বাজারের একপাশে কয়েকটা শিশু খেলছিল ছিল,এই শিশু গুলো ছিল পতিতাদের।তাদের পিতৃ পরিচয়ের কোন অস্তিত্ব ছিলনা। এইশিশুগুলো অনেক রোগা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।তারা এই শিশুগুলোকে আলাদা করে রাখা হতো, যা শুধু বাজারের কর্তৃপক্ষ জানত, সকল শিশুর গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এ ধরনের শিশুর বাজেট কম থাকে। বাজারে শিশু না পাওয়াই বৃদ্ধা মন খারাপ করে আসার সময় একটা শিশুর খুবই দয়া হয়, সে বৃদ্ধার কাছে আসে, তার সাথে থাকতে রাজি হয়। বৃদ্ধা তার নাম রাখে মজিদ।মজিদ বৃদ্ধার বাড়িতে এসে বৃদ্ধাকে খুবই যত্ন করে। সে বাজারে কবুতর হাঁস মুরগি বিক্রি করে, বাজার করে নিয়ে আসে। বৃদ্ধাকে রান্না করে খাওয়াই।বৃদ্ধা মজিদকে সব সময় চোখের হারায় সে এখন ভুলে গেছে তার অতীতের কথা। মজিদ এখন নিজে থেকে পড়াশোনা করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ করে।মাধ্যমিকে ভর্তি হয়, অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় বৃদ্ধা মারা যায়। মারা যাওয়ার পর বৃদ্ধার সমস্ত সম্পত্তি মসজিদের নামে দিয়ে যায়। মজিদ এখন এগ্রামের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তি টাকা-পয়সা অনেক। তার অনেক নাম ডাক হয়েছে, ভালো একটা পরিবারে বিয়ে করে, তার যে একটা অতীত আছে এখন আর কেউ জিজ্ঞেস করে না। জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।