শত বছর আগেমোঃ নাহিদ হোসাইন পার্টের বেড়া ছানর চালা ছোট একটা ঘর, অবাক চাঁদ ঝইরা পরে সেই ঘরেতে তর। রাতদুপুর যাবে যে কেটে একটুখানি পর, ফুলের কাথা গতর দিয়ে জাগবে ঘুম তর। আসমানেতে চাঁদ উঠেছে ভেড়ার ফাকে চাউ, ইশারা দিয়া ডাকে তোমায় আস্তে কথা দাউ। চুপি এ কথা শুনলে কেউ কলংক যে হবে, সেই কথাই ভাইবা তুমি সাবধানে যে রবে। দূর মাঠেতে বাজায় বাশি কেসে নাগর হায়, চাঁদনি রাতে বাশির সুরে একলা থাকা দায়। বাশির সুরে মাতাল হয়ে কি যে তাঁহার হয়, ঘর হতে সে বাহির হল হাড়িয়ে গেল ভয়। সুর তুলেছে ঝিঝি পুকারা সুর তুলেছে পেচা, কোন সে সুরে পাগল তুই প্রেমযে তর কাচা। আবছা ছায়া ডাকছে তরে বসে ঝিলের ধারে, তার পাশেতে বাশির সুরে পরিরা নাচ করে। কোন সে পরি খুজিতেছে সে শত পরির ভিরে, আজ বুঝিসে না যদি আসে আসবে কাল ওরে। কতযে জাল বুনিতেছে সে আজ নিশিতে মনে, হঠাৎ শুনে চিকন সুর বাজিল তার কানে। কে ঐখানে বাজায় বাঁশি বসে ঝিলের ধারে, ও বাশিওলা তোমার সুরে বুকে কেমন করে। মাতাল করে পাগল করে দিলে যে তুমি মোরে, সুর তুলেছে বাশি তোমার মাতাল করা সুরে। এ কথা শুনে পেছনে ফিরে নয়ন দেখে হায়, কোন রাজ্যের রাজকুমারী চোখ ফেরানো দায়। হাতে তাহার কাচের চুরি কানে সুনার দুল, গলায় তার সুনার হাড় নাকে পরেছে ফুল। কুমরে তার রুপার বিছা নুপুর তার পায়, আলতা পায়ে রেশমি চুলে লালফিতা যে হায়। ঝুমুর বাজে তাহার সাজে দেহ শরীর তার, লাল শাড়িযে গায়েতে তার মন মানেনা আর। |
|---|
