে অবাক হয়ে গেল। পরক্ষণেই বুঝতে সে হয়ত এক মনে হাটতে হাটতে উপরের তলায় চলে গিয়েছিল। আর পুরো বাসা যেহেতু একই রকম দেখতে, সেই জন্যই তার বুঝতেও ঝামেলা হয়েছে।
আজকে বড় বাচা বেচে গেল সে। কেউ দেখতে পেলে হয়ত নির্ঘাত চোর ভেবে গণধোলাইয়ের ব্যবস্থা করতো। ভাবতে ভাবতে ফ্যানের সুইচ টিপল।