একদিন রাতের অন্ধকারে, সায়মা তার বন্ধু রিয়াদে সঙ্গে একটি পাহাড়ের দিকে ট্রেকিং করতে যায়। এই পাহাড়ের নাম “ছায়াপাহাড়”। স্থানীয়রা বিশ্বাস করত, এখানে রাতের বেলায় কিছু অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয় পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছে তারা লক্ষ্য করল করল পুরো এলাকা শূন্য, কেবল ঠান্ডা হাওয়া এবং গাছের পাতা কচকচ করছে। রিয়াদ হেসে বলল,
ভয় পেলেই চলবে না, আমরা তো শুধু ট্রেকিং করতে এসেছি।”
তারা চূড়ায় ওঠার পথে একটি পুরনো খাঁজযুক্ত গাছ দেখতে পেল। হঠাৎ গাছের পেছন থেকে অদ্ভুত এক ছায়া বেরিয়ে এলো। সায়মা চমকে ওঠল, আর রিয়াদও স্তম্ভিত।
ছায়া ধীরে ধীরে তাদের দিকে এগিয়ে আসছিল, কিন্তু কাছে এসে দেখা গেল এটি কোনো মানুষ নয়, বরং এক প্রাচীন রূপকথার মতো ভূত—কান্না করছে, আর হাত বাড়িয়ে তাদের ডেকছে।
রিয়াদ সাহস করে জিজ্ঞাসা করল,
তুমি কে? এখানে কি চাও?”
ভূতের কণ্ঠ শুনতে পেল যেন বাতাসের সঙ্গে মিলিত হয়েছে:
- আমার আত্মা শান্তি চাই। এই পাহাড়ের গভীরে আমার এক প্রাচীন ধন লুকানো আছে। যদি কেউ এটি খুঁজে বের করে আমাকে মুক্তি দেয়, আমি আর কারো ক্ষতি করব না।”
- সায়মা এবং রিয়াদ ঠিক করল, তারা ধন খুঁজে ভূতের আত্মাকে মুক্ত করবে। তারা গাছের পাশের এক গুহার ভিতরে প্রবেশ করল। গুহা ছিল অন্ধকার, একেবারে নীরব। ধীরে ধীরে তারা একটি ছোট কক্ষের সামনে এল। সেখানে ছিল এক ধনাত্মক বাক্স, যার উপরে লেখা ছিল “শান্তির জন্য খুলবে”।
- যখন তারা বাক্সটি খুলল, ভেতরে শুধু এক প্রাচীন মণিক এবং একটি চিঠি ছিল। চিঠিতে লেখা ছিল:
- যে আমাকে মুক্তি দিবে, তার জীবন কখনও ভয় ও অন্ধকারে ভরা থাকবে না।”
- ভূত ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে গেল, আর পাহাড়টি শান্ত হয়ে গেল। সায়মা আর রিয়াদ বুঝল, তারা শুধু এক রোমাঞ্চকর অভিযানের অংশ ছিল না, তারা এক আত্মার মুক্তিও করেছে।
- রাতে তারা নিরাপদে পাহাড় থেকে নেমে এল। তার পর থেকে কেউ ছায়াপাহাড়ে রাতে যাওয়ার সাহস পায় না, তবে যারা যায়, তারা এখনো গল্প শোনে সেই ভূতের কথা।